ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ হতে পারে শিলংয়ে
Published: 15th, January 2025 GMT
এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের আগে মালদ্বীপের বিপক্ষে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলবে ভারত। ২০ মার্চ মালদ্বীপের বিপক্ষে সেই ম্যাচটি তারা খেলবে মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ের জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে। ২৫ মার্চ এই ভেন্যুতেই এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে বাংলাদেশকে আতিথ্য দিতে পারে ভারত। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন অনুমোদন দিলে দুই প্রতিবেশী দেশের ফুটবল লড়াইটি শিলংয়ে হবে।
এএফসির অনুমোদন পেলে লাল-সবুজের জার্সিতে হামজা চৌধুরীর অভিষেক হবে মেঘালয় রাজ্যের রাজধানীতে।
ভারতের মাটিতে সর্বশেষ বাংলাদেশ খেলেছিল ২০১৯ সালের অক্টোবরে। কলকাতার সল্টলেকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সেই ম্যাচের পর যতবার মুখোমুখি হয়েছিল দু’দল, সবক’টি অন্য দেশে। যেহেতু কলকাতায় ফুটবল খুবই জনপ্রিয়, তাই সবারই ধারণা ছিল ওপার বাংলাতে হবে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচটি। যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে দুই প্রতিবেশীর লড়াইটি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
কারণ অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন শিলংয়ে ম্যাচ আয়োজন করতে চায় বলে জানিয়ে দিয়েছে এএফসিকে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকেও। শিলংকে ভেন্যু ধরে নিয়েই পরিকল্পনা সাজাচ্ছে দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। যেহেতু ঢাকার সঙ্গে শিলংয়ের সরাসরি কোনো ফ্লাইট নেই। তাই চার্টার্ড বিমানে দলকে শিলং পাঠানোর চিন্তা করছে তারা। আর হামজা চৌধুরীকে রাজকীয় বরণ করার বিষয়টিও আলোচনা হয়েছে নির্বাহী কমিটির সদস্যদের মধ্যে।
বাফুফে সূত্রে জানা গেছে, ভারত ম্যাচের আগে সৌদি আরব কিংবা কাতারে জাতীয় দলের প্রস্তুতি ক্যাম্প করার কথা চলছে। ইতোমধ্যে দুটি দেশের ফুটবল সংস্থাকে চিঠিও দিয়েছে বাফুফে। অতীতে সৌদি গিয়ে ক্যাম্প করার অভিজ্ঞতা থাকায় মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশেই দল পাঠাতে চায় ফুটবল ফেডারেশন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ