চাচা হত্যার প্রতিশোধ নিতে খুলনার সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি গোলাম রাব্বানী টিপুকে কক্সবাজারে হত্যা করেন শেখ শাহরিয়ার ইসলাম ওরফে পাপ্পু (২৪)। পুলিশের কাছে এ কথা স্বীকার করেছেন তিনি। এ হত্যাকাণ্ডে ঋতুকে ইনফরমার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ। তিনি জানান, বিশেষ অভিযানে সোমবার রাতে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার কাপনা পাহাড়ি চা বাগান থেকে খুলনা সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দেওয়ানা মোল্লা পাড়ার সেলিম আকনের মেয়ে ঋতু (২৪), জামাল শেখের ছেলে শেখ শাহরিয়ার ইসলাম পাপ্পু (২৪) ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য কারিগর পাড়ার হায়দার সরদার অদুদের ছেলে গোলাম রসুলকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ৮ জানুয়ারি রাত ১১টার দিকে গোলাম রাব্বানী টিপু, তাঁর বন্ধু আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হাসান ইফতেখার ওরফে চালু ও ঋতু গ্রিনলাইন বাসে ঢাকা থেকে কক্সবাজার আসেন। ৯ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজার শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সুগন্ধা পয়েন্টের কাছাকাছি হোটেল সিগালের পশ্চিম পাশের ফুটপাতে টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আগেই শেখ হাসান ইফতেখার ওরফে চালু ও কক্সবাজারের ব্যবসায়ী মেজবাহ উদ্দিন ভুট্টোকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

পুলিশ সুপার বলেন, চরমপন্থি সংগঠনের বিরোধে খুন হন শেখ শাহরিয়ার ইসলাম ওরফে পাপ্পুর চাচা হুজি শহিদ। ওই হত্যাকাণ্ডের মামলায় আসামি ছিলেন গোলাম রাব্বানী টিপু। তখন পাপ্পু ছোট ছিলেন। কিন্তু তিনি মানসিকভাবে চাচা হত্যার প্রতিশোধ নিয়ে বড় হয়েছেন। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেও পাপ্পু ‘টিপুকে যেখানে পেতাম, সেখানেই হত্যা করতাম’ বলেছেন।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াস খান জানান, গোলাম রাব্বানী টিপুর ভগ্নিপতি ইউনুস আলী শেখ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এ পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ