আলোচিত সেই ক্যাডেট এসআই ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত
Published: 15th, January 2025 GMT
রাজশাহীর চারঘাটের বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদাতে প্রশিক্ষণরত ক্যাডেট উপপরিদর্শকদের (এসআই) সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত এই কুচকাওয়াজে ৪০তম ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর ব্যাচের ৪৮০ জনকে পাসিং আউট দেওয়া হয়।
এর আগে অনিবার্য কারণে দুই দফায় তাদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত করা হয়েছিল। একই ব্যাচের ৩১২ জনকে বিভিন্ন অভিযোগে প্রথমে শোকজ ও পরে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অভিবাদন গ্রহণ করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। এ ছাড়া তিনি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারীদের মধ্যে পদক বিতরণ করেন। সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ রেজাউল করিম প্যারেড কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে বেস্ট একাডেমিক হিসেবে ক্যাডেট (এসআই) মো.
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ মহাপরিদর্শক শিক্ষানবিশ ক্যাডেটদের উদ্দেশ্যে বলেন, পরিবর্তিত সমাজের সারধী হিসেবে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় জনসেবায় আপনারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন। পুলিশের উপপরিদর্শক খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা পদ, কারণ ৯০ ভাগ ফৌজদারি অপরাধের তদন্ত আপনারা করে থাকেন। অপরাধ দমন, জনগণের সম্পত্তির নিরাপত্তা প্রদান ও শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা পুলিশের প্রধান দায়িত্ব। পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করে একটি দল নিরপেক্ষ সংস্থায় উন্নয়ন করতে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ সংস্কার কমিশন। পুলিশের মনোবল পুনরুদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।
পুলিশ একাডেমি সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর একাডেমিতে ৮২৩ জন ক্যাডেট এসআইয়ের এক বছর মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। প্রশিক্ষণ শুরুর পরই নানা অভিযোগে ডিসচার্জ হন ২২ জন। গেল বছরের ৪ নভেম্বর ৮০১ জনের প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার কথা ছিল। দুই দফা প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজের সময় নির্ধারণ হলে অনিবার্য কারণে তা স্থগিত হয়। এর মধ্যে নাস্তা না খেয়ে হইচই, ক্লাসে অমনোযোগী এবং বিশৃঙ্খলার অভিযোগে গত ২১ অক্টোবর ২৫২ জন, ৪ নভেম্বর ৫৮ জন, ১৮ নভেম্বর ৩ জন এবং সর্বশেষ ১ জানুয়ারি ৮ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এদিকে অব্যাহতি পাওয়া ৩২১ শিক্ষানবিশ উপপরিদর্শক (এসআই) চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে গত দাবিতে ৫ ও ৬ জানুয়ারি সচিবালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এরপর একই দাবিতে তারা গত সোমবার বিকাল থেকে সচিবালয়ের সামনে আমরণ অনশন বসেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে সচিবালয়ের সামনে থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পানি ছিটিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনশনরত শিক্ষানবিশ এসআইরা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ল দ শ প ল শ এক ড ম এক ড ম
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে পুলিশের হাত থেকে আটক ব্যক্তি ছিনতাই
ফরিদপুরের সদরপুর থানা পুলিশের হাত থেকে এক আটক ব্যক্তি ছিনতাই হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আটক ওই ব্যক্তিকে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিল মোড় এলাকা থেকে ফারুক হোসেন বাকু নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। তিনি আটরশি এলাকার সাড়ে সাতরশি গ্রামের মৃত মানিক মল্লিকের ছেলে।
এ বিষয়ে সদরপুর থানা পুলিশের ভাষ্য, আটরশি উরস শরীফকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি আটরশি এলাকায় ফারুক হোসেন বাকু পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গা থানার দুর্বৃত্তকারী লোকজন নিয়ে প্রতিনিয়ত মহরা দেয় নিজের শক্তি জানান দেওয়ার জন্য। পরে পুলিশ এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে বাকুকে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে।
বাকুকে আটকের পর থেকে মুক্ত করতে সদরপুর উপজেলা স্থানীয় বিএনপির’র একটি অংশ থানায় ছুটে আসেন।
এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাকতালীয় ভাবে আটক বাকু অসুস্থতার কথা জানালে স্থানীয় বিএনপির ওই অংশ তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। ওই সময় থানার এসআই হাদীউজ্জামান ও সঙ্গীয় কনস্টেবল দিয়ে বাকুকে চিকিৎসার জন্য সদরপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাইদুল হাসান শাওন তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন।
এসআই হাদীউজ্জামান বলেন, ওই সময় আমি ও একজন কনস্টেবল ছিলাম। বাকুর প্রায় ২০ জন লোক ছিল। হাসপাতাল থেকে বের হলেই বাকুর লোকজন পুলিশের হাত থেকে তাকে ছিনিয়ে একটি প্রাইভেট কারে উঠিয়ে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোতালেব হোসেন জানান, পুলিশের নিকট থেকে আটকৃত ফারুক হোসেন বাকুকে যারা ছিনিয়ে নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। এবং তাকে আটক করতে থানা পুলিশের অভিযান চলছে।