চেকপোস্টে থামতে বলায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ, আহত চার পুলিশ
Published: 15th, January 2025 GMT
চট্টগ্রামে তল্লাশির জন্য অটোরিকশা থামিয়ে হামলার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন-পটিয়ার চরকানাই গ্রামের মান্নান কোম্পানির বাড়ির মৃত মনছুর আহাম্মেদের ছেলে মো. মোরশেদ খান (৩১) ও বোয়ালখালী থানার পশ্চিম শাকপুরা গ্রামের শামসুল আলমের ছেলে মো. করিম (৩৮)।
হামলায় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। তারা হলেন- এসআই হাবিবুর রহমান ও এএসআই অসিত নাথ, কনস্টেবল আবদুল সাত্তার, আমিরুল ইসলাম ও ফরিদ শেখ।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বোয়ালখালীর দিক থেকে শহরে আসছিলেন মোরশেদ ও করিম। নগরের কালুরঘাট মোহরা চেকপোস্টে পুলিশ তাদের অটোরিকশা তল্লাশির জন্য থামার সংকেত দেয়। এসময় তারা উত্তেজিত হয়ে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু করে এবং একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়।
পুলিশের ওপর হামলার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, দুই ব্যক্তি পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। এসময় একজনকে অন্য পুলিশ সদস্যরা জড়িয়ে ধরে অটোরিকশায় তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। অপর এক পুলিশ সদস্য ঘটনাটি ভিডিও করার সময় তাকে গিয়ে ধাক্কা দেয় সে ব্যক্তি। অন্য পুলিশ সদস্যরা তাকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে ওই ব্যক্তি এক পুলিশ সদস্যের কলার ধরে টানাটানি করে এবং লাথি কেন দিয়েছে বলে চিৎকার করতে থাকে।
চান্দগাঁও থানার ওসি আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘থানার এএসআই অসিত নাথ আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে নিয়ে চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনের সময় মোরশেদ ও করিম তাদের কাজে বাধা দেন। এছাড়া পুলিশের ওপর হামলা করে তাদের জখম ও অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, পুলিশের ওপর আক্রমণ করে সাধারণ ও গুরুত্বর জখম এবং পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প ল শ র ওপর প ল শ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
১৫ জেলেকে অপহরণের অভিযোগ, আটক ৩ বনদস্যু
বঙ্গোপসাগরের চিসখালি নামক স্থানে ট্রালারসহ ১৫ জেলেকে অপহরণ করেছে বনদস্যু মজনু বাহিনীর সদস্যরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় আশপাশে থাকা অন্য ট্রলারের জেলেরা এগিয়ে এসে একটি বন্দুক ও ৩৬ রাউন্ড গুলিসহ তিন বনদস্যুকে আটক করে। পরে জব্দকৃত অস্ত্র এবং আটককৃতদের কোস্ট গার্ডের কাছে সোপর্দ করেন তারা।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে দুবলার চর ফিসারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে, গতকাল সোমবার রাতে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের মান্দরবাড়িয়ার চিসখালি নামক স্থানে মাছ ধরার সময় জেলেদের অপহরণের ঘটনাটি ঘটে।
আরো পড়ুন:
বিএনপি মামলা বাণিজ্য শুরু করেছে: ইব্রাহীম মোল্লা
রূপগঞ্জে আড়ত দখল নিয়ে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬
আটক জলদস্যুরা হলেন- মাইজে ভাই হিসেবে পরিচিত জাহাঙ্গীর হোসেন, শ্যামনগর উপজেলার আব্দুল আজিজের ছেলে রবিউল ইসলাম ও রহমত আলী। তারা তিনজন আত্মসমর্পণকারী বনদস্যু মজনুর দলের সদস্য।
দুবলার চর ফিসারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, “দুবলার চরের আলোকোল থেকে জেলেরা কয়েকটি ট্রালার নিয়ে মান্দরবাড়িয়ার বাহির সাগরের চিসখালি নামক স্থানে মাছ ধরতে যান। গতকাল রাতে বনদস্যু মজনু বাহিনীর ১০-১৫ জন সদস্য দুটি ট্রলারে এসে মাছধরা অবস্থায় জেলেদের ওপর হামলা চালায়। অস্ত্রের মুখে তারা ১৫ জেলেকে অপহরণ করে একটি ট্রলারে করে নিয়ে যায়।”
তিনি আরো বলেন, “এসময় আশপাশে থাকা মাছ ধরা অন্য ট্রলার এগিয়ে আসে। ওইসব ট্রলারের জেলেরা একটি বন্দুক ও ৩৬ রাউন্ড গুলিসহ তিন বনদস্যুকে আটক করে। পরে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক জলদস্যুদের সুন্দরবনের কোস্ট গার্ডের কাছে সোপর্দ করেন তারা। অপহৃত জেলেদের এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।”
শ্যামনগর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবীর মোল্লা বলেন, “আটক বনদস্যুদের বাগেরহাটের মোংলা থানায় হস্তান্তর করেছে কোস্ট গার্ডে। এখনো অপহৃতদের পরিবার আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। কোস্ট গার্ড অপহৃতদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।”
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ