সিদ্ধিরগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে কুন প্রস্তুতকারি কারখানা পুড়ে ছাই
Published: 15th, January 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল বউ বাজার শান্তিনগর এলাকায় একটি কুন প্রস্তুতকারি কারখানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। বোধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল আনুমানিক ৭টায় ভয়াবহ এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, নূর আলমের মালিকানাধীন কুন কারখানায় লাগা আগুন পরে পাশের চারটি গার্মেন্ট ওয়েস্টেজের গোডাউনে ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে মন্ডলপাড়া ও হাজিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু বলে জানানো হয় সংস্থাটির পক্ষ থেকে।
তবে শুরুর দিকে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে। এসময় দ্রুত পানি ফুড়িয়ে গেলে আগুন নিয়ন্ত্রণ বিঘ্নিত হয় বলে জানান স্থানিয়রা । পরে আগুনের তীব্রতা দেখে ফায়ার সার্ভিসকে পুনরায় জানানো হলে আরো পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
এদিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরাও কাজ করছে। তারা বিভিন্নভাবে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করছে।
শরীফ হোসেন নামে এক স্বেচ্ছাসেবক জানান, সকাল সাতটার দিকে নূর আলমের মালিকানাধীন একটি কুন কারাখানা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে সেটি পাশের গার্মেন্ট ওয়েস্টেজের চারটি গোডাউনে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে কারখানা ও গোডাউনগুলো সম্পুর্ন পুড়ে যায়।
তবে আগুন লাগার শুরুর দিকে কুন কারখানার কিছু মালামাল অক্ষত উদ্ধার করা হয় বলে জানান শরীফ। আলমগীর নামে ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যাবসায়ি জানান, গোডাউনে গার্মেন্ট ওয়েস্টেজ এলডি পলিথিন ছিলো। আগুনে সব পুড়ে গেছে।
গোডাউনে তার পাঁচ লাখ টাকার মালামাল ছিলো বলে দাবি করেন এই ব্যাবসায়ী। এছাড়াও মুসলিম, বাবুল, হাশেম নামে আরো তিন জন ব্যাবসয়ীর তিনটি ওয়েস্টেজ গোডাউন আগুনে সম্পুর্ন পুড়ে গেছে বলে জানা যায়। তবে তাদের সাথে কথা না হওয়ায় ক্ষতির পরিমানটি জানা সম্ভব হয়নি।
এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করতে গিয়ে স্থানীয় দুজন স্বেচ্ছাসেবী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে একজনের নাম জিহাদ। অপরজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার জন্য নিয়ে যাওয়ায় তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, আমরা সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাই। খবর পাওয়ার সাথে সাথে হাজীগঞ্জ ও মন্ডলপাড়া ফায়ার স্টেশন থেকে ছয়টি ইউনিট ঘটনস্থলে পাঠাই।
ঘটনাস্থলে এসে আমরা দেখেছি, রেজিন,প্যাকিংবক্স,কুনিং এবং ক্যামিকেলসহ বিভিন্ন উপাদান এখানে পর্যাপ্ত পরিমানে ছিলো। সেই সাথে আগুনের ভয়াবহতা ছিলো অনেক। আমাদের ছয়টা ইউনিট দ্রুত আগুন নির্বাপনের চেষ্টা করেছি। শুরুতে পানির অনেক সংকট ছিলো।
পরে স্থানিয়দের সহায়তায় বিভিন্নভাবে পানির ব্যাবস্থা করি। সাড়ে নয়টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। স্থানীয়রা আমাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে। যার ফলে আসেপাশে বাড়ি ও কিছু প্রতিষ্ঠানকে আমরা রক্ষা করতে পেরেছি।
কয়টি প্রতিষ্ঠানে আগুন লেগেছে জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা জানানা, এখনো পর্যন্ত আমরা সেটি নিশ্চিত হতে পারিনি। সেই সাথে আগুনের সূত্রপাতের বিষয়টিও প্রাথমিক অবস্থায় তিনি নিশ্চিত করতে পারেনি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণটিও তদন্ত করে জানানো যাবে বলে জানান তিনি।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ইউন ট ঘটন খবর প
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’