কিশোরগঞ্জ সদর থানায় এবার মামলা হয়েছে সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজিব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১২৪ জনের বিরুদ্ধে।

তবে শেখ হাসিনাকে এক নম্বর, শেখ রেহানাকে দুই নম্বর ও আবদুল হামিদকে করা হয়েছে তিন নম্বর আসামি। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ২০০ থেকে ২৫০ জনকে।

বিস্ফোরকসহ বিভিন্ন ধারায় মঙ্গলবার বিকেলে মামলাটি করেছেন সদর উপজেলার উত্তর লতিবাবাদ এলাকার আবু তাহের ভূঁইয়ার ছেলে বিএনপি কর্মী তহমুল ইসলাম মাজহারুল (২৭)।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

আব্দুল্লাহ আল মামুন মামলার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

গত ৪ আগস্ট দুপুর ১২টায় জেলা শহরের গৌরাঙ্গবাজার এলাকায় বৈষম্যবিরোধী মিছিলে হামলা হলে বাদী গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। চিকিৎসা নেওয়ার কারণে মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

মামলায় শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান সিদ্দিক ববি, সাবেক প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস, সাবেক যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনসহ ভিআইপি পর্যায়ের ব্যক্তিদের এ মামলার আসামি করা হয়েছে।

বিবাদীদের ইন্ধনেই ৪ আগস্টের হামলাটি হয়েছিল বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়। 

নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)। 
 
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।

হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে। 

একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে  আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ