ঢাকা ও সিলেটের পর আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি, ২০২৫) চট্টগ্রাম জহুর আহাম্মদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে বিপিএল চট্টগ্রাম পর্ব। আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে চট্টগ্রামের একাধিক ভেন্যুতে শুরু হয়েছে টিকিট বিক্রি। বিক্রির শুরু থেকেই শত শত ক্রিকেটপ্রেমি দর্শক টিকিট কিনতে প্রতিটি কাউন্টারে ভিড় করছেন। টিকিট সংগ্রহে দর্শকদের যাতে কোন ভোগান্তি না হয় এবং কোন ধরনের টিকিট কালোবাজারি যাতে না হয় সে ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।

সকাল ১০টা থেকে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম এবং জহুর আহাম্মদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বিটাক মোড় কাউন্টারে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মধুমতি ব্যাংকের আগ্রাবাদ ও জিইসি মোড় শাখা থেকেও টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। সকাল ১০টায় টিকিট বিক্রির শুরু থেকেই দীর্ঘ সাড়িতে দাড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে দেখা গেছে দর্শকদের।

বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের টিকিট সর্বনিম্ন ২০০ টাকায় ম্যাচ উপভোগ করতে পারবেন চট্টগ্রামের দর্শকরা। এ ছাড়া টিকিটের সর্বোচ্চ মূল্য ২৫০০ টাকা।

আরো পড়ুন:

‘তামিম ভাইয়ের সঙ্গে কথা বললে আমার নিজের আত্মবিশ্বাসটাও বাড়ে’

ছোট সীমানা পেরিয়ে ‘আদর্শ ক্রিকেট’ মাঠে চট্টগ্রামের বিপিএল

গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড ও রুফটপ হসপিটালিটিতে বসে খেলা উপভোগ করতে চাইলে গুনতে হবে ২৫০০ টাকা। ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডের টিকিটের মূল্য ১৫০০ টাকা আর ক্লাব হাউজের টিকিটের মূল্য ৮০০ টাকা। এ ছাড়া ইস্টার্ন স্ট্যান্ডের টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা। সর্বনিম্ন ২০০ টাকা ধরা হয়েছে ওয়েস্টার্ন স্ট্যান্ড টিকিটের মূল্য।

এছাড়া অনলাইনেও WWW.

GOBCBTICKET.COM.BD এই ওয়েব সাইট থেকে টিকিট কিনতে পারবেন।

চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে টিকিট বিক্রির বুথকে ঘিরে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সিআরবি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ মাসুদ জানান, সকাল থেকেই সুশৃংখলভাবে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। কোন ধরনের সমস্যা হচ্ছে না। দর্শকরা দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে টিকিট কিনছেন। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা ও টিকিট কাউন্টার ঘিরে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।

রেজাউল/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

এবার ১২ হাজার শিক্ষার্থীকে ইফতার করালো রাবি প্রশাসন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অধ্যায়নরত ১২ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ইফতারের আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার (৩ মার্চ) দ্বিতীয় রোজায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে এ আয়োজন করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, আসরের নামাজের পর থেকেই শিক্ষার্থীরা দলে দলে কেন্দ্রীয় মসজিদে আসতে শুরু করেন। এ সময় মসজিদের ভেতরে এবং মসজিদ সংলগ্ন বাগানে তারা ইফতারির জন্য সারিবদ্ধভাবে বসেন। এ ছাড়াও নারীদের জন্য মসজিদের বাগানে আলাদাভাবে ইফতারির ব্যবস্থা করা হয়। এতে মসজিদ প্রাঙ্গণে তৈরি হয় এক উৎসবমুখর পরিবেশ।

আরো পড়ুন:

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গণইফতার আয়োজন করে অভিনব প্রতিবাদ

রাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা, ভোটগ্রহণ জুনে

ইফতারে অংশগ্রহণ করতে আসা ইনফরমেশন সাইন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. রোকনুজ্জামান বলেন, “আজকের আয়োজন অনেক ভালো ছিল। এখানে সবার সঙ্গে ইফতার করতে এসে খুবই ভালো লাগছে। একটা উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিটা দিন মনে হচ্ছে ঈদের মতো। প্রশাসনের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।”

আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী নয়ন আহমেদ বলেন, “গতকালের তুলনায় আজকের আয়োজন অনেক ভালো। কাল সব এলোমেলো ছিল। কিন্তু আজকের আয়োজন গোছালো হয়েছে। এত মানুষের সঙ্গে আগে কখনো ইফতার করিনি। অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করছে। মনে হচ্ছে এখানে মেলা চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর আয়োজন করার জন্য।”

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইফতারে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দিন খান (প্রশাসন), উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দিন খান (শিক্ষা), রেজিস্ট্রার ইফতেখারুল আলম মাসউদ, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার প্রমখ।

সার্বিক বিষয়ে জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, “আমরা আজ প্রায় সাড়ে ১১ হাজার থেকে ১২ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ইফতার আয়োজন করেছি। যা গতকালের তুলনায় তিনগুণ। আমরা আশা করছি আজ সব ঠিকঠাক মতো হবে। এজন্য সবার সাহায্য প্রয়োজন, যাতে কোন উশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি না হয়।”

প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে মাসব্যাপী ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। রোজার প্রথমদিন রবিবার (২ মার্চ) ৪ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ইফতারের আয়োজন করা হয়। কিন্তু আয়োজনের তুলনায় অধিক রোজাদার উপস্থিত হওয়ায় ইফতারে সঙ্কট দেখা দিলে শিক্ষার্থীদের ভাগাভাগি করে নিতে দেখা গেছে।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ