৫৫ ঘণ্টা পার হলেও খোঁজ মেলেনি ফেরি থেকে পদ্মায় লাফ দেওয়া তরুণীর
Published: 15th, January 2025 GMT
নিখোঁজের ৫৫ ঘণ্টা পার হলেও এখনো সন্ধান মেলেনি দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি থেকে পদ্মা নদীতে লাফ দেওয়া তরুণী ফজিলাতুন নেছার (৩০)। বুধবার বিকেল ৫টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর এমরান মাহমুদ তুহিন।
এর আগে গত সোমবার বেলা ১১টার দিকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা দৌলতদিয়া ঘাটগামী বাইগার নামের একটি ফেরি থেকে ওই তরুণী পদ্মা নদীতে লাফ দেয়। ফজিলাতুন নেছা সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
ওই ফেরিতে থাকা কুষ্টিয়াগামী লালন পরিবহনের সুপারভাইজার সাইদুল ইসলাম বলেন, পাটুরিয়া ঘাট থেকে ফেরিটি দৌলতদিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে এসে মাঝ নদীতে পৌঁছার পর বাম পাশের পকেটের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা বোরকা পরিহৃত এক তরুণী পদ্মা নদীতে লাফ দেয়। ঘটনাটি সবার চোখের সামনে ঘটলেও কারো কিছুই করা ছিল না।
দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এমরান মাহমুদ তুহিন বলেন, খবর পাওয়ার পর থেকেই নৌপুলিশ পদ্মা নদীতে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেও সফল হয়নি। ওই তরুণীর পরিবারের লোকজন এসেছিল, তারা জানিয়েছেন তরুণীর মানসিক সমস্যা ছিল। পদ্মা নদীতে নৌ পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে। নিখোঁজের সন্ধান পাওয়া গেলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পদ ম
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই
দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’
এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’