আমরা সেরা ছিলাম, আমরা সেরা আছি, আমরা সেরা থাকবো’ স্লোগানে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক পার্কে অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয়ভাবে ট্যাক্স ও ভ্যাট প্রদানে শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন প্লাজার দিনব্যাপী ‘চ্যালেঞ্জার্স সামিট-২০২৫’।

মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক পার্কে বেলুন উড়িয়ে দিনব্যাপী ওয়ালটন প্লাজার ‘চ্যালেঞ্জার্স সামিট-২০২৫’ উদ্বোধন করা হয়।

সামিটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ওয়ালটন প্লাজার সহস্রাধিক সদস্য বিক্রয় প্রবৃদ্ধি, সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা, সর্বোচ্চ গ্রাহকসেবা প্রদান ইত্যাদি ক্ষেত্রে সেরা থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

বক্তারা জানান, দেশে ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল ও প্রযুক্তিপণ্য বিক্রয়ে শীর্ষে রয়েছে ওয়ালটন প্লাজা। এরই প্রেক্ষিতে অর্জন করেছে জাতীয়ভাবে সর্বোচ্চ ট্যাক্স ও ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি। ব্যবসার পাশাপাশি দেশ ও মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষতা উন্নয়ন ইত্যাদি সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক নানা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে ওয়ালটন প্লাজা।

এরই মধ্যে প্লাজার ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতি’র আওতায় কয়েকশ কিস্তি ক্রেতা এবং তাদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ওয়ালটন প্লাজা অর্জন করে নিয়েছে সেরা সেলস নেটওয়ার্কের সম্মান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির চেয়ারম্যান এসএম শামছুল আলম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম মাহবুবুল আলম, ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনের চিফ অ্যাক্সিকিউটিভ অফিসার নিশাত তাসনিম শুচি, ওয়ালটন প্লাজার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রায়হানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক এবং ওয়ালটনের সিনিয়ির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান।

চ্যালেঞ্জার্স সামিটে সারা দেশের প্রায় ৭শ ওয়ালটন প্লাজা থেকে ম্যানেজার, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার, ক্রেডিট ম্যানেজারসহ বিভিন্ন স্তরের সহস্রাধিক কর্মকর্তা অংশ নেন। তাদের আগমনে উৎসবমুখর পরিবেশে রূপ নেয় ওয়ালটন হাই-টেক পার্কের আঙিনা। সামিটে ওয়ালটন প্লাজার বিক্রয় প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায়ে চলমান বিক্রয় কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও ত্বরান্বিত করতে ব্যবসায়িক কলাকৌশল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা দেন ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।

২০২৩ সালে বিক্রয় বৃদ্ধিতে বিশেষ অবদান রাখায় ১৯টি ক্যাটাগরিতে ওয়ালটন প্লাজার ১৯০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র তুলে দেন ওয়ালটন প্লাজার এমডি মোহাম্মদ রায়হান।

চ্যালেঞ্জার্স সামিটে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) নজরুল ইসলাম সরকার ও মো.

ইউসুফ আলী, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের এএমডি লিয়াকত আলী, ওয়ালটন হাই-টেকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মফিজুর রহমান।

সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ওয়ালটন প্লাজার দিনব্যাপী ‘চ্যালেঞ্জারস সামিট-২০২৫’। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের জিডিপির এক-তৃতীয়াংশ শতকোটিপতিদের হাতে

ভারতে অতি ধনীদের বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে। এই শ্রেণির মানুষের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে এই শ্রেণির মানুষের হাতে থাকা সম্পদের পরিমাণ।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরুতে ভারতে এই শতকোটিপতি বা বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮৪। দেখা যাচ্ছে, গত বছর এই সময় ভারতে শতকোটিপতির সংখ্যা ছিল ২৭১; অর্থাৎ এক বছরে ভারতে শতকোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে ১৩। সম্প্রতি প্রকাশিত দ্য হুরুন গ্লোবাল রিচ লিস্ট, ২০২৫-এ এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের শতকোটিপতিদের সম্পদের পরিমাণ এখন ৯৮ লাখ কোটি রুপি। এই অঙ্ক ভারতের মোট দেশজ উৎপাদন বা মোট জিডিপির এক-তৃতীয়াংশ।

শতকোটিপতির সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে ভারতের এই শ্রেণির মানুষের সম্পদ বেড়েছে। দেশটিতে শতকোটিপতিদের হাতে থাকা সম্পদের পরিমাণ এখন সৌদি আরবের মোট জিডিপি বা দেশজ উৎপাদনের চেয়ে বেশি। দ্য হুরুন গ্লোবাল রিচ লিস্ট, ২০২৫-এ বলা হয়েছে, গত বছর ভারতের শতকোটিপতিদের সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। একই সঙ্গে সামগ্রিকভাবে ভারতের ধনীদের সম্পদের পরিমাণ গত এক বছরে ৬২ শতাংশ বেড়েছে। তাঁদের সম্পদের পরিমাণ লাখ কোটি ডলারের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেছে। হুরুন গ্লোবালের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান গবেষক আনাস রহমান জুনাইদ এটিকে ভারতের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক আখ্যা দিয়েছেন।

প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, ২০২২ সালে ভারতে শতকোটিপতির সংখ্যা ছিল ২৪৯। কিন্তু ২০২৩ সালে তা কমে ১৮৭-তে নেমে আসে; গত বছর তা আবার বেড়ে ২৭১-এ ওঠে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে তা ৩০০ পেরিয়ে যাবে।

অতি ধনীদের সংখ্যার নিরিখে ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে তৃতীয়। ভারতের আগে আছে কেবল যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। ভারতের পরে আছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও সুইজারল্যান্ড। সেই সঙ্গে এশিয়ার শতকোটিপতিদের রাজধানী হিসেবে মুম্বাইকে হটিয়ে দিয়েছে চীনের সাংহাই শহর। সাংহাই শহরে এখন ৯২ জন শতকোটিপতির বসবাস, মুম্বাইয়ে ৯০ জন। এ ছাড়া বিশ্বের অন্য যেসব জায়গায় শতকোটিপতিদের সংখ্যা বাড়ছে সেগুলো হলো সিঙ্গাপুর, I রাশিয়া, কানাডা, তুরস্ক ও মেক্সিকো।

গত বছর ভারত ও এশিয়ার শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানির সম্পদের পরিমাণ এক লাখ কোটি রুপি কমেছে। মূলত খঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় তাঁর সম্পদ কমেছে। প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৮ দশমিক ৬ লাখ কোটি রুপি।

ভারতের ধনীদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে থাকা গৌতম আদানির সম্পদের পরিমাণ গত বছর প্রায় এক লাখ কোটি রুপি বেড়েছে। তাঁর সম্পদের পরিমাণ এখন ৮ দশমিক ৪ লাখ কোটি রুপি। তিনি এখন বিশ্বের ১৮তম শীর্ষ ধনী। গত বছর তিনি কিছু সময়ের জন্য এশিয়ার শীর্ষ ধনীর আসনে বসেছিলেন।

ভারতীয় অতি ধনীদের গড় বয়স ৬৮ বছর; বৈশ্বিক পর্যায়ে যা ৬৬ বছর; অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে ভারতীয় অতি ধনীরা কিছুটা পিছিয়ে আছেন।

এ বছর ভারতের সর্বকনিষ্ঠ অতি ধনী হিসেবে তালিকায় উঠে এসেছেন রাজোরপের সহপ্রতিষ্ঠাতা শশাঙ্ক কুমার ও হর্ষিল মাথুর। তাঁদের দুজনেরই বয়স মাত্র ৩৪ বছর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুইনস কমনওয়েলথ রচনা প্রতিযোগিতা, অংশ নিয়ে ইংল্যান্ড ভ্রমণের সুযোগ
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (২ এপ্রিল ২০২৫)
  • একঝলক (০১ এপ্রিল ২০২৫)
  • সীমান্ত ব্যাংকে নিয়োগ, বিবিএ অথবা স্নাতক পাসে আবেদন
  • গাজার রাফা শহর খালি করার নির্দেশ ইসরায়েলি সেনার
  • ভারতের জিডিপির এক-তৃতীয়াংশ শতকোটিপতিদের হাতে
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১ এপ্রিল ২০২৫)
  • গোপন সদকা
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (৩১ মার্চ ২০২৫)
  • ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে চাকরি, বয়স ৪৮ হলেও আবেদন