হবিগঞ্জের মাধবপুরে উপজেলা বিএনপি নেতাকর্মীর অন্যরকম এক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার নোয়াপাড়ায় দিনব্যাপী মিলনমেলায় আলোচনা সভা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাধবপুর-চুনারুঘাট আসনে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি সৈয়দ মো.

ফয়সলকে দলের মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। 
সৈয়দ মো. ফয়সল ও তাঁর পরিবার সুদীর্ঘকাল ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত জানিয়ে মাধবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শামসুল ইসলাম কামাল বলেন, বিএনপির রাজনীতি করার কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সৈয়দ মো. ফয়সাল ও তাঁর পরিবারকে অনেক ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা মামলার মোকাবিলা করতে হয়েছে। নানা মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের অনেক ক্ষতি করা হয়েছে। শত বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে সৈয়দ মো. ফয়সল ও তাঁর পরিবার মাধবপুর-চুনারুঘাট তথা হবিগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীর পাশে ছিলেন। যখন মাধবপুর-চুনারুঘাট বিএনপির দাঁড়াবার কোনো নিরাপদ জায়গা ছিল না, তখন সৈয়দ মো. ফয়সল ও তাঁর ভাই সৈয়দ মো. শাহজাহান মাধবপুরে তাদের নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঝুঁকি নিয়ে বিএনপির মিটিং করেছেন।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হামিদুর রহমান হামদু বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সৈয়দ মো. ফয়সল বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবেন। কারণ মাধবপুর-চুনারুঘাটে সৈয়দ মো. ফয়সল ও তাদের সায়হাম শিল্প পরিবার দীর্ঘদিন ধরে নানা সামাজিক কল্যাণমূলক কাজ করে আসছে। এ কারণে এই আসনে তাঁর জনপ্রিয়তা ও সর্বস্তরের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ মো. ফয়সল বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে এতদিন ফ্যাসিস্ট সরকার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা করতে দেয়নি। আমরা আল্লাহর দরবারে দেশনেত্রীর সুস্থতা কামনা করছি। আমরা যেন কারও প্রতি জুলুম-অন্যায় না করি। কারণ জুলুমকারীকে 
কেউ পছন্দ করে না। তাদের পরিণতি ভয়ংকর। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
সৈয়দ মো. ফয়সল আরও বলেন, ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রনায়ক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। কেউ যাতে বিএনপির নামে চাঁদাবাজি ও দখলবাজি না করে, সে বিষয়ে দলের নেতাকর্মীকে সতর্ক করেন তিনি।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন ত কর ম ব এনপ র পর ব র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের প্রতিশোধ না অস্ট্রেলিয়ার দাপট

‘ভরা গ্যালারিকে চুপ করিয়ে দেওয়ার মতো সন্তুষ্টি আর কিছুতে নেই’– ২০২৩ সালের ১৮ নভেম্বর আহমেদাবাদে কথাটি বলেছিলেন প্যাট কামিন্স। দুবাইয়ের গ্যালারিও আজ ভারতীয় সমর্থকে পরিপূর্ণ থাকবে। কামিন্সের অনুপস্থিতিতে নিশ্চিতভাবেই তাঁর সেই কথা বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকবেন স্মিথ-ম্যাক্সওয়েলরা। তাই ভারতবাসীর মনে একটা ভয়-শঙ্কা কাজ করছেই। আহমেদাবাদের ফাইনালের মতো হৃদয় ভেঙে দেবে না তো অস্ট্রেলিয়া! এই ভয়ের উল্টো পিঠে ভারতের জন্য রয়েছে প্রতিশোধের সুবর্ণ সুযোগও। মরুর দেশে আজ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিতে কে বাজিমাত করবে?

অস্ট্রেলিয়ার জন্য গ্রুপ পর্বটা একেবারেই আদর্শ ছিল না। বৃষ্টির কারণে পাকিস্তানে তাদের দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত। তার পর তড়িঘড়ি করে ফ্লাইট ধরে দুবাইয়ে উড়ে আসতে হয়েছে সেমির জন্য। তার ওপর দলের সেরা তিন পেসার– কামিন্স, স্টার্ক, হ্যাজেলউডসহ নিয়মিত ছয়জন নেই। দলটির নাম অস্ট্রেলিয়া বলেই হেলাফেলা করা যায় না। আইসিসি ইভেন্টে যাদের রেকর্ড অনন্য। হলুদ জার্সি গায়ে জড়ালেই অপরিচিত জনসন-ইংলিসরা দানব হয়ে ওঠেন। যেমনটা ২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইনালে করেছিলেন ট্রাভিস হেড। দু’দলের সর্বশেষ সেই ওয়ানডে ম্যাচে ভারতের ২৪০ রান তাড়া করতে নেমে পঞ্চাশের আগেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে ১৩৭ রানের নান্দনিক এক ইনিংস খেলে চোখের পলকে ভারতকে উড়িয়ে বিশ্বকাপ ছিনিয়ে নিয়েছিলেন ট্রাভিস হেড। এর আগে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও ভারতকে কাঁদিয়েছিলেন তিনি। আজও কি তিনি জ্বলে উঠবেন? নাকি অন্য কোনো নবীন হয়ে উঠবেন ট্রাভিস হেড! কিংবা অভিজ্ঞ স্টিভ স্মিথ বা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ঝলক দেখা যাবে আজ?

দুই বছর আগের সেই দুঃসহ অভিজ্ঞতা সবচেয়ে তরতাজা ভারত অধিনায়কের। গতকালের সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য প্রতিশোধ শব্দটা আনতে চাইলেন না রোহিত, ‘অস্ট্রেলিয়া কঠিন এক প্রতিপক্ষ। গত তিন ম্যাচে আমরা যে চিন্তাধারা নিয়ে মাঠে নেমেছি, যেভাবে খেলেছি; এই ম্যাচেও আমাদের একই মনোভাব থাকবে।’ এমনকি অস্ট্রেলিয়ার সেরা একাদশের ছয়জন না থাকার পরও তাদের মনোভাবে কোনো পরিবর্তন হবে বলে মনে করেন না রোহিত, ‘অনেক বছর ধরে অস্ট্রেলিয়া পরাশক্তির মর্যাদা ধরে রেখেছে। তারা কঠিন লড়াই করবে, সে বিষয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। আর সেমিফাইনালে তো উভয় দলের ওপরই জয়ের চাপ থাকে। আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজেদের কাজটা পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে সঠিকভাবে সম্পাদন করা।’ সেমির আগে ভারত একাদশ নির্বাচন নিয়ে কিছুটা সমস্যায় রয়েছে। স্পিনার বরুন চক্রবর্তীকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এমনিতেই সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি ৫ উইকেট তুলে নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টকে চাপে ফেলে দিয়েছেন। অবশ্য বরুন ক্লিক করায় ভারতের সামনে নতুন বিকল্পও খুলে গেছে। দুবাইয়ের মন্থর পিচে সম্ভবত চার স্পিনার নিয়ে নামতে যাচ্ছে ভারত। সে ক্ষেত্রে আজও কপাল পুড়ছে পেসার হার্সিত রানার।

ভারত যে অলআউট স্পিন আক্রমণ নিয়ে নামছে, সেটা অস্ট্রেলিয়া ভালোই বুঝে গেছে। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি পরিষ্কার করেই বলেছেন অসি অধিনায়ক স্মিথ, ‘শুধু বরুন নন, ভারতের স্কোয়াডে থাকা সব স্পিনারই ভালো। তাদের স্পিনারদের আমরা কেমন খেলব; বিশেষ করে মাঝের ওভারগুলোতে, সেটার ওপর আমাদের জয়-পরাজয় নির্ভর করছে। ভারতের স্পিন খেলাই আমাদের এ ম্যাচে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’ দুবাইয়ের আবহাওয়া আজ শুষ্ক থাকবে। গত দুই ম্যাচের মতো আজ অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচে বৃষ্টির বাধা আসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ