টিসিবির যে কার্ডগুলো বন্ধ করা হয়েছে, সেগুলো অবিলম্বে চালুর দাবি করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে নতুন করে শুল্ক আরোপের প্রতিবাদে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
 
ড.

ইউনুসকে উদ্দেশ্য করে মান্না বলেন, ৫০ বছর ধরে যে বৈষম্য বাংলাদেশের মাটিতে টিকে আছে, তা একদিনে দূর করা যাবে না। কিন্তু, আমরা তো আপনাকে জিজ্ঞেস করতেই পারি, কোন যুক্তিতে আপনি টিসিবির ট্রাকের পণ্য বন্ধ করে দিয়েছেন। এক কোটি পরিবারকে আপনি যদি কার্ড দিয়ে থাকেন, তাহলে ৪৪ লাখ কার্ড কোন যুক্তিতে আপনি বন্ধ করে দিয়েছেন? বন্ধ করা কার্ডগুলো অবিলম্বে চালু করতে হবে। 

দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ। 

এদিকে, উচ্চ করারোপকে অন্তর্বর্তী সরকারের অশুভ পাঁয়তারা বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান। গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উচ্চ করারোপ দেশের বিদ্যমান সামাজিক ও রাজনৈতিক সংকটকে আরও তীব্র করবে। এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি ষড়যন্ত্র। 

সংবাদ সম্মেলনে বেশ কিছু পণ্যের উপর কর প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদ নেতা তারেক রহমান, আরিফ বিল্লাহ, ফয়সাল আহমেদ রূপক, সোহাগ আফ্রিদি, শহিদুল হক মিন্টু প্রমুখ।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

গণঅধিকার কর্মীকে মারধরে অভিযোগ মিথ্যা, দাবি বিএনপির

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তার দলের এক কর্মীর ওপর হামলা চালানো হয়ে দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে। সেখানে তিনি, তার দলের কর্মীকে টুঙ্গিপাড়া পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া সাগর ও পৌর যুবদলের সভাপতি তাইজুল শেখ নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন মারধর করেছেন বলে অভিযোগ তোলেন। তবে এ অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করেছে বিএনপি। আজ বুধবার দুপুরে টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতী বাজারের পৌর বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন মারধরের অভিযোগের প্রতিবাদ জানান বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। 

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য উপস্থাপন করেন টুঙ্গিপাড়া পৌর বিএনপির সদস্য সচিব এমদাদ মোল্লা। তিনি বলেন, টুঙ্গিপাড়া গণঅধিকার পরিষদের কর্মী দাবি করা সাকিব শেখ এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দেন। টুঙ্গিপাড়ায় তিনি একজন ছিনতাইকারী, চুরি, চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তিনি বিভিন্ন সময় আমাদের দলেও আসতে চেয়েছিল কিন্তু তাকে আমরা নেইনি। তাকে আওয়ামী লীগের সঙ্গেও দেখা গেছে। আর এখন তাকে গণঅধিকারের কর্মী বলা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘তাকে মারধরের বিষয় বিএনপি বা সহযোগী সংগঠনের নেতারা কিছু জানেন না। যখন তাকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে তখন টুঙ্গিপাড়া পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাগর শেখ ইউএনও অফিসে ছিলেন। পরে খোঁজ নিয়ে জেনেছি, মাদক ব্যবসা নিয়ে ঝামেলার কারণে সাকিবকে কে বা কারা মারধর করেছে। তাই টুঙ্গিপাড়া বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতাদের জড়িয়ে সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর তার ফেসবুকে যে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’ 

সংবাদ সম্মেলনে টুঙ্গিপাড়া পৌর বিএনপির আহ্বায়ক জিহাদুল ইসলাম বাবু, ডুমুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেখ সিরাজুল ইসলাম, পাটগাতী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন মোল্লা, টুঙ্গিপাড়া পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া সাগর, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ডা. আবু জাফর খান, ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইসমাইল খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য গত ২৭ জানুয়ারি রাতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে লেখেন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানীর ছোট ভাই টুঙ্গিপাড়া পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া সাগর ও পৌর যুবদলের সভাপতি তাইজুল শেখ নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন গণঅধিকার পরিষদের কর্মী সাকিব শেখকে (২৪) পিটিয়ে জখম ও আহত করে ডাস্টবিনের কাছে ফেলে যান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গণঅধিকার কর্মীকে মারধরে অভিযোগ মিথ্যা, দাবি বিএনপির