পাঠ্যবই থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত চিত্রকর্ম বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে পাঠ্যপুস্তক ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ওই চিত্রকর্ম বাদ দেওয়ার পক্ষে অবস্থান নেওয়া অন্যপক্ষ। এতে অনেকে আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

আহতদের মধ্যে দশজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- শ্রেষ্ঠা রূপাইয়া (২৪), ইসাবা শুহরাত (২৫), রেংইয়ং ম্রো (২৭), ফুটন্ত চাকমা, ধনজেত্রা (২৮), অনন্ত ধামায়, ডিবিসির সাংবাদিক জুয়েল মার্ক (৩৫), শৈলী (২৭), দনওয়াই ম্রো (২৪) ও তনিচিরাং (৩০)। তাদের সবাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

আজ বুধবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে রাজধানীর মতিঝিলে মেট্রো স্টেশনের নিচে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে নিতে দেখেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

মতিঝিল পরিদর্শক তদন্ত মোহায়মেনুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদের ধাওয়া খেয়ে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত চিত্রকর্মের পক্ষে বিক্ষোভকারী চলে গেছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। ছাত্ররা সড়কের একপাশে অবস্থান করছে।

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে ‘আদিবাসী’ শব্দ সংবলিত একটি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছিল। সেখানে একটি গাছের পাঁচটি পাতায় লেখা ছিল মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও আদিবাসী; পাশে লেখা ছিল ‘পাতা ছেঁড়া নিষেধ’।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী ‘স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি’ ব্যানারে গত ১২ জানুয়ারি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড- এনসিটিবি ঘেরাও করার পর রাতে ওই বইয়ের অনলাইন সংস্করণ থেকে চিত্রকর্মটি সরিয়ে ফেলা হয়।

এর প্রতিবাদে আজ সকাল ১১টায় পাঠ্যপুস্তক ভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেয় ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্রজনতা’ নামে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন। পরে ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’ও একইসময়ে পাঠ্যপুস্তক ভবন ঘেরাও করার ঘোষণা দেয়।

মতিঝিল মেট্রো স্টেশনের নিচে খাবার বিক্রয়কারী খায়রুল ইসলাম বলেন, পাঠ্যপুস্তক ভবন এর সামনে বেশ কিছু আদিবাসী অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। এর একটু পরে এক দল শিক্ষার্থী এসে তাদেরকে এখান থেকে হটিয়ে দেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে হাসপাতালে নিতে দেখা গেছে। তবে আহতদের নাম পরিচয় জানতে পারিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অবস থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

পুলিশের সোর্স ভেবে ইউপি সদস্য ও তার স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত 

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে পুলিশের সোর্স মনে করে নাজিম খান ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মাইদুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী জবা বেগমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে তার প্রতিবেশী মাদক ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন। পরে আহতদের উদ্ধার করে রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

রবিবার (২ মার্চ) বিকেলে ইউপি সদস্য মাইদুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (১ মার্চ) গভীর রাতে যৌথ বাহিনী নাজিমখান ইউনিয়নের রামকৃষ্ণ গ্রামের মন্ডল পাড়া এলাকায় বেশ কয়েকজন মাদক কারবারীদের বাড়িতে অভিযান চালায়। এর মধ্যে ইয়াবা ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিনের বাড়িতেও অভিযান করে। যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে নিজাম সটকে পড়ে। এসময় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৯২১ গ্রাম গাঁজা এবং ১৫ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। 

আকটকৃতরা হলেন- বাছড়া মন্ডলপাড়া এলাকার আতাউর রহমানের ছেলে গণি মিয়া (৩৪) ও গকুলা গ্রামের মৃত আফসার আলী ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩২)।

পরদিন রবিবার বিকালে ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মাইদুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী জবা বেগমকে পুলিশের সোর্স ভেবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিতভাবে কুপিয়ে জখম করে। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে গেলে ইয়াবা ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

মাদক ব্যবসায়ী নিজামের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা রয়েছে। তার ভাই একজন পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ায় সেই প্রভাব দেখিয়ে এলাকায় মাদকের সয়লাব ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে রাজারহাট থানা পুলিশের (ওসি-তদন্ত) তছলিম উদ্দিন বলেন, “কুপিয়ে আহত করার ঘটনা শুনেছি। তবে এই ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

ঢাকা/বাদশাহ্/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস মুছে যেতে দেবে না জামায়াত: শফিকুর রহমান
  • রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কোটা চালু করা হয়েছে: বিন ইয়ামিন
  • পুলিশের সোর্স ভেবে ইউপি সদস্য ও তার স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত