Samakal:
2025-03-03@20:02:24 GMT

ওদের আকাশে উড়ার স্বপ্নপূরণ

Published: 15th, January 2025 GMT

ওদের আকাশে উড়ার স্বপ্নপূরণ

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের আকাশ ভ্রমণের স্বপ্নপূরণ করেছে বেসরকারি বিমান সংস্থা নভোএয়ার। বুধবার জাগো ফাউন্ডেশনের পরিচালনাধীন স্কুল থেকে ৩০ শিশুকে নভোএয়ারের একটি ফ্লাইট ঢাকা থেকে কক্সবাজারে ঘুরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। এদিন কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ‘বিচ ক্লিনিং’ কর্মসূচি পালন করা হয়। 

নভোএয়ারের ১২ বছরপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে ‘ড্রিম ফ্লাইট’ ও ‘বিচ ক্লিনিং’ এর আয়োজন করা হয়।

নভোএয়ার ঢাকা থেকে সকাল ১০টা ২০মিনিটের  ফ্লাইটে শিশুদের নিয়ে কক্সবাজার যায় এবং কক্সবাজার থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার ফ্লাইটে ঢাকায় আসে। শিশুরা কক্সবাজারে সমুদ্রসৈকত, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কক্সবাজার ঘাঁটি, কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন করে আনন্দঘন সময় কাটায়।

স্বপ্নপূরণের অনুভূতি প্রকাশ করে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী মায়মুনা রহমান বলে, ‘প্লেনে করে সমুদ্রসৈকত ঘুরতে যাব, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর উড়োজাহাজ দেখতে পারব, এটা আমি কখনো কল্পনাও করিনি। নভোএয়ারের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, তারা আমাদের এই স্বপ্নপূরণ করেছে।

তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র হানিফ মিয়া বলে, মেঘের ওপর দিয়ে উড়োজাহাজে করে যাচ্ছি, এটা অসাধারণ অনুভূতি! আমরা বিচে খেলেছি, কক্সবাজারের খুব সুন্দর রেলস্টেশন দেখেছি। এ ভ্রমণ ছিল একেবারে স্বপ্নের মতো।

নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, শিশুরাই আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের স্বপ্নপূরণ এবং প্রেরণা দেওয়ার জন্যই আমাদের এই উদ্যোগ। আমরা বিশ্বাস করি, সামাজিক দায়বদ্ধতা হিসেবে এমন উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, আমাদের গর্ব কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে ‘বিচ ক্লিনিং’ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

নভোএয়ার প্রতিদিন ঢাকা থেকে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সৈয়দপুর, যশোর, সিলেট ও  রাজশাহী ফ্লাইট পরিচালনা করছে। আন্তর্জাতিক রুট কলকাতায় ফ্লাইট পরিচালনা সাময়িক বন্ধ রয়েছে, শিগগির পুনরায় শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে নভোএয়ার।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ