অনেকেরই গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যা রয়েছে। অনেক সময় এই সমস্যা থেকে মাথাব্যথাও হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকস্থলী ও মস্তিষ্কের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সিস্টেমের সমস্যার কারণে অনেকেই মাথা ব্যথায় ভোগেন। পেটের সমস্যা আমাদের দৈনন্দিন রুটিনে ব্যাঘাত ঘটায়। বদহজমের সমস্যা হলে যেকোনও ব্যক্তির কাজেও প্রভাব ফেলে। সঠিক খাবার না খাওয়া এবং সঠিক সময়ে খাবার না খাওয়া পেটের সমস্যার মুল কারণ। আমাদের খাবার যাতে সঠিকভাবে হজম হয়,এজন্য কিছু ব্যবস্থা অনুসরণ করা জরুরি। যেমন-

হালকা গরম পানি: হালকা গরম পানি আমাদের পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে এবং পেটের ব্যথা দূর করতেও সাহায্য করে। এটি খেলে পেটও আরাম পায়। 

আদা: আদা বহু উপকারী গুণের জন্য পরিচিত। এটি অনেক সমস্যার সমাধান করে এবং গ্যাস সম্পর্কিত সমস্যাও দূর করে। এজন্য হালকা গরম পানিতে আদা মধু মিশিয়ে পান করুন। 

মৌরি: গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মৌরিও উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি খেতেও সুস্বাদু এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। 

হালকা খাবার: যদি আপনার গ্যাসের সমস্যা থাকে, তাহলে মসলাদার এবং ভাজা খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। সম্ভব হলে হালকা খাবার খান এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অনুসরণ করুন। 

পুষ্টিকর খাবার: যদি আপনার গ্যাসের সমস্যা থাকে, তবে আপনার সর্বদা পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত। 

জোয়ান: জোয়ান ব্যবহার গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। এজন্য গরম পানিতে জোয়ান মিশিয়ে পান করতে পারেন। চাইলে প্রতিদিন আধা চা চামচ জোয়ান খেতে পারেন। 

কালোজিরা: এতে এমন কিছু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যা গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী। এজন্য ১ চামচ কালোজিরা নিয়ে চিবিয়ে খান। এছাড়াও এক গ্লাস পানিতে ১ চামচ কালোজিরা মিশিয়ে খেতে পারেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ য স র সমস য ট র সমস য গরম প ন

এছাড়াও পড়ুন:

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়। 

নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)। 
 
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।

হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে। 

একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে  আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ