টেকসই উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পরিসংখ্যান ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা এবং শৃঙ্খলা আনতে আধুনিক ডেটা ওয়্যারহাউস প্রতিষ্ঠা করছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। বিভিন্ন উৎস থেকে আসা সব ধরনের পরিসংখ্যানিক ডেটা সংরক্ষণ, পরিচালনা এবং বিশ্লেষণ করা হবে এর মাধ্যমে। এতে দেশের পরিসংখ্যান প্রণয়ন ব্যবস্থা আরও কার্যকর ও দক্ষ হবে। তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াও শক্তিশালী হবে। 
‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব স্ট্যাটিক্স সার্ভিস বেইজড অন প্ল্যাটফর্ম’ নামে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে এ উদ্দেশ্যে। কোরিয়া আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (কেওআইসিএ) প্রকল্প কারিগরি ও অর্থ সহায়তা দিচ্ছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ১৪৪ কোটি টাকা। এ ব্যয়ে কেওআইসিএ দিচ্ছে ১০৬ কোটি টাকা। অনুদান হিসেবে এ অর্থ দেওয়া হচ্ছে। বাকি প্রায় ৩৮ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব জোগান। আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। 
প্রকল্পটির গুরুত্ব তুলে ধরতে গতকাল মঙ্গলবার একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবনে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মো.

মাহবুব হোসেন। সভাপতিত্ব করেন সংস্থার মহাপরিচালক মিজানুর রহমান। প্রকল্প পরিচালক কবির আহমেদ, ঢাকায় কেওআইসিএর কান্ট্রি ডিরেক্টরসহ সংস্থার ঊর্ধ্বতনরা এতে বক্তব্য দেন। 
কর্মশালায় জানানো হয়, তথ্যভান্ডারটি ডেটা সংরক্ষণ, স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন, এক্সেসিবিলিটি, আর্কাইভ, সিকিউরিটি, প্রক্রিয়াকরণ, টাইম সিরিজ ডেটা প্রস্তুত, বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন তৈরি এবং পরিসংখ্যান ব্যবস্থার কার্যকারিতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়া বিগ ডেটা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ডেটা একীভূতকরণ, এনক্রিপশন, ভিজ্যুয়ালাইজেশন, রিয়েল-টাইম প্রক্রিয়াকরণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক বিশ্লেষণ এবং ডেটা ব্যবস্থাপনা ও বিশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও অবকাঠামো প্রস্তুত করা হবে। ফলে বিগ ডেটা এবং বিজনেস ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ও বিশ্লেষণ সম্ভব হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে এখনকার বিচ্ছিন্নভাবে পরিচালিত সার্ভার-ভিত্তিক সিস্টেমগুলোকে সমন্বিত করা হবে। সার্ভার রুমের অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি শৃঙ্খলা আনা হবে স্টোরেজ ব্যবস্থাপনায়। ফলে সার্ভার ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম উন্নয়ন হবে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ব এস পর স খ য ন প রকল প পর চ ল

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।

শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।

তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।

তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ