ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান অভিনীত প্যান ইন্ডিয়ান সিনেমা ‘দরদ’ দেশের সিনেমাহলে মুক্তি পেয়েছিল গত বছর ১৫ নভেম্বরে। মুক্তির দুই মাস পরেই সিনেমাটি ওটিটিতে আসছে। দরদ-এ সাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন বলিউড অভিনেত্রী সোনাল চৌহান।
সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আইস্ক্রিন তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ‘দরদ’র একটি পোস্টার শেয়ার করে মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আইস্ক্রিনের ওই পোস্ট বুধবার দুপুর ১২টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার দিয়েছেন সিনেমাটির পরিচালক অনন্য মামুন। যদিও মুক্তির তারিখ এখনও জানানো হয়নি।
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় রোমান্টিক সাইকো-থ্রিলার ঘরানার সিনেমা দরদ। এর গল্প এগিয়েছে বারানসিতে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি খুন হতে থাকার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। খুনী হিসেবে সন্দেহের তীর গিয়ে পড়ে দুলু মিয়ার ওপর। এতে দুলু মিয়ার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শাকিব খান। সিনেমাতে ফাতিমা চরিত্রে দেখা গেছে সোনাল চৌহানকে। সিনেমাটির কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন অনন্য মামুন। প্রযোজক হিসেবে আছেন অশোক ধানুকা, হিমাংশু ধানুকা, কামাল মোহাম্মদ কিবরিয়া ও অনন্য মামুন। শাকিব ও সোনাল ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন পায়েল সরকার, রাহুল দেব, অলোক জৈন, রাজেশ শর্মা, সাফা মারুয়া, ইমতু রাতিশ, তানভীর তারেকসহ অনেকে।
আরো পড়ুন:
‘টাইগার যখন ঘুরে তাকায়, সব বরবাদ হয়ে যায়’
প্রবীর মিত্রের মৃত্যুতে তারকাদের শোক-শ্রদ্ধা
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’