ডেনমার্ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) একটি নতুন কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষর করেছে। কার্যক্রমটি গবেষণা, সংলাপ ও নীতি সমর্থনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সংস্কার এবং সবুজ রূপান্তর এজেন্ডার ওপর জোর দেবে। মঙ্গলবার বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনিশ রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার ও সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড.

ফাহমিদা খাতুন চার বছরের এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। সিপিডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

ডেনিশ রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার বলেন, এখন সময় এসেছে প্রাতিষ্ঠানিক শক্তিশালীকরণ, সুশাসন এবং বাংলাদেশের সব প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রমকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করে তোলার জন্য কাজ করার। সিপিডি বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশের রূপান্তর প্রক্রিয়া সহজতর করার জন্য সরকারকে বিভিন্ন নীতি-পরামর্শ দিয়ে আসছে। তারা বিশ্বাস করেন, এই কার্যক্রম নীতিনির্ধারকদের জন্য অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন এবং মধ্যম আয়ের ফাঁদের চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে ওঠার সম্ভাব্য উপায় নিয়ে সঠিক দিকনির্দেশনা দেবে।

ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, সিপিডিকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শক্তিশালীকরণে ডেনমার্কের এই সমর্থনের জন্য আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ২০১৯ সালেও ডেনমার্ক সিপিডির প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থায় অবদান রেখেছিল। ডেনিশ সরকার ধারাবাহিকভাবে আইনের শাসন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করে আসছে। এটি একটি সময়োপযোগী কার্যক্রম। কারণ, আমরা একটি রূপান্তরের সময় পার করছি এবং দেশের জন্য কাঠামোগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তনের আশা করছি। আমরা মনে করি, আমাদের এই কার্যক্রম চলমান সংস্কার প্রক্রিয়ার জন্য সহায়ক হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন এই কার্যক্রম বিভিন্ন অংশীজন, নীতিনির্ধারক, ছাত্র, সরকারি কর্মকর্তা এবং অন্যান্য দায়িত্বশীল অংশীজনের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তনের প্রত্যাশা করছে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ