কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস প্রদর্শনী (সিইএস) হয়েছে। চলতি আসরে এবার আসুস রিপাবলিক অব গেমারস (আরওজি) ঘরানার ল্যাপটপ উন্মোচন করেছে।
প্রদর্শনীতে ব্র্যান্ডের কোপাইলট প্লাস পিসি লাইনআপের ল্যাপটপ আলোচিত হয়। গেমিং জগতে আরওজি ল্যাপটপ ও প্রফেশনাল কাজে ভিভোবুক ও জেনবুকের পারফরম্যান্স বিশেষভাবে আলোচনায় আসে। মানোন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার ও স্থায়িত্বের দিক থেকে ব্র্যান্ডটির সবকটি নতুন ল্যাপটপে যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা। 
ব্র্যান্ডের গেমিং ল্যাপটপ সিরিজের মধ্যে আরওজি স্ট্রিক্স স্কার-১৬, স্ট্রিক্স স্কার-১৮, স্ট্রিক্স জি-১৬ ও স্ট্রিক্স জি-১৮ অন্যতম। আরওজি সংস্করণের ফ্লো জি-১৩, আরওজি জেফাইরাস জি-১৪ এবং জেফাইরাস জি-১৬ মডেল প্রদর্শনীতে দর্শনার্থীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে।  অন্যদিকে, পিসি ক্যাটেগরিতে ভিভোবুক ১৪/১৬, ভিভোবুক এস১৪/এস১৬, জেনবুক এ১৪ ও জেনবুক ডুও ছিল বিশেষ আলোচনায়।
সিরিজ ল্যাপটপ
ব্র্যান্ডের আরওজি সিরিজ ল্যাপটপে গেমারদের জন্য থাকছে সর্বশেষ প্রযুক্তি ও ব্যতিক্রম ডিজাইন। নতুন আরওজি স্ট্রিক্স, জেফাইরাস ও ফ্লো সিরিজের ল্যাপটপে যুক্ত হয়েছে ইনটেল কোর আলট্রা প্রসেসর, এএমডি রাইজেন প্রসেসর ও এনভিডিয়া জিফোর্স আরটিএক্স ৫০ সিরিজের জিপিইউ।
শুধু গেম নয়, সৃজনশীল কাজের জন্য পাতলা ও হালকা গড়নের ল্যাপটপের চাহিদা পূরণের ডিভাইস হতে পারে জেফাইরাস জি-১৪ ও জি-১৬। জেফাইরাস জি-১৪ ল্যাপটপের বৈশিষ্ট্য এএমডি রাইজেন এআই ৯ এইচএক্স ৩৭০ প্রসেসর। জেফাইরাস জি-১৬ ল্যাপটপে রয়েছে ইনটেল কোর আলট্রা ৯-এর ২৮৫ এইচ প্রসেসর ও এনভিডিয়া আরটিএক্স ৫০৯০ জিপিইউ।
সবচেয়ে হালকা
ব্র্যান্ডের জেনবুক এ-১৪ মডেলটি ওজনে এক কিলোগ্রামের চেয়েও কম, যা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে হালকা পিসি। ডিভাইসের ব্যাটারি লাইফ টানা ৩২ ঘণ্টা। অন্যদিকে জেনবুক ডুও মডেলে থাকছে ইনটেল কোর আলট্রা ৯ প্রসেসর। ওজনে যেমন হালকা, তেমনি মাল্টিটাস্কিং প্রয়োজনের শর্ত পূরণ করবে বলে নির্মাতারা জানান।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ