জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত সঞ্চয় কর্মসূচিগুলোর মুনাফার হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্কিমের ধরন অনুযায়ী, নতুন মুনাফার হার ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত। ১ জানুয়ারি থেকে এই মুনাফার হার কার্যকর হবে। 

চলতি সপ্তাহেই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে বলে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বাড়ানোর জন্য সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে (আইআরডি) একটি সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। ওই সুপারিশে নির্ধারণ করা মুনাফার হারই কার্যকর করা হবে। ১ জানুয়ারি বা তার পরে যারা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করবেন, তাদের জন্য নতুন মুনাফার হার কার্যকর হবে। আর যারা আগে সঞ্চয়পত্র কিনে রেখেছেন, তারা আগের নির্ধারিত হারে মুনাফা পাবেন। 

বর্তমানে সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগকারীদের ১৫ লাখ টাকা, ১৫ লাখ ১ টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা এবং ৩০ লাখ ১ টাকার বেশি— এই তিন ধাপ রয়েছে। নতুন মুনাফার হারে বিনিয়োগকারীদের দুটি ধাপ রাখা হচ্ছে। প্রথম ধাপ ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার নিচের বিনিয়োগকারী। আর দ্বিতীয় ধাপটি হল, ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার ওপরের বিনিয়োগকারী।

সঞ্চয়পত্রের নতুন মুনাফার হার ৫ বছর ও ২ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের গড় সুদহার অনুযায়ী করা হচ্ছে। এ দুই ধরনের ট্রেজারি বন্ডের সর্বশেষ ছয়টি নিলামকে বিবেচনায় নিয়ে নতুন মুনাফার হার নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিবার সঞ্চয়পত্র, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র এবং পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিট— এই পাঁচ ধরনের সঞ্চয়পত্রের নতুন মুনাফার হার নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের একজন যুগ্মসচিব গণমাধ্যমকে জানান, অর্থ বিভাগ থেকে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার যেভাবে সুপারিশ করেছে, সেই হারই রাখা হচ্ছে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকেই সঞ্চয়পত্রের নতুন মুনাফার হার কার্যকর হবে। এ সপ্তাহেই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন দেওয়া হবে। 

মুনাফার হার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি বা তার পরে পরিবার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার কম বিনিয়োগ করা বিনিয়োগকারীরা সাড়ে ১২ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পাবেন ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে। পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার নিচের বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ। আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার নিচের বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ। পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার নিচের বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। 

এ ছাড়া পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিটে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার নিচের বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার করা হচ্ছে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ।

এদিকে, মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে সঞ্চয়পত্র নগদায়নের ক্ষেত্রে পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে ১০ দশমিক ১১ থেকে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ, ৩ মাস অন্তর মুনাফা সঞ্চয়পত্রে ১১ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ, পেনশনার সঞ্চয়পত্রে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ, পরিবার সঞ্চয়পত্রে ১০ দশমিক ১১ থেকে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিটে ১১ থেকে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা পাওয়া যাবে।

পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র

প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা ৫ বছর বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। 

দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।

৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র

প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।

পেনশনার সঞ্চয়পত্র

প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ৩১ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।

দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।

পরিবার সঞ্চয়পত্র

প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ২০ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।

দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।

পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিট

প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। আর দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা প্রথম বছরে ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।

ঢাকা/হাসনাত/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রথম ধ প র ব ন য় দ ব ত য় বছর চ বছর ম য় দ প রথম বছর ত ত য় বছর ক র যকর

এছাড়াও পড়ুন:

পরিবার সঞ্চয়পত্র কীভাবে কিনবেন, মুনাফা কত

পরিবার সঞ্চয়পত্র মধ্যবিত্ত নারীদের মধ্যে জনপ্রিয় সঞ্চয় স্কিম। এটা থেকে প্রতি মাসেই মুনাফার টাকা তোলা যায়। মুনাফাও বেশ ভালো। ২০০৯ সালে পাঁচ বছর মেয়াদি এই সঞ্চয়পত্র চালু হওয়ার পর দেড় দশকেই সবচেয়ে জনপ্রিয় সঞ্চয় স্কিমে পরিণত হয়েছে। সবাই এই সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন না। মূলত নারীদের জন্য এই সঞ্চয়পত্র।

এবার দেখা যাক, এই সঞ্চয়পত্র কীভাবে কিনবেন, কোথায় পাওয়া যায়, মুনাফার হার কত ইত্যাদি।

মুনাফা কত

একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকা পর্যন্ত একক নামে পরিবার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন। অন্য সঞ্চয়পত্র যৌথ নামে কেনার সুযোগ থাকলেও পরিবার সঞ্চয়পত্র যৌথ নামে কেনা যায় না।

এই সঞ্চয়পত্রের মুনাফা দুইভাগে বিভক্ত। যেমন সাড়ে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রথম বছর শেষে ১০ দশমিক ২০ শতাংশ; দ্বিতীয় বছর শেষে ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ, তৃতীয় বছর শেষে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ, চতুর্থ বছর শেষে ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশ ও পঞ্চম বছর শেষে বা মেয়াদ পূর্ণ হলে সাড়ে ১২ শতাংশ মুনাফা মিলবে। চলমান সঞ্চয় স্কিমগুলোর মধ্যে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মুনাফা।

অন্যদিকে সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে মুনাফার হার প্রথম বছর শেষে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ; দ্বিতীয় বছর শেষে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ, তৃতীয় বছর শেষ ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ, চতুর্থ বছর শেষে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ ও পঞ্চম বছর শেষে বা মেয়াদ পূরণ হলে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

মাসিক মুনাফা নেওয়ার পর পাঁচ বছর শেষে মূল টাকা ফেরত পাওয়া যায়। মেয়াদপূর্তির আগে নগদায়ন করলে মাসিক মুনাফা কর্তন করে সরকার বাকি অর্থ ফেরত দেবে। যেমন প্রথম বছর চলাকালে এক লাখ টাকা ভাঙালে মুনাফা পাওয়া যাবে না।

কারা কিনতে পারবেন

এটি বিশেষায়িত সঞ্চয়পত্র। ১৮ ও তদূর্ধ্ব বয়সের যেকোনো বাংলাদেশি নারী এই সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন। যেকোনো বাংলাদেশি শারীরিক প্রতিবন্ধী পুরুষ ও নারী এবং ৬৫ ও তদূর্ধ্ব বয়সের যেকোনো বাংলাদেশি পুরুষ ও নারী চাইলে এই সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন।

কোথায় পাওয়া যায়

জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা, বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা ও ডাকঘর থেকে এই সঞ্চয়পত্র কেনা ও ভাঙানো যায়।

মূল্যমান

১০ হাজার টাকা, ২০ হাজার টাকা, ৫০ হাজার টাকা, ১ লাখ টাকা, ২ লাখ টাকা, ৫ লাখ টাকা ও ১০ লাখ টাকা।

উৎসে কর

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট বলছে, পরিবার সঞ্চয়পত্রে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সর্বমোট বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার ওপর ৫ শতাংশ হারে এবং এর অধিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন করা হয়।

অন্য সুবিধা

পরিবার সঞ্চয়পত্রের বেশ কিছু সুবিধা আছে। যেমন প্রতি মাসেই মুনাফার টাকা তোলা যায়। যেকোনো সময় নমিনি বা মনোনীতক নির্বাচন, পরিবর্তন ও বাতিল করা যায়। সঞ্চয়পত্রের ক্রেতার মৃত্যুর পর নমিনি সঙ্গে সঙ্গে সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করে টাকা উত্তোলন করতে পারেন অথবা মেয়াদ পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত যথারীতি মাসে মাসে মুনাফা উত্তোলন করতে পারেন।

হারিয়ে গেলে, পুড়ে গেলে বা নষ্ট হলে গ্রাহকের নামে বিকল্প (ডুপ্লিকেট) সঞ্চয়পত্রও ইস্যু করা হয়।

বিক্রি কমেছে ৩১%

উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন কারণে পরিবার সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কমেছে। মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেক নারী বিনিয়োগকারী পরিবার সঞ্চয়পত্র ভাঙছেন। সেই সঙ্গে বিক্রিও কমেছে।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরর প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) পরিবার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ হয়েছে ৮ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের প্রথম চার মাসে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১২ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। বিক্রি কমেছে ৩১ শতাংশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্যাম্প থেকে পালানো ৬ রোহিঙ্গা মাগুরায় আটক
  • পরিবার সঞ্চয়পত্র কীভাবে কিনবেন, মুনাফা কত