সিরাজগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীদের পৌষ উৎসব উদযাপন
Published: 15th, January 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় স্থানীয় বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবদলের নেতাকর্মীরা মিলে পৌষ উৎসব উদযাপন করেছে। মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার কোনাবাড়ী যুব সমাজের ব্যানারে শহীদুল বুলবুল ডিগ্রি কলেজ মাঠে উৎসবে মেতে ওঠে নেতাকর্মীরা।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর এ উৎসবে ৪ শতাধিক নেতাকর্মী ও গ্রামের সাধারণ মানুষ অংশ নেয়। পৌষ উৎসবে নতুন ধানের ভাত, ডাল, ডিম ও সবজি রান্না করে পরিবেশন করা হয়।
পৌষ উৎসবে প্রধান মেহমান ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো.
আরো পড়ুন:
‘খালেদা জিয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বিদেশ গেছেন, আর হাসিনা পালিয়ে’
বিএনপি ক্ষমতায় যাবে না, কে যাবে: হারুনুরের প্রশ্ন
উৎসবে অংশ নেওয়া বিএনপির নেতারা বলেন, ‘‘গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য পৌষ উৎসব, যাকে আমরা বলে থাকি ‘পুষুরা’, সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি নেতাকর্মীদের মিলনমেলা হয়েছে। এতে নেতাকর্মীদের মধ্যে হৃদ্যতা বাড়বে এবং আগামীতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবে।’’ উৎসবে অংশ নিয়ে সকলে আনন্দিত বলে জানান তিনি।
প্রধান মেহমান সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস জানান, পৌষ মাস বাংলার ঐতিহ্যবাহী উৎসবের সময়। নতুন ধানের ঘ্রাণে গ্রাম বাংলা মেতে ওঠে। আগে বাংলার ঘরে ঘরে এ সময় উৎসবের আয়োজন করা হতো। তবে আওয়ামী লীগের শাসনামলে এ উৎসবের আমেজ হারিয়ে গিয়েছিল। পট পরিবর্তনের পর সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে নতুন উদ্যমে পৌষ উৎসব উদযাপন করা হচ্ছে। গ্রামীণ ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতেই এ আয়োজন।
ঢাকা/রাসেল/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ প ষ উৎসব ন ত কর ম ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্য উৎসবের মঞ্চে ‘ইংগিত’
মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্য উৎসবে ৬৩ জেলা হতে নির্বাচিত ১৬ নাটক নিয়ে ঢাকায় জাতীয় নাট্যশালায় উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের আয়োজনে উৎসবের শেষ দিনে (শুক্রবার) মঞ্চায়ন করা হয় নাটক ‘ইংগিত’।
‘ইংগিত’র নাট্য ভাবনা, পরিকল্পনা, আলো ও নির্দেশনায় ছিলেন সুবীর মহাজন। সহকারী নির্দেশনায় আছাদ বিন রহমান ও পরিবেশনায় ছিল বান্দরবান পার্বত্য জেলা শিল্পকলা একাডেমি। বান্দরবানের বসবাসরত বিভিন্ন ভাষার জনগোষ্ঠীর মানুষ এত অংশ নেন।
নাটকের গল্পে দেখা যায়, পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে তরুণদের বড় একটি অংশ হতাশায় নিমজ্জিত। অথচ তারুণ্যই বারবার পথ খুঁজে দিয়েছে। বহুভাষার মানুষের জেলা বান্দরবানের এক তরুণ বর্তমানের নানা পারিপার্শ্বিকতায় ক্লান্ত হয়ে যখন ঘুমের রাজ্যে, ঠিক তখন তার চোখ জুড়ে ফিরে আসে শৈশব-কৈশোর। ক্লান্ত শরীর তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে বাস্তবে। স্বপ্নের ঘোরে সে ঘুরে বেড়ায় প্রকৃতির রাজ্য বান্দরবানে, যেখানে রয়েছে জীবন ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যময় বিশাল ভাণ্ডার। ঘুম তাকে ফিরিয়ে দেয় সোনালী সময়। যখন বর্তমানে ফিরে আসে নানা জটিলতায় আবদ্ধ হয়ে পড়ে। সিস্টেম নামে এক জগদ্দল পাথর সরাতে চায় সে। পাহাড় আর সমতলকে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যতার এক সুতায় মেলবন্ধন ঘটাতে যে বদ্ধ পরিকর।
১৫ দিনব্যাপী কর্মশালার মধ্যে দিয়ে নাটকটি নির্মাণ করা হয়েছে।