শ্রীলঙ্কা সফরে একটি নয় দুটি ওয়ানডে খেলবে অস্ট্রেলিয়া
Published: 15th, January 2025 GMT
আগের সূচি অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ার শ্রীলঙ্কা সফরে ছিল দুটি টেস্ট ও একটি ওয়ানডে। কিন্তু আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি, ২০২৫) জানা গেল একটি ওয়ানডের পাশাপাশি আরও একটি ওয়ানডে খেলবে উভয় দল। মূলত আসন্ন আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রস্তুতি স্বরূপ একটি অতিরিক্ত ওয়ানডে যুক্ত করা হয়েছে এই সফরে।
চলতি মাসের ২৯ তারিখ গলে শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। এরপর আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি একই ভেন্যুতে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট।
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ শেষে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একমাত্র ওয়ানডেতে মুখোমুখি হওয়ার কথা রয়েছে দল দুটি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে সামনে রেখে একটির জায়গাও আরও একটি ওয়ানডে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। দ্বিতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি এবং ম্যাচটি দিনের আলোতে অনুষ্ঠিত হবে।
আরো পড়ুন:
মুসলিম-তামিলদের ‘মনের মানুষ’ অনূঢ়া!
জন্মদিনে ‘দুঃসংবাদ’ পেলেন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার
অবশ্য অস্ট্রেলিয়া যে দল নিয়ে টেস্ট সিরিজ খেলতে এসেছে সেই দলে নেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির স্কোয়াডের ৯ জন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজলউড। তারপরও দ্বিতীয় টেস্ট পঞ্চমদিনে গড়ালে সেটা ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যাবে। সেক্ষেত্রে একদিন বিরতি দিয়েই টেস্ট দলের ঠিক কয়জন ওয়ানডে সিরিজ খেলতে মাঠে নামতে পারবেন সেটা দেখার বিষয়।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’