দেশের উত্তরাঞ্চলের দুই জেলা ঠাকুরগাঁও ও কুড়িগ্রামে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে আমান গ্রুপ।

‘হাতে হাত রেখে কাজ করি-উষ্ণতার বন্ধনে দেশ গড়ি’– এ স্লোগানকে সামনে রেখে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। সোমবার ও মঙ্গলবার চার শতাধিক মানুষ এসব শীতবস্ত্র হাতে পেয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে নাজমুল এন্টারপ্রাইজের আয়োজনে শহরের জেআর কমিউনিটি সেন্টারে দুই শতাধিক মানুষের মধ্যে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আমান সিমেন্টের এজিএম জিল্লুর রহমান, আরএসএম হাসিনুর রহামান, নাজমুল এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর নাজমুল ইসলামসহ অনেকে।

এর আগের দিন সোমবার বিকেলে টাপুরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দুই শতাধিক দরিদ্র মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হলোখানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.

রেজাউল করিম রেজা।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমান ফিডের পরিবেশক রোস্তম আলী, আমান সিমেন্টের এজিএম জিল্লুর রহমান, সহ-ব্যবস্থাপক ইমাম হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক জি এম ক্যাপ্টেন প্রমুখ।

বিতরণ অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন আমান সিমেন্টের পরিবেশক আলহাজ আমিনুল ইসলাম।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ তবস ত র ব তরণ

এছাড়াও পড়ুন:

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি: পেঁপে ছাড়া ৫০ টাকার নিচে নেই কোনো সবজি

সরবরাহ কমের অজুহাতে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। অধিকাংশ সবজি কিনতে গুণতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। সেই সঙ্গে দাম বেড়েছে মাছেরও। এতে অস্বস্তিতে পড়ছেন ক্রেতারা।

কয়েকজন ক্রেতা জানান, শীত মৌসুমের সবজি নিয়ে যে স্বস্তি ছিল, তা এখন আর নেই। বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম ৬০ টাকার ওপরে। কোনো কোনটির দাম একশো পেরিয়েছে।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি পটল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর চেয়ে কমে শুধু পেঁপে পাওয়া যাচ্ছে, তাও ৫০ টাকা কেজিতে। এছাড়া, করলা, বেগুন, বরবটি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।

সবচেয়ে বেশি দাম দেখা গেছে কাঁকরোলের। গ্রীষ্মকালীন এই সবজিটি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। সজনে ডাঁটা ১২০ থেকে ১৪০ টাকা।

তবে ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি পণ্যের দাম আগের মতোই আছে। পেঁয়াজের দামও কয়েক সপ্তাহ বেড়ে এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় আটকে আছে।

এদিকে, মাছের বাজারেও বাড়তি দাম দেখা গেছে। মা ইলিশ সংরক্ষণে নদীতে মাছ ধরা বন্ধ ও চাষের মাছের সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। এর মধ্যে, সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ইলিশ ও চিংড়ির দাম।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ প্রতি পিস ২ থেকে ৩ হাজার টাকা দাম হাঁকা হচ্ছে। অন্যদিকে, প্রতিকেজি চাষের চিংড়ি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, নদীর চিংড়ি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা জানান, স্বাভাবিক সময়ে এসব মাছের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কম থাকে। এছাড়া কই, শিং, শোল, ট্যাংরা, চাষের রুই, তেলাপিয়া,পাঙাশ ও পুঁটি মাছও আগের চেয়ে কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।

ঢাকা/সুকান্ত/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ