রাতের শিফটে কাজের সময় যা মেনে চলা জরুরি
Published: 15th, January 2025 GMT
অনেকেই আছেন যারা রাতের শিফটে কাজ করেন। দিনের পর দিন এই সময়ে কাজ করা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়। তবে এই অভ্যাস শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। সুস্থ থাকতে প্রতিদিন যতটা ঘুমের প্রয়োজন, রাতের শিফটে কাজ করলে সেটা হয় না। ঘুমের ঘাটতি হলে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। ঘুমের অভাবে ওজনও বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে হরমোনজনিত সমস্যাও দেখা দেয়। দীর্ঘ দিন এভাবে চললে শরীরে বড় ধরনের অসুখের ঝুঁকি বাড়ে। যারা নিয়মিত রাতের শিফটে কাজ করেন সুস্থ থাকতে তাদের কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। যেমন-
১.
২. রঙিন শাকসব্জি খাওয়া ভীষণ জরুরি। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ শাকসবজি যত বেশি খাবেন, শরীর ততটাই ফুরফুরে এবং চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে। টমেটো, গাজর, স্ট্রবেরি, কমলালেবু বেশি করে খান।
৩. যারা নিয়মিত রাতের শিফটে কাজ করেন তাদের মধ্যে অনেকেই সঙ্গে করে খাবার নিয়ে যান। কিন্তু কাজের চাপে খেতে খেতে বহু দেরি হয়ে যায়। বেশি রাতে খাবার খেলে হজমের সমস্যা শুরু হয়। তাতে কাজেও প্রভাব পড়তে পারে। খুব ভালো হয় রাতে যদি হালকা খাবার খাওয়া যায়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়।
নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)।
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।
হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে।
একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।