ফরিদপুরে অটোরিকশার ব্যাটারির জন্য হত্যা করা হয় হোসাইনকে
Published: 15th, January 2025 GMT
মাত্র সাড়ে ছয় হাজার টাকার ব্যাটারির জন্য ফরিদপুরে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ১৩ বছর বয়সী রিকশাচালক হোসাইনকে। হত্যার মূল আসামি ফরিদপুর শহরের ভাটি লক্ষীপুরের তুষার চৌধুরীর ছেলে তুফান চৌধুরীকে (২১) গ্রেপ্তারের পর এ তথ্য জানান পুলিশ।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল জলিল।
তিনি জানান, লাশ উদ্ধারের পর থেকে আসামি সনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য মাঠে নামে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ফরিদপুর শহরে অভিধান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় চুরি করা ব্যাটারি কেনার জন্য দোকানদার শহরের লক্ষ্মীপুর এলাকার আলামিনকেও (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরো জানান, মাত্র সাড়ে ৬ হাজার টাকার বিনিময়ে আলামিনের কাছে ব্যাটারি বিক্রি করে হত্যার মূল আসামি তুফান। অটোরিকশার ব্যাটারির জন্যই হত্যা করা হয় হোসাইনকে।
এর আগে গত ৩ জানুয়ারি সকালে ভাটি লক্ষ্মীপুরে থেকে হোসাইনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গলায় রশি পেঁচিয়ে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় হোসাইনকে।
নিহত হোসাইনের বাড়ি শহরের চর টেপাখোলা ব্যাপারীপাড়া। তার বাবার নাম মৃত খোকা ব্যাপারী। তার মৃত্যুর মাত্র এক সপ্তাহ আগে তার বাবা মারা যান।
ঢাকা/তানিম/ইমন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই
দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’
এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’