বিচ্ছেদকে কেন দড়ির গিঁট ছাড়ানোর সঙ্গে তুলনা করলেন কিরণ
Published: 15th, January 2025 GMT
বলিউডের অন্যতম আলোচিত তারকা জুটি আমির খান ও কিরণ রাও। সংসার ভাঙার পর তাদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কম হয়নি। এখনো তা চলমান। বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে একাধিকবার কথাও বলেছেন কিরণ রাও। কয়েক দিন আগে ফিল্মফেয়ারকে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। সেখানে কিরণ রাও দাবি করেন- এটি তাদের ‘সুখের বিবাহবিচ্ছেদ।’
বিচ্ছেদের পরেও বন্ধুত্ব বজায় রেখেছেন আমির খান ও তাঁর স্ত্রী কিরণ রাও। এক সাক্ষাৎসারে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ খুবই মসৃণভাবে ঘটেছিল। কারণ এমন একটি জায়গায় পৌঁছাতে আমাদের সময় লেগেছিল; যেখানে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য প্রস্তুত ছিলাম। ডিভোর্সের ব্যাপারটি নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন আলোচনা করেছি। আমরা যখন বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেই তখন তা খুবই সচেতনভাবে নিয়েছিলাম। আমরা কখনো মারামারি করিনি। কিন্তু আমাদের তর্ক হতো। আবার সেটা ১২ ঘণ্টার মধ্যে মিটেও যেত। এ ধরনের মতবিরোধ বাবা-মায়ের সঙ্গেও হতে পারে।’
কিরণ বলেন, ‘আমাদের সম্পর্কে বাঁচিয়ে রাখার মতো অনেক কিছু ছিল। আমরা আমাদের সন্তানকে ছুড়ে ফেলে দিতে চাইনি। আমরা এমনভাবে এগিয়েছি যাতে একটা দড়ি টুকরো না হয়ে যায়। বরং একটা দড়ি থেকে গিঁট ছাড়ানোর চেষ্টা করেছি। আমরা সময় নিয়ে সেই গিঁট ছাড়িয়েছি।’
আমির খানের সঙ্গে কিরণ রাওয়ের সম্পর্ক প্রেম-শ্রদ্ধার মোড়কে আবদ্ধ। এ তথ্য উল্লেখ করে পরিচালক কিরণ রাও বলেন, ‘ আমির আমার বন্ধু। কেবল তাই নয় নানাভাবে সে আমার শিক্ষক। সে আমার সাপোর্ট সিস্টেম এবং সবসময় এটা ছিল। কিন্তু এমন কিছু দিন এসেছে, যখন সে আমার প্রতি রাগ করেছে।’
আমির খান ও কিরণ রাও তাদের ডিভোর্সকে ‘সুখের বিবাহবিচ্ছেদ’ বলে অভিহিত করেন। এই তথ্য উল্লেখ করে আমিরের মা-সন্তানদের সঙ্গে সম্পর্ক ব্যাখ্যা করেন কিরণ রাও। তার ভাষায়— “তার (আমিরের মা) মা এখনো আমার শাশুড়ির মতো। জুনায়েদ, ইরা আমার প্রিয় বন্ধু।’
‘লগান’ সিনেমার সেটে আমির ও কিরণের পরিচয় হয়। এরপর তাদের বন্ধুত্ব থেকে প্রেম এবং ২০০৫ সালে এই জুটির বিয়ে হয়। তারও আগে ভালোবেসে পাশের বাড়ির মেয়ে রিনা দত্তকে বিয়ে করেছিলেন আমির। কিন্তু তার সেই সংসারও টেকেনি। সূত্র: আনন্দবাজার।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শাসনকাঠামো বদলে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু করতে চাই: নাহিদ ইসলাম
পুরোনো সংবিধান ও শাসনকাঠামো রেখে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এগুলো পরিবর্তন করে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু করতে হবে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বারবার দীর্ঘায়িত করা হয়েছে জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এবার যাতে আর দীর্ঘায়িত না হয়, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান ব্যর্থ না হয়। পুরোনো সংবিধান এবং পুরোনো শাসনকাঠামো রেখে একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়। কেবল সরকার পরিবর্তন করেই জনগণের কল্যাণ ও প্রকৃত গণতন্ত্র বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। এ জন্য আমরা বলছি, চব্বিশের যে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে, ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়েছে—তাতে কেবল সরকার পরিবর্তন নয়, বরং শাসনকাঠামো ও সাংবিধানিক পরিবর্তন করে নতুন একটি বাংলাদেশের যাত্রা শুরু করতে চাই, যেখানে প্রকৃত গণতন্ত্র, ইনসাফ ও সাম্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর প্রথম কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ এনসিপির নেতা–কর্মীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পরে দেশের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘১৯৪৭ থেকে ২০২৪–এর সব লড়াইয়ের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে আমরা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব এবং সেই লক্ষ্যে এনসিপি কাজ করে যাচ্ছে। আমরা বলেছি, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেলেও আমাদের সার্বভৌমত্ব বারবার হুমকির মুখে পড়েছে। আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো বারবার ভেঙে পড়েছে। আমরা একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান গড়ে তুলতে পারিনি। একটি একদলীয় সংবিধানের মাধ্যমে ফ্যাসিজম এবং একদলীয় স্বৈরতন্ত্রের বীজ বপন করা হয়েছিল।’
এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আমরা বলেছি, একটি নতুন প্রজাতন্ত্র আমাদের করতে হবে এবং তার জন্য একটি নতুন সংবিধান এবং গণপরিষদ প্রয়োজন। সেই জায়গা থেকে আমরা “সেকেন্ড রিপাবলিক”-এর কথা বলেছি এবং আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। জাতীয় নাগরিক পার্টির এ মুহূর্তে প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে সাংগঠনিকভাবে তার কার্যক্রম বিস্তৃত করা, তৃণমূলে সাংগঠনিক কার্যক্রম বিস্তৃত করা। নিবন্ধন নিতে যে ধরনের শর্তাবলি পূরণ করা প্রয়োজন, সে শর্তাবলি দ্রুত সময়ের মধ্যে পূরণ করে আমরা নিবন্ধনের দিকে এগোব। এ মাসের মধ্যে আমাদের যে গঠনতন্ত্রের কাজ, সেই কাজ শুরু করব।’
আরও পড়ুনজাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানালেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা১ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে গণ-অভ্যুত্থান এবং গত ১৫ বছরে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার বিচার দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর দেখতে চাই। বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ফয়সালা এই বাংলার মাটিতে করতে হবে। গণ-অভ্যুত্থানে আমাদের প্রতিশ্রুতি ছিল, যারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এবং ১৫ বছর ধরে নানা ধরনের জুলুম করেছে, তাদের বিচার এই বাংলার মাটিতে হতে হবে। এই বিচার বাংলাদেশের মানুষ দেখতে চায়। বিচারের পর সংস্কার কার্যক্রম করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্রুত জাতীয় সংলাপে গিয়ে আমাদের জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন আমরা দেখতে চাই।’