আধুনিক ডেটা ওয়্যারহাউস প্রতিষ্ঠা করছে বিবিএস
Published: 14th, January 2025 GMT
টেকসই উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পরিসংখ্যান ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা এবং শৃঙ্খলা আনতে আধুনিক ডেটা ওয়্যারহাউস প্রতিষ্ঠা করছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। বিভিন্ন উৎস থেকে আসা সব ধরনের পরিসংখ্যানিক ডেটা সংরক্ষণ, পরিচালনা এবং বিশ্লেষণ করা হবে এর মাধ্যমে। এতে দেশের পরিসংখ্যান প্রণয়ন ব্যবস্থা আরও কার্যকর ও দক্ষ হবে। তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াও শক্তিশালী হবে।
‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব স্ট্যাটিক্স সার্ভিস বেইজড অন প্ল্যাটফর্ম’ নামে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে এ উদ্দেশ্যে। কোরিয়া আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (কেওআইসিএ) প্রকল্প কারিগরি ও অর্থ সহায়তা দিচ্ছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ১৪৪ কোটি টাকা। এ ব্যয়ে কেওআইসিএ দিচ্ছে ১০৬ কোটি টাকা। অনুদান হিসেবে এ অর্থ দেওয়া হচ্ছে। বাকি প্রায় ৩৮ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব জোগান। আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা।
প্রকল্পটির গুরুত্ব তুলে ধরতে গতকাল মঙ্গলবার একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবনে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মো.
কর্মশালায় জানানো হয়, তথ্যভান্ডারটি ডেটা সংরক্ষণ, স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন, এক্সেসিবিলিটি, আর্কাইভ, সিকিউরিটি, প্রক্রিয়াকরণ, টাইম সিরিজ ডেটা প্রস্তুত, বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন তৈরি এবং পরিসংখ্যান ব্যবস্থার কার্যকারিতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়া বিগ ডেটা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ডেটা একীভূতকরণ, এনক্রিপশন, ভিজ্যুয়ালাইজেশন, রিয়েল-টাইম প্রক্রিয়াকরণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক বিশ্লেষণ এবং ডেটা ব্যবস্থাপনা ও বিশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও অবকাঠামো প্রস্তুত করা হবে। ফলে বিগ ডেটা এবং বিজনেস ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ও বিশ্লেষণ সম্ভব হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে এখনকার বিচ্ছিন্নভাবে পরিচালিত সার্ভার-ভিত্তিক সিস্টেমগুলোকে সমন্বিত করা হবে। সার্ভার রুমের অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি শৃঙ্খলা আনা হবে স্টোরেজ ব্যবস্থাপনায়। ফলে সার্ভার ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম উন্নয়ন হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ব এস পর স খ য ন প রকল প পর চ ল
এছাড়াও পড়ুন:
এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।
উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।