ছাত্রদের মিছিলে গুলি: সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 15th, January 2025 GMT
কিশোরগঞ্জ সদর থানায় এবার মামলা হয়েছে সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজিব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১২৪ জনের বিরুদ্ধে।
তবে শেখ হাসিনাকে এক নম্বর, শেখ রেহানাকে দুই নম্বর ও আবদুল হামিদকে করা হয়েছে তিন নম্বর আসামি। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ২০০ থেকে ২৫০ জনকে।
বিস্ফোরকসহ বিভিন্ন ধারায় মঙ্গলবার বিকেলে মামলাটি করেছেন সদর উপজেলার উত্তর লতিবাবাদ এলাকার আবু তাহের ভূঁইয়ার ছেলে বিএনপি কর্মী তহমুল ইসলাম মাজহারুল (২৭)।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.
গত ৪ আগস্ট দুপুর ১২টায় জেলা শহরের গৌরাঙ্গবাজার এলাকায় বৈষম্যবিরোধী মিছিলে হামলা হলে বাদী গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। চিকিৎসা নেওয়ার কারণে মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
মামলায় শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান সিদ্দিক ববি, সাবেক প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস, সাবেক যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনসহ ভিআইপি পর্যায়ের ব্যক্তিদের এ মামলার আসামি করা হয়েছে।
বিবাদীদের ইন্ধনেই ৪ আগস্টের হামলাটি হয়েছিল বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কর্তৃপক্ষের আশ্বাস শিক্ষার্থীদের শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার
দাবি পূরণে কর্তৃপক্ষের আশ্বাস পেয়ে শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। পরে একাডেমিক ভবনের ফটকের তালা খুলে কলেজে প্রবেশ করেন তারা।
আরো পড়ুন: সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য শাটডাউন
আরো পড়ুন:
কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, খুলেছে হল
আন্দোলনে ফিরছেন কারিগরি শিক্ষার্থীরা, ঢাকায় আসছেন প্রতিনিধিরা
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- মেডিকেলের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী প্রিয়াশ চন্দ্র দাস ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মৌনতা নাথ মিশি।
শিক্ষার্থীরা জানান, ওয়ার্ড ক্লাস সুবিধা ও হাসপাতাল চালুর দাবিতে গত ১৫ এপ্রিল থেকে ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়ে আন্দোলন করে আসছিলেন তারা। গত ২০ এপ্রিল সড়ক অবরোধ করেন তারা। গত ২১ এপ্রিল দাবি না মানা পর্যন্ত একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে শাটডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্বাস্থ্যবিভাগ ও কলেজ কর্তৃপক্ষের বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে দুই দফা দাবি পূরণে আশ্বাস দেন কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের কার্যক্রম চালুর আগ পর্যন্ত সপ্তাহে ছয়দিন সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে শিক্ষার্থীদের ক্লিনিক্যাল ক্লাস সুবিধা দিতে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেখানে পদায়ন।শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য প্রয়োজনীয় বাস সরবরাহ। দ্রুত অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ করে নতুন হাসপাতাল চালুতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়ায় আশ্বস্ত হন শিক্ষার্থীরা। এ কারণে কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। দাবি যথাযথ প্রতিফলন না হলে ভবিষ্যতে আন্দলোনে নামার কথাও জানান তারা।
গত কয়েকদিন ধরেই পর্যাপ্ত ওয়ার্ড সুবিধা না দেওয়ার প্রতিবাদ ও দ্রুত হাসপাতাল চালুর দাবিতে আন্দোলন করেছেন সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা/মনোয়ার/মাসুদ