শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ১৬ শিক্ষার্থীর র‌্যাগিংয়ের দায়ে পাওয়া শাস্তি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ২৩৪তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অফিস আদেশে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের শাস্তি প্রত্যাহারের এ সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক পক্ষের অনুমোদনক্রমে নেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের ফলে শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা পুনরায় আবাসিক হলে থাকতে পারবেন।

শাস্তি প্রত্যাহার করা বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, মো.

পাপন মিয়া, মো. রিয়াজ হোসেন, পায়েল আহমেদ, মো. খালেদ সাইফুল ইসলাম, মো. রাকিব হোসেন, রামিম আহমদ, অশেষ চাকমা, সৌরভ নাথ, শরিফুল ইসলাম, অনিক দাস, মো.ফাহিম আহমেদ, নয়ন চন্দ্র দে, মো. তোহা মিয়া, মো. আশিক হোসেন, মো. আল আমিন ও মো. আপন মিয়া। 

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে র‌্যাগিংয়ের দায়ে ওই শিক্ষার্থীদেরকে সব হল থেকে আজীবন বহিষ্কার করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নাচোলে খাসজমি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ব্যক্তির মৃত্যু

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় খাসজমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত তরিকুল ইসলাম বকুল (৫০) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। 

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নাচোল থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করেছেন । 

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে আহত হন গোমস্তাপুর উপজেলার হোগলা এলাকার মৃত তামিজ উদ্দিনের ছেলে তরিকুল ইসলাম বকুল।

আরো পড়ুন:

সাতক্ষীরায় বিএনপির দু’ গ্রুপে সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি

প্রমীলা ফুটবল টুর্নামেন্ট নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৭

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নাচোল উপজেলার হাজারদীঘী বিলের প্রায় ৬০ বিঘা খাস জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগ করছেন একই উপজেলার চন্দ্রনা গ্রামের লোকজন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে খাসজমি দখল নিতে আসে গোমস্তাপুর উপজেলার নয়াদিয়াড়ি এলাকার ২৫-৩০ জন ব্যক্তি। এ সময় উভয় পক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘাতে জড়ায়। এ ঘটনায় চারজন আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের হাসপাতালে ভর্তি করে। তাদের মধ্যে তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এই তিনজনের মধ্যে ছিলেন তরিকুল ইসলাম বকুলও।

নাচোল থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, “জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তরিকুল ইসলাম বকুল গুরুতর আহত হন। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দেননি নিহতের স্বজনরা। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে  ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/মেহেদী/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ