ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন অভিনেতা সাহিল খানের স্ত্রী
Published: 15th, January 2025 GMT
দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় থেকে দূরে রয়েছেন বলিউড অভিনেতা সাহিল খান। বলা যায়, লাইমলাইটের বাইরে চলে গিয়েছেন তিনি। গত বছরের শুরুর দিকে বেলারুশের নাগরিক মেলেনাকে বিয়ে করে আলোচনায় উঠে আসেন ৪৮ বছরের এই অভিনেতা। এক বছর পর সাহিল জানালেন, তার স্ত্রী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
সাহিল তার ইনস্টাগ্রামে বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন। স্ত্রীর সঙ্গে তোলা এসব ছবির ক্যাপশনে এই নায়ক লেখেন, “খুবই গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, আমার স্ত্রী মিলেনা আলেকজান্দ্রা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। চমৎকার এই জার্নির জন্য আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন এবং আমাদের দোয়া কবুল করুন। আমিন।”
২৬ বছরের ছোট স্ত্রী মেলিনার ধর্মান্তরিত হওয়ার খবর জানানোর ব্যাপারটি ভালোভাবে গ্রহণ করেননি নেটিজেনরা। অনেকে যেমন অভিবাদন জানিয়েছেন, তেমনি অনেকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেছেন।
আরো পড়ুন:
এটা আমাদের সুখের বিবাহবিচ্ছেদ: আমিরের প্রাক্তন স্ত্রী
গায়িকা নেহা কাক্করকে গ্রেপ্তারের ছবির সত্যতা কী?
পুরাণ রাওয়াত লেখেন, “বিয়ের পরে ধর্মান্তরিত হওয়াটা কি প্রয়োজন ছিল?” পূজা লেখেন, “আপনি যদি সত্যি তাকে ভালোবাসেন, তবে আপনি কেন তাকে ধর্মান্তরিত করলেন! সে যেমন আছে, তাকে সেভাবেই গ্রহণ করুন।” পোস্ট করা ছবিতে সাহিল খানের গলায় নেকলেস দেখা যায়। তাতে খ্রিষ্টান ধর্মের প্রতীক ‘ক্রস’ রয়েছে। এ নিয়েও সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই অভিনেতা।
গত বছর বিয়ের পর হিন্দুস্তান টাইমসকে সাক্ষাৎকার দেন সাহিল খান। স্ত্রীর বিষয়ে সাহিল খান বলেন, “মিলেনার বয়স এখন ২১ বছর। সে বেলারুশের নাগরিক। সম্প্রতি পড়াশোনা শেষ করেছে। বিয়ের পর খুবই ইতিবাচক অনুভূতি হচ্ছে। এখন বুঝতে পারছি, মানুষ কেন বিয়ে করে। আমি এখন খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি।”
বয়সের ব্যবধান বাধা হয়নি তাদের সম্পর্কে। বরং বয়সের তুলনায় স্ত্রী অনেক বেশি ম্যাচিউর বলে জানান সাহিল। তার ভাষায়— “মিলেনা খুবই বুদ্ধিমতী আর সংবেদনশীল, ওর বয়স বেশ কম। আমাদের বয়সের পার্থক্য অনেক। তার বয়স ২১ হলেও অনেক তরুণীর চেয়ে মানসিকভাবে বেশি পরিণত এবং খুব শান্ত।”
সাহিল খানের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। ২০০৩ সালে ইরানি বংশোদ্ভূত নরওয়েজিয়ান অভিনেত্রী নেগার খানকে বিয়ে করেন সাহিল। ২০০৫ সালে ভেঙে যায় এই সংসার।
অভিনয় থেকে দূরে থাকার কারণ ব্যাখ্যা করে সাহিল খান বলেছিলেন, ‘আমি সিনেমায় অভিনয়ের কাজ পাচ্ছিলাম না। এজন্য দীর্ঘদিন অভিনয় থেকে দূরে। শুধু রিয়েলিটি শোয়ের প্রস্তাব পাচ্ছিলাম, বিনিময়ে মোটা অঙ্কের অর্থ পেতাম কিন্তু কাজগুলো করি নি। আমি দুর্ঘটনাবশত অভিনেতা হয়েছিলাম। সিনেমাও হিট হয়েছিল। তাই কিছুদিন ক্যারিয়ার ছিল।’
২০০১ সালে ‘স্টাইল’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন সাহিল খান। সিনেমাটি বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেছিল। এরপর বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেন। ২০১০ সালে সর্বশেষ মুক্তি পায় তার অভিনীত সিনেমা।
সাহিল বর্তমানে দুবাইয়ে বসবাস করছেন। যদিও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা মুম্বাইয়ে রয়েছেন। আপাতত ব্যবসায় মন দিয়েছেন বলেও জানান এই অভিনেতা।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র র বয়স
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় নারী হাজতখানায় পরিবারের সঙ্গে পুরুষ আসামির সাক্ষাৎ
বগুড়ায় আলোচিত ১৭ মামলার আসামি তুফান সরকারকে আদালতের নারী হাজতখানায় পরিবারের পাঁচ সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে আদালত পুলিশের ২ সদস্যকে প্রত্যাহার ও ৫ সাক্ষাত প্রার্থীকে ৫৪ ধারায় চালান দেওয়া হয়েছে।
সোমবার বিকেলে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যাহার করা পুলিশের ২ সদস্য হলেন- সহকারী টাউন উপ-পরিদর্শক (এটিএসআই) জয়নাল আবেদিন ও নারী কনস্টেবল ইকসানা খাতুন।
জানা যায়, তুফান সরকার বগুড়া শহর যুব শ্রমিকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর এলাকার মজিবর সরকারের ছেলে। তিনি হত্যা, মাদক, ধর্ষণ, ছিনতাইসহ ১৭ মামলার আসামি।
জানা যায়, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দ্বিতীয় তলায় নারী হাজতখানার দরজা কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। ভেতরে তুফান সরকার, তার স্ত্রী, ছোট বোন, শাশুড়ি, স্ত্রীর বড় বোন এবং একজন আইনজীবীর সহকারী মিলে গল্প করছিলেন। পরে নারী হাজতখানায় পুরুষ আসামি ঢুকার বিষয়টি জানাজানি হলে আদালত চত্বরে হৈ চৈ পড়ে যায়। পরে দ্রুত তুফান সরকারকে প্রিজন ভ্যানে কারাগারে পাঠানো হয়।
এসময় তুফান সরকারের সঙ্গে দেখা করতে আসা নারী হাজত খানা থেকে ওই ৫ জন সরে যান। পরে তাদের আদালত চত্বর থেকে আটক করে ৫৪ ধারায় চালান দেওয়া হয়।
আটক ৫ জন হলেন, তুফানের শাশুড়ি তাসলিমা বেগম, তুফান সরকারের স্ত্রী আশা বেগম, শ্যালিকা ফেরদৌসি বেগম, শ্যালক নয়ন, তুফানের আইনজীবীর সহকারী হারুনুর রশিদ।
বগুড়া আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, সকালে তুফান সরকারকে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালতে হাজিরার জন্য কারাগার থেকে আনা হয়। কারাগার থেকে আনা অন্য সব হাজতিকে দুপুরের মধ্যেই প্রিজন ভ্যানে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু বাদ পড়ে তুফান সরকার। হাজতখানার চাবি এটিএসআই জয়নাল আবেদিনের কাছে থাকে। তুফান সরকারকে কারাগারে না পাঠিয়ে তাকে নারী হাজতখানায় পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত করার সুযোগ করে দেয় জয়নাল আবেদিন। আদালতের সবার অগোচরে ঘটনাটি ঘটে।
বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, পুরুষ আসামিকে নারী হাজত খানায় পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে এটিএসআই জয়নাল আবেদিন ও এক নারী কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের আরও যাদের গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে এক কলেজ ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে তুফান সরকারের বিরুদ্ধে। পরে শালিস ডেকে ভুক্তভোগী নারী ও তার মা'কে দোষী উল্লেখ করে মারধর করে এবং মা-মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে দেয় তুফান সরকার। সেই ঘটনায় দেশ জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হলে তুফান সরকার গ্রেপ্তার হয়।