প্রেসিডেন্ট পুনর্নির্বাচিত না হলে দোষী সাব্যস্ত হতেন ট্রাম্প
Published: 14th, January 2025 GMT
২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন জো বাইডেনের কাছে হেরে যাওয়া প্রার্থী ও রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। হেরে যাওয়ার বিষয়টি না মানতে পেরে ট্রাম্প প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেছিলেন। তদন্তে দোষীও সাব্যস্ত হন। কিন্তু ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় ওই অপরাধ থেকে বেঁচে গেছেন ট্রাম্প। এ বিষয়ে তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এমন একজন কর্মকর্তা এ কথা বলেছেন। কারণ নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে কোনো মামলায় দোষী সাব্যস্ত করার বিষয়টি মার্কিন বিচার দপ্তর অনুমোদন করে না। খবর বিবিসি ও এএফপির।
ট্রাম্পের ওই অপরাধের তদন্তে বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ কাউন্সেল নিযুক্ত হন জ্যাক স্মিথ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মধ্যরাতে ১৩৭ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি কংগ্রেসে পাঠানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অপরাধগুলো ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য যথেষ্ট ছিল। তদন্তে অভিযোগ, নির্বাচনের ফল উল্টে দেওয়ার প্রচেষ্টায় ট্রাম্প ‘নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে’ বলে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছিলেন। তাছাড়া ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি মার্কিন ক্যাপিটলে হামলার মতো ঘটনাও ঘটিয়েছিলেন।
প্রতিবেদন প্রকাশের পর ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যাল ওয়েবসাইটে নিজে নির্দোষ থাকার বিষয়টি আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, তারা অভিযোগের প্রমাণ পায়নি। এ জন্যই আমি বিপুল ভোটে জিতেছি। ভোটাররা আমার পক্ষে রায় দিয়েছে। তদন্তের শুরুতেই ট্রাম্প অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এদিকে ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার মনোনয়নের ব্যাপারে নজর রাখছে মার্কিন সিনেট। এ জন্য ১৩ জন মনোনীত প্রার্থীকে ১১টি কমিটির সামনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাদের অনেকেই যৌন নির্যাতন, অতিরিক্ত মদ্যপান কিংবা ভ্যাকসিন কেলেঙ্কারির মতো অভিযোগ নিয়ে বিতর্কের মুখে রয়েছেন। ট্রাম্পের মনোনীতদের মক শুনানিতে অংশ নিতে হচ্ছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’