বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে হারের পর শক্ত অবস্থান নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজের দলে না থাকা কেন্দ্রীয় চুক্তির ক্রিকেটারদের রঞ্জির দলে যোগ দিতে বলেছে বোর্ড। সঙ্গে ভারতের সফরে পরিবার সঙ্গে নেওয়া নিয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। 

এখন থেকে ভারতের ক্রিকেটাররা সফরের পুরো সময় পরিবার সঙ্গে রাখতে পারবেন না। সফর ৪৫ দিন বা এর বেশি হলে খেলোয়াড়রা তাদের একান্ত পরিবার, যেমন- স্ত্রী-সন্তানদের সর্বোচ্চ ১৪ দিন সঙ্গে রাখতে পারবেন। এছাড়া দীর্ঘ সফরের ক্ষেত্রে প্রথম দুই সপ্তাহ পরিবার সঙ্গে রাখতে পারবেন না ক্রিকেটাররা। 

সফর সংক্ষিপ্ত হলে ক্রিকেটাররা সর্বোচ্চ এক সপ্তাহ পরিবার সঙ্গে রাখতে পারবেন। বিসিসিআই-এর নিয়ম পূর্বে এমনই ছিল। তবে কোভিড সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে ক্রিকেটারদের সঙ্গে স্ত্রী-সন্তান রাখার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় বোর্ড। 

এছাড়া দলের অনুশীলনে যোগ দেওয়ার জন্য ক্রিকেটারদের টিম বাস ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে বোর্ড। ব্যক্তিগত গাড়িতে পরিবারের সঙ্গে অনুশীলনে না আসার জন্য বলেছে। খেলোয়াড়দের পরিবারের থাকার ব্যবস্থা দেশটির ক্রিকেট বোর্ড করলেও তাদের স্টেডিয়ামে আসা-যাওয়ার ব্যবস্থা করবে না বলেও পরিষ্কার করে দিয়েছে। 

বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজ শেষে গত শনিবার ভারতের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর, অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার বিসিসিআই কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে এসব বিষয়ে তাদের পরিষ্কার বার্তা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গম্ভীর ভারতের সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত অভিমত ভিন্ন ভিন্ন হবে। কেউ পরিবার রাখতে চাইবে, কেউ চাইবে না। শেষ পর্যন্ত ভারতের ক্রিকেটের স্বার্থই দেখতে হবে সকলের।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র ট ক হল

এছাড়াও পড়ুন:

সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু 

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার হাওরে ধান আনতে গিয়ে বজ্রপাতে আবু আইয়ূব (১৫) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যার আগে উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের সেচনী গ্রামের পাখনার হাওরে ঘটনাটি ঘটে।

মারা যাওয়া আবু আইয়ূব সিচনী গ্রামের মোহাম্মদ ইকবাল মিয়ার ছেলে।

আরো পড়ুন:

পঞ্চগড়ের সড়কে জিনেদিন জিদানের মৃত্যু

‘মুণ্ডুবিহীন লাশের পাশে পড়ে ছিল দুজন, পানি চাইলেও খাওয়ানোর আগে মৃত্যু’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সারাদিন পাখনার হাওরে ধান কাটেন আবু আইয়ুব। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে কাটা ধান নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। বজ্রাপাতে মাটিতে পড়ে যান তিনি। পরে আহত অবস্থায় স্বজনরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসকরা আবু আইয়ুবকে মৃত ঘোষণা করেন।

দিরাই থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “হাওর থেকে ধান নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় বজ্রপাতে একজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। পুলিশ পাঠাচ্ছি।”

ঢাকা/মনোয়ার/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ