ভারত ও পাকিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক দরপত্রের ও রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে এক লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করবে সরকার। পৃথক দুটি ক্রয় প্রস্তাবে এই চাল কেনা হবে। এতে ভারত থেকে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল কেনায় ব্যয় হবে ২৭৭ কোটি ২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা এবং রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে বাকি ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানিতে ব্যয় হবে ৩০৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ, এক লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানিতে ব্যয় হবে ৫৮১ কোটি ৪১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।

সূত্র জানায়, পাকিস্তানের সঙ্গে সরকার-সরকার (জিটুজি) পর্যায়ে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল কেনার একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৬ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির জন্য ‘অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ কর্তৃক অনুমোদিত হয়। 

দেশের সরকারি খাদ্য মজুত বৃদ্ধি করে সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখার স্বার্থে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল জিটুজি পদ্ধতিতে পাকিস্তান থেকে আমদানির জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রস্তাব পাঠানো হয়। বাংলাদেশের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে পাকিস্তান চাল সরবরাহের আগ্রহ প্রকাশ করে। পরবর্তীতে দুই দেশের মধ্যে নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম ৪৯৯ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়। সে হিসাবে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানিতে ব্যয় হবে ২ কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩০৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্যাকেজ-৬ এর আওতায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল কেনার একটি প্রস্তাবেও অনুমোদন দেয় কমিটি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে আন্তর্জাতিক উৎস হতে ৬ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির জন্য ‘অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ কর্তৃক অনুমোদিত হয়। 

দেশের সরকারি খাদ্য মজুত বৃদ্ধি করে সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখার স্বার্থে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে ৬টি জমা পড়ে। ৬টি প্রস্তাবই আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।

দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান ভারতের মেসার্স গুরুদিও এক্সপোর্টস করপোরেশনের কাছ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করবে। প্রতি মেট্রিক টন ৪৫৪.

১৪ মার্কিন ডলার হিসাবে মোট ব্যয় হবে ২ কোটি ২৭ লাখ ৭ হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৭৭ কোটি ২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। প্রতি কেজি চালের ক্রয়মূল্য ৫৫.৪০ টাকা। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ২.৫০ লাখ মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল এবং জিটুজি পদ্ধতিতে ১ লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল ক্রয়ের চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে বলে জানা গেছে।

ঢাকা/হাসনাত/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দরপত র র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৩.৩ শতাংশ হতে পারে: বিশ্বব্যাংক

চলতি অর্থবছরে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৩ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিদ্যমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও জিডিপি প্রবৃদ্ধির এই পূর্বাভাস দিল সংস্থাটি।

এর আগে গত জানুয়ারি মাসে ৪ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে জানিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। নতুন পূর্বাভাসে বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, আগামী অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে।

আজ বুধবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের দ্বি-বার্ষিক প্রতিবেদন ‘সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট: ট্যাক্সিং টাইমস’-এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বিকেলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ হতে পারে বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক।

তবে বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয় চলতি অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২ শতাংশ অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে দক্ষিণ এশিয়ার গড় প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে। ২০২৬ সালে তা সামান্য বেড়ে ৬ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়াতে পারে। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরে ভারতে সাড়ে ৬ শতাংশ এবং পাকিস্তানে ২ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার বলেন, এখনই সময় নির্দিষ্ট কিছু সংস্কারের দিকে মনোযোগ দেওয়ার; যাতে অর্থনীতির সহনশীলতা বাড়ে, প্রবৃদ্ধি জোরদার হয় এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। বাণিজ্য আরও উন্মুক্ত করতে হবে, কৃষি খাতে আধুনিকায়ন আনতে হবে এবং বেসরকারি খাতে গতি আনতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশে ভোটের সময় নিয়ে উত্তেজনা বাড়তে পারে
  • নির্বাচনের সময় নিয়ে রাজনৈতিক দলের মতের অমিল হলে উত্তেজনা বাড়বে: বিশ্বব্যাংক
  • স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স বাতিল
  • বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৩ শতাংশ হতে পারে: বিশ্বব্যাংক
  • চলতি অর্থবছরে চরম দারিদ্র্য বাড়তে পারে: বিশ্ব ব্যাংক
  • রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমবে
  • বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩.৩ শতাংশ: বিশ্বব্যাংক
  • বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৩.৩ শতাংশ হতে পারে: বিশ্বব্যাংক
  • সরকারি অনুদানের সিনেমা জমা দেওয়ার সময় বাড়লো
  • যুক্তরাষ্ট্র–ভারত বাণিজ্য চুক্তির শর্ত প্রস্তুত, আজ থেকে আলোচনা