Samakal:
2025-01-31@11:59:24 GMT

ডাক বিভাগে নিয়োগ, পদ সংখ্যা ৫২৪

Published: 15th, January 2025 GMT

ডাক বিভাগে নিয়োগ, পদ সংখ্যা ৫২৪

 

পোস্টমাস্টার জেনারেলের কার্যালয়, পূর্বাঞ্চল, চট্টগ্রাম জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই প্রতিষ্ঠানে ১২ ক্যাটাগরির পদে ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডে মোট ৫২৪ জনকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অন্তর্গত সব জেলার (সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর ও ধর্মপাশা উপজেলা ছাড়া) স্থায়ী বাসিন্দারা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

১.

পদের নাম: পোস্টম্যান

পদসংখ্যা: ১৯০

যোগ্যতা: দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএ নিয়ে এসএসসি বা সমমান পাস।

বেতন স্কেল: ৯,০০০-২১,৮০০ টাকা (গ্রেড-১৭)

২. পদের নাম: স্ট্যাম্প ভেন্ডার

পদসংখ্যা: ৩

যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। সংশ্লিষ্ট কাজে তিন বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৮,৮০০-২১,৩১০ টাকা (গ্রেড-১৮)

৩. পদের নাম: ওয়্যারম্যান

পদসংখ্যা: ১

যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। স্বীকৃত বোর্ড/ইনস্টিটিউট/প্রতিষ্ঠান থেকে ইলেকট্রিক ট্রেড কোর্সে বি/সি ক্যাটাগরি লাইসেন্সধারী হতে হবে।

বেতন স্কেল: ৮,৫০০-২০,৫৭০ টাকা (গ্রেড-১৯)

৪. পদের নাম: আর্মড গার্ড

পদসংখ্যা: ৫

যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। অস্ত্র চালনায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে।

বেতন স্কেল: ৮,৫০০-২০,৫৭০ টাকা (গ্রেড-১৯)

৫. পদের নাম: প্যাকার কাম মেইল ক্যারিয়ার

পদসংখ্যা: ১২৩

যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে।

বেতন স্কেল: ৮,৫০০-২০,৫৭০ টাকা (গ্রেড-১৯)

৬. পদের নাম: অফিস সহায়ক (এমএলএসএস)

পদসংখ্যা: ২৩

যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস।

বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

৭. পদের নাম: গার্ডেনার

পদসংখ্যা: ৫

যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি বা জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস। বাগান পরিচর্যায় অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

৮. পদের নাম: পরিচ্ছন্নতাকর্মী (সুইপার)

পদসংখ্যা: ১১

যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি বা জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস।

বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

৯. পদের নাম: বার্তাবাহক

পদসংখ্যা: ২

যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস।

বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

১০. পদের নাম: রানার

পদসংখ্যা: ১৩১

যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে।

বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

১১. পদের নাম: বোটম্যান

পদসংখ্যা: ৩

যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে।

বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমার মতো দরিদ্র মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিতে চাই’

বাবা ইজিবাইকচালক, মা গৃহিণী। এক টুকরো ভিটে ও টিনের ঘর ছাড়া কিছুই নেই। এই দারিদ্র্যও দমাতে পারেনি মেধাবী মেয়েটিকে। দারিদ্র্যকে জয় করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
এমন কৃতিত্বের অধিকারী নন্দিনী রানী সরকার মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের গিলন্ড গ্রামের অনিল চন্দ্র সরকারের মেয়ে। দুই বোনের মধ্যে নন্দিনী বড়। ছোট বোন বিনা রানী সরকারও মেধাবী শিক্ষার্থী। এবার সে এসএসসি পরীক্ষা দেবে।
নন্দিনীর সাফল্যে পরিবারের পাশাপাশি শিক্ষক ও এলাকার লোকজন সবাই খুশি। তবে আর্থিক টানাপড়েনে মেয়ের পড়াশোনার পরবর্তী খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে পরিবারটি। ইতোমধ্যে অবশ্য অনেকেই নন্দিনীর পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন।
নন্দিনী পিএসসিতে জিপিএ ৫, জেএসসিতে জিপিএ ৪.৪৬, এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ ৫ ও এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পান।
নন্দিনীদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ছোট একটি টিনের ঘর। প্রতিবেশীরা নন্দিনীর সাফল্যে তাদের বাড়িতে এসে শুভ কামনা জানাচ্ছেন। বাড়ির উঠানে রান্না করছেন নন্দিনীর মা সীমা সরকার। মায়ের পাশে বসে রয়েছেন নন্দিনী ও তাঁর বোন বিনা।
নন্দিনীর বাবা অনিল চন্দ্র সরকার জানান, ইজিবাইক চালিয়ে দুই মেয়ে, স্ত্রী ও বাবা-মাকে নিয়ে ছয় সদস্যের সংসার চলে। তাঁর দুই মেয়েই বেশ মেধাবী। মেয়েদের যে চাহিদা, সেটা বাবা হিসেবে কখনও পূরণ করতে পারেননি। মেয়ের স্কুলের শিক্ষকদের কারণে তাঁর মেয়ে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। এতে তিনি অনেক আনন্দিত। তিনি বলেন, ‘মেডিকেলে পড়ানোর মতো টাকাপয়সা নাই আমার। মেডিকেলে মেয়ের পড়াশোনায় কেউ যদি সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসত তাহলে চিন্তা থাকত না।’
নন্দিনীর মা সীমা রানী সরকার বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে মেয়েগো প্রাইভেট পড়াতে পারি নাই। পড়ার জন্য নাই কোনো টেবিল-চেয়ার। মাস্টাররা সাহায্য-সহযোগিতা না করলে আমার মেয়ে এতদূর আসত পারত না, ভালো রেজাল্ট করতে পারত না। কিন্তু পড়ালেখার খরচের কথা মাথায় আসলে সেই আনন্দ আর থাকে না।’
নন্দিনী রানী সরকার একজন সফল চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই দারিদ্র্যের সঙ্গে যুদ্ধ করে চলছি। স্কুল ও কলেজে স্যাররা আমাকে বিনা বেতনে পড়িয়েছেন। বই থেকে শুরু করে সব সহায়তা পেয়েছি। আমার বাবার সামর্থ্য নাই, এত টাকা দিয়ে আমাকে পড়াবেন। সরকার বা কেউ সাহায্য করলে আমার মেডিকেলে পড়ালেখা করা সম্ভব হবে। আমার স্বপ্ন, আমি যেন ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করতে পারি। আমি যেমন দরিদ্র, অনেক দরিদ্র মানুষ আছেন যারা বিনা চিকিৎসায় মারা যান তাদের সাহায্য করতে চাই, সেবা করতে চাই।’
নবগ্রাম ইউনিয়নের কানিজ ফাতেমা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন নন্দিনী। এ প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবদুল হালিম বলেন, নন্দিনী মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় তাঁর স্কুল ও কলেজের সবাই খুশি। এখন মেডিকেলে ভর্তির জন্য নন্দিনীর পাশে তার স্কুল থাকবে।
জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, আমরা নন্দিনীর মতো অদম্য মেধাবীদের দিয়ে আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ গড়ব। মেধাবীদের এগিয়ে নিতে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মেডিকেলে সুযোগ পেয়েও ভর্তি অনিশ্চিত শাপলার
  • ‘আমার মতো দরিদ্র মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিতে চাই’