বিজিবির বিরুদ্ধে ভারতীয় কৃষককে ধরে নেওয়ার অভিযোগ
Published: 15th, January 2025 GMT
সীমান্ত থেকে ভারতীয় এক কৃষককে ধরে নেওয়া হয়েছে—বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ভুক্তভোগী কৃষকের পরিবার দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর কাছে এমন অভিযোগ করেন।
এ ঘটনা দর্শনা সীমান্তের কাছে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার চাপড়া থানা এলাকার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী হৃদয়পুর গ্রামের।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার সকালে হৃদয়পুর গ্রামের বাসিন্দা নূর হোসেন শেখ বিএসএফ-এর কাছে তার পরিচয়পত্র জমা দিয়ে কাঁটাতার পেরিয়ে জিরো পয়েন্টের কাছে ভারতের ভূখণ্ডের মধ্যে থাকা নিজের জমিতে চাষ করতে যান। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও তিনি বাড়িতে ফিরেননি। এরপরই সীমান্তবর্তী অন্যান্য চাষিদের বরাতে জানা যায়, বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী ওই কৃষককে ধরে নিয়ে যায়।
স্থানীয় আরেক সূত্রের দাবি, ভারতীয় ওই কৃষক জমিচাষের নামে সীমান্তের কাঁটাতার অতিক্রম করলেও তিনি স্বর্ণ পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মঙ্গলবার তাকে হাতেনাতে ধরে বিজিবি।
যদিও এ বিষয়ে বিএসএফ ও বিজিবি—কেউ আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
ঢাকা/সুচরিতা/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার সীমান্তের ওপারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহতের খবর পাওয়া গেছে। তবে স্থানীয় একাধিক সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেলেও এ ব্যাপারে বিজিবির দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। নিহত যুবক হলেন কসবার পুটিয়া গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে আল আমীন (৩২)।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় কসবার পুটিয়া সীমান্তের ওপারে কয়েকজন যুবককে লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছুঁড়ে বিএসএফ। এতে আল আমীন নামে এক যুবক আহত হয়। পরে বিএসএফ সদস্যরা তাকে ভারতের হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে শুক্রবার রাত ৯টায় মারা যান তিনি। মরদেহ বিএসএফ ক্যাম্পে রয়েছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল কাদির ও কসবার বায়েক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তারা আল আমীন নামের ওই যুবকের বিএসএফের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনাটি স্থানীয় বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। তবে এ বিষয়ে বিজিবির সুলতানপুর ৬০ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।