অনেকেই আছেন যারা রাতের শিফটে কাজ করেন। দিনের পর দিন এই সময়ে কাজ করা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়। তবে এই অভ্যাস শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। সুস্থ থাকতে প্রতিদিন যতটা ঘুমের প্রয়োজন, রাতের শিফটে কাজ করলে সেটা হয় না। ঘুমের ঘাটতি হলে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। ঘুমের অভাবে ওজনও বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে হরমোনজনিত সমস্যাও দেখা দেয়। দীর্ঘ দিন এভাবে চললে শরীরে বড় ধরনের অসুখের ঝুঁকি বাড়ে। যারা নিয়মিত রাতের শিফটে কাজ করেন সুস্থ থাকতে তাদের কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। যেমন-

১.

রাতে খিদে পেলে ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার খাবেন না। বরং সঙ্গে চিয়া, সয়াবীজ, শুকনো বাদাম, মুড়ি রাখতে পারেন। অনলাইনে হুটহাট বার্গার, মোমো, চিকেন ড্রাম স্টিকস অর্ডার করে বসবেন না।

২. রঙিন শাকসব্জি খাওয়া ভীষণ জরুরি। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ শাকসবজি যত বেশি খাবেন, শরীর ততটাই ফুরফুরে এবং চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে। টমেটো, গাজর, স্ট্রবেরি, কমলালেবু বেশি করে খান।

৩. যারা নিয়মিত রাতের শিফটে কাজ করেন তাদের মধ্যে অনেকেই সঙ্গে করে খাবার নিয়ে যান। কিন্তু কাজের চাপে খেতে খেতে বহু দেরি হয়ে যায়। বেশি রাতে খাবার খেলে হজমের সমস্যা শুরু হয়। তাতে কাজেও প্রভাব পড়তে পারে। খুব ভালো হয় রাতে যদি হালকা খাবার খাওয়া যায়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি

হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী। 

বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়। 

এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।

স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ