৩ বছর পর বিএনপি নেতার লাশ তুলল পুলিশ
Published: 15th, January 2025 GMT
বেনাপোলে আদালতের নির্দেশে মৃত্যুর তিন বছরেরও বেশি সময় পর কবর থেকে আব্দুল আলিম নামে এক বিএনপি নেতার লাশ তুলেছে পুলিশ। পরে উদ্ধার লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৮ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় এক দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বেনাপোল পৌর বিএনপি। ওই অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের কয়েকজন হামলা চালায়। এতে আলিম, রিন্টু, মুছাসহ সাত বিএনপি নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর জখম আলিম (৫০) ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তৎকালীন ক্ষমতাসীনদের হুমকিতে ময়নাতদন্ত ছাড়ায় আলিমের লাশ দাফন করা হয়। আওয়ামী লীগ নেতাদের হুমকির মুখে তাঁর স্বজনরা মামলাও করতে পারেননি।
গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীর সহযোগিতায় মামলা করে নিহত আলিমের পরিবার। গত ১৮ নভেম্বর আলিমের স্ত্রী হাছিনা খাতুন বাদী হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় ৬৫ জনের বিরুদ্ধে নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে আলিমের লাশ তোলার নির্দেশ দেন।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি রাসেল মিয়া বলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে বুধবার দুপুরে আব্দুল আলিমের লাশ কবর থেকে তোলা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বরিশালে মেয়র হতে চান জাপা প্রার্থীও, করলেন মামলা
২০২৩ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ‘বিজয়’ চেয়ে আদালতে মামলা করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস। বুধবার তিনি বরিশাল নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন।
এর আগে ১৭ এপ্রিল একই দাবি জানিয়ে মামলা করেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তিনি দলটির জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির। তার পক্ষে ভোট দেখানো হয় ৩৩ হাজার ৮২৮টি। তার মামলা গ্রহণ করবে কিনা সে সিদ্ধান্ত আগামীকাল বৃহস্পতিবার আদালত জানাবে।
অন্যদিকে তাপসের আইনজীবী আব্দুল জলিল জানান, তাদের মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আদালত পরবর্তী তারিখে জানাবে। তবে বিকাল পর্যন্ত পরবর্তী তারিখ ধার্য হয়নি।
ইকবাল হোসেন তাপস জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা। তিনি সিটি নির্বাচনে ৬ হাজার ৬২৫ ভোট পেয়েছিলেন বলে জানানো হয়। ওই নির্বাচনে ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট দেখিয়ে বিজয়ী ঘোষণা করা আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহকে। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাত ভাই।
তাপস মামলায় অভিযোগ করেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিনি বিজয়ী হতেন। ভোটের আগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে দলের কর্মীদের শহরে এনে জড়ো করেছিলেন। তারা ভোটের দিন সব কেন্দ্র দখলে নেয়। ইভিএমে নৌকা প্রতীকে চাপ দিতে ভোটারদের বাধ্য করেন। তিনি (তাপস) সকাল সাড়ে ১০টায় কাউনিয়া শের-ই-বাংলা বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে ইভিএম কক্ষে এক বহিরাগতকে হাতেনাতে ধরলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
এদিকে মুফতি ফয়জুলকে মেয়র ঘোষণার দাবিতে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা সাধারণ নাগরিক ব্যানারে গত শুক্রবার থেকে নগরীতে ধারাবাহিক বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে। আজ বিকালে সদর রোড অশ্বিনী কুমার হলের সামনে থেকে পদযাত্রা কর্মসূচিও পালন করেছে তারা।