বেনাপোলে আদালতের নির্দেশে মৃত্যুর তিন বছরেরও বেশি সময় পর কবর থেকে আব্দুল আলিম নামে এক বিএনপি নেতার লাশ তুলেছে পুলিশ। পরে উদ্ধার লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৮ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় এক দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বেনাপোল পৌর বিএনপি। ওই অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের কয়েকজন হামলা চালায়। এতে আলিম, রিন্টু, মুছাসহ সাত বিএনপি নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর জখম আলিম (৫০) ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তৎকালীন ক্ষমতাসীনদের হুমকিতে ময়নাতদন্ত ছাড়ায় আলিমের লাশ দাফন করা হয়। আওয়ামী লীগ নেতাদের হুমকির মুখে তাঁর স্বজনরা মামলাও করতে পারেননি। 

গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীর সহযোগিতায় মামলা করে নিহত আলিমের পরিবার। গত ১৮ নভেম্বর আলিমের স্ত্রী হাছিনা খাতুন বাদী হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় ৬৫ জনের বিরুদ্ধে নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে আলিমের লাশ তোলার নির্দেশ দেন।

বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি রাসেল মিয়া বলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে বুধবার দুপুরে আব্দুল আলিমের লাশ কবর থেকে তোলা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ