পোষ্য কোটার দাবি: ফের রাবি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি
Published: 15th, January 2025 GMT
পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে লিচু তলায় তারা এ পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন। কর্মকর্তা, সহায়ক কর্মচারী, সাধারণ কর্মচারী, পরিবহন কর্মচারী সমিতি এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
এ সময় আইন অনুষদের কর্মচারী রফিকুল ইসলাম সদর বলেন, “যৌক্তিক দাবিতে আমরা মাঠে নেমেছি। বর্তমান প্রশাসন তাদের চেয়ার ঠিকিয়ে রাখতে আমাদের সঙ্গে নাটক শুরু করেছে। প্রশাসন যদি ভালোভাবে আমাদের দাবি না মেনে নেয়, তাহলে সামনে কঠোর কর্মসূচি অপেক্ষা করছে।”
অফিসার সমিতির কোষাধ্যক্ষ কাজী মামুন রানা বলেন, “যারা প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে নিজেদের হিরো মনে করছে, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। এ রকম আমারও একদিন ছাত্র ছিলাম, প্রশাসনের কাছ থেকে দাবি আদায় করেছিলাম। কিন্তু প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে জিম্মি করে না। যারা এ কাজ করেছে, তারা আন্দোলনের ‘আ' টাও বুঝে না। সামনে রাকসু নির্বাচনে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করার জন্য কিছু ছাত্র লাফালাফি শুরু করেছে।”
কম্পিউটার সাইন্সল্যাবের কর্মকর্তা আলাউদ্দিন মন্টু বলেন, “উপাচার্য স্যার গুটিকয়েক ছাত্রের দাবির মুখে আমাদের একটি প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধাকে বাতিল করে দিয়েছে। উপাচার্য স্যারকে বলতে চাই, আপনি দাবি মেনে নিয়ে আমাদের অফিসে ফিরিয়ে নিন। না হলে হয়তো আপনার সেই চেয়ারটি আগামীদিনে আর থাকবে না। এমন কর্মসূচি দেব, যার মাধ্যমে আপনি চেয়ার ছেড়ে দাবি মেনে নিয়ে চলে যেতে বাধ্য হবেন।”
তিনি আরো বলেন, “রাবিতে দীর্ঘদিন থেকে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা পেয়ে আসছে। কিন্তু হঠাৎ কী কারণে কয়েকটি দুষ্কৃতী ছাত্রের কারণে আমাদের এ সুবিধা বাতিল করা হলো। সেই ছাত্র ভাইকে বলতে চাই, আপনিও তো আইএস কোটাতে ভর্তি হয়েছেন। আপনি তো মাদার বখ্শ হলে জোর করে সিট নিয়েছেন। আমরা আপনার চরিত্র সম্পর্কে জানি। আপনি সেখান থেকে পদত্যাগ করে চলে যান, তাহলেই বুঝতে পারবো আপনি সঠিন ন্যায়-নীতিবান ছেলে।”
এর আগে, গত ২ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত পোষ্য কোটা বাতিল করতে বাধ্য হয়। এতে শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬, ৭ ও ৮ জানুয়ারি অবস্থান ধর্মঘট ও কর্মবিরতিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছিলেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জামায়াতে ইসলামী ফতুল্লা উত্তর থানার ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা উত্তর থানার ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) জুমাবার সকালে ইউনিট সভাপতিদের নিয়ে এ ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়।
ফতুল্লা থানা আমীর গাজী আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ও সেক্রেটারি হাফেজ এনামুল হক এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক মাসুদুর রহমান গিয়াস। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা ওমর ফারুক নোমানী, আমিন উদ্দিন মোস্তান প্রমূখ।
ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, একটি ন্যায়, ইনসাফপূর্ণ, কল্যাণমূখী রাষ্ট্র গঠনের পূর্ব শর্ত। আদর্শ চরিত্রবান সৎ, দক্ষ ও দূর্নীতিমুক্ত নেতৃত্ব।
জামায়াতে ইসলামী এমন একদল সৎ, ন্যায়নিষ্ঠ, আদর্শ ও চরিত্রবান লোক তৈরির সংগ্রাম করছে। এ লক্ষ্য অর্জনের সমাজের প্রতিটি মানুষের কাছে ইসলামি আদর্শের সুমহান আদর্শের দাওয়াত পৌঁছে দেয়া এবং প্রতিটি গ্রাম ও মহল্লায় মজবুত সাংগঠনিক ভিত্তি গড়ে তোলার জন্য তিনি তৃণমূল নতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মাসুদুর রহমান গিয়াস তার বক্তব্যে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ স্টেডিয়ামে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে যে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হবে তাতে সর্বস্তরের জনগণের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য তিনি ইউনিট সভাপতিদের প্রতি আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে গাজী আবুল কাশেম বলেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে চাদাবাজ ও দূর্নীতিবাজমুক্ত বাংলাদেশ। এ লক্ষ্য অর্জনে জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে।