চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে আগামী ২০ জানুয়ারি দ্বিপক্ষীয় সফরে চীনে সফরে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিন দিনের এই সফরে অর্থনীতি, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি তিস্তা প্রকল্পের বিষয়ে চীনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) নবায়ন করা হবে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চীন সফর-সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন উপদেষ্টা।

চীন সফরকালে ঋণের সুদহার কমানোসহ পরিশোধের মেয়াদ ৩০ বছর করতে প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মো.

তৌহিদ হোসেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, “অর্থনৈতিক বিষয় আলোচনায় গুরুত্ব পাবে। বাজেট সহায়তার প্রস্তাব করা হবে। আলাপ-আলোচনার মধ্যে অর্থনৈতিক বিষয়গুলো আসবে। চীনের সঙ্গে বিপুল পরিমাণ ব্যবসা হয়, বেশিরভাগই আমদানিনির্ভর।”

তিনি বলেন, “ঋণের শর্ত নিয়ে আলাপ হবে, যেমন: সুদ কমানো, ঋণ পরিশোধের সময় বাড়ানো। কমিটমেন্ট ফি তুলে দেওয়ার অনুরোধ করবে বাংলাদেশ।”

“আমাদের কিছু প্রকল্পে ঋণের সময়সীমা ১৫ বছর, কোনো ঋণের সময়সীমা ২০ বছর আছে। আমরা চেষ্টা করব এই সময়সীমা ৩০ বছর করতে।”

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “তিস্তা প্রকল্প নিয়ে না হলেও নদী ব্যবস্থাপনা নিয়ে চীনের সঙ্গে শেষ হয়ে যাওয়া এমওইউ নবায়ন করা হবে। এ সফরেই এই সমঝোতা স্মারক সই হবে।”

চলতি বছরে চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি উদযাপন করা হবে বলেও জানিয়েছেন মো. তোহিদ হোসেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেছেন, “সফরে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে চীনের সহায়তা চাইবে বাংলাদেশ। কারণ, মিয়ানমারের ওপর চীনের অনেক প্রভাব আছে।”

ঢাকা/হাসান/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পরর ষ ট র উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

মার্কিন উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধির টেলিকনফারেন্স

যুক্তরাষ্ট্রের উপজাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অ্যালেক্স এন ওং বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ (উচ্চ প্রতিনিধি) ড. খলিলুর রহমানের সঙ্গে টেলিকনফারেন্স করেছেন। দুই কর্মকর্তা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বাসসকে বলেন, নতুন মার্কিন প্রশাসন এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মধ্যে এটি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ।

মার্কিন সরকার সম্প্রতি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করেছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাহায্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী। ২০১৭ সাল থেকে তারা প্রায় ২.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবদান রেখেছে এবং জাতিসংঘকে জরুরি খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা প্রদান করে আসছে।

যুক্তরাষ্ট্র জুলাই বিদ্রোহের সময় বাংলাদেশের ছাত্রী প্রতিবাদী নেতাদের মর্যাদাপূর্ণ ম্যাডেলিন অ্যালব্রাইট অনারারি গ্রুপ অ্যাওয়ার্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ