Samakal:
2025-04-23@05:56:00 GMT

মন ভালো রাখার উপায়

Published: 14th, January 2025 GMT

মন ভালো রাখার উপায়

অনেকেই মনে করেন মন খারাপ হলে তা থেকে বের হওয়া কঠিন! অথচ মন খারাপ করার এ সময়টা কাটিয়ে উঠতে খুব বড় কিছু করার দরকার নেই কারও। শুধু ছোট কিছু অভ্যাসই আপনার বিষাদমাখা মনকে এক নিমেষেই ভালো করে দিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের ওয়েবসাইটে এমন কিছু সহজ উপায় জানানো হয়েছে, যেগুলোর নিয়মিত চর্চায় আমাদের মনের স্বাস্থ্য অনেকটাই ভালো থাকবে। 
কাছের মানুষের সঙ্গে সময় কাটান: কাছের মানুষ বা প্রিয়জনের সঙ্গে কাটানো সময়টুকু আমাদের অন্যরকম এক মানসিক শান্তি এনে দেয়। খেয়াল করে দেখবেন, কাছের মানুষের সঙ্গে সময় কাটালে মন খারাপের সময় কীভাবে কেটে যায় আপনি টেরও পান না। 
আপনি যা করতে পারেন: প্রতিদিন পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটান। একসঙ্গে খাবার খাওয়া বা গল্প করা হতে পারে ভালো শুরু। অনেকদিন দেখা হয়নি এমন বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করুন। 
ঘরে বসে টিভি না দেখে পরিবারের সঙ্গে বোর্ড গেম খেলুন বা পুরোনো গল্পগুলোর স্মৃতিচারণ করুন। 
সহকর্মীর সঙ্গে একসঙ্গে লাঞ্চ করুন, এতে বন্ধন আরও দৃঢ় হবে। 
সময় পেলে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করুন, এতে নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচয় হবে এবং মানসিক প্রশান্তি আসবে। 
এড়িয়ে চলুন: শুধু ফোনে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় চ্যাট করে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন না। সামনাসামনি দেখা করার আনন্দ অন্যরকম। 
শরীরচর্চা করুন: শরীরচর্চা শুধু ওজন কমানোর জন্য নয়, এটি মনের ওপরেও অসাধারণ প্রভাব ফেলে। ব্যায়াম করলে শরীরের পাশাপাশি মনও প্রশান্ত হয়।
আপনি যা করতে পারেন: প্রতিদিন ২০-৩০ মিনিট হাঁটা, দৌড়ানো বা নাচ করুন; যা আপনার মনকে উজ্জীবিত বা প্রফুল্ল  করবে। 
যোগব্যায়াম বা স্ট্রেচ করে শরীরের নমনীয়তা বাড়ান। ব্যায়ামকে কষ্টের কাজ মনে না করে এমন কিছু করুন যা আনন্দ দেয়– যেমন সাইকেল চালানো বা সুইমিং। 
এড়িয়ে চলুন: জিমে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটাতে হবে– এমন চিন্তা বাদ দিন; যা করতে ভালো লাগে সেটিই করুন। 
নতুন কিছু শিখুন: নতুন কিছু শেখা মানে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করা। এতে শুধু আত্মবিশ্বাসই বাড়ে না, বরং জীবনে অর্থপূর্ণ অনুভূতি আসে। 
আপনি যা করতে পারেন: নতুন কোনো খাবার রান্না করতে শিখুন। 
কর্মক্ষেত্রে নতুন দায়িত্ব নিন বা কোনো সহকর্মীকে মেন্টরিং করুন। 
ডিআইওয়াই প্রকল্পে হাত দিন– যেমন পুরোনো বাইক ঠিক করা বা ঘরের গেট রং করা। 
নতুন ভাষা শিখুন বা পছন্দের কোনো অনলাইন কোর্সে যোগ দিন। ছবি আঁকা, ব্লগ লেখা বা গিটার বাজানোর মতো নতুন শখ গড়ে তুলুন। 
এড়িয়ে চলুন: শুধু সার্টিফিকেট বা ডিগ্রি অর্জনের দিকে মনোযোগ দেবেন না। নতুন কিছু শেখার আনন্দটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। 
অন্যের জন্য কিছু করুন: অন্যের জন্য কিছু করা আমাদের ভেতর আনন্দের অনুভূতি জাগায়। এটি মনের মধ্যে নিখাদ ভালোবাসা ও সহমর্মিতাবোধ তৈরি করে, যা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। 
আপনি যা করতে পারেন: কাউকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান। পরিচিতজনের খোঁজ নিন এবং মন দিয়ে তার কথা শুনুন। আত্মীয় বা বন্ধু যাদের সহযোগিতা প্রয়োজন তাদের পাশে দাঁড়ান। 
বর্তমান মুহূর্তে মনোযোগ দিন; জীবন উপভোগ করুন: আমরা প্রায়ই ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত থাকি বা অতীতের ভুল নিয়ে আফসোস করি। এসব চিন্তা না করে বর্তমানকে গুরুত্ব দিন। 
আপনি যা করতে পারেন: প্রতিদিনের ছোট ছোট আনন্দ উপভোগ করুন– সকালে সূর্যোদয় দেখা বা বিকেলে পাখির ডাক শোনা। 
খাওয়ার সময় ফোন দূরে রেখে খাবারের স্বাদ উপভোগ করুন। শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন এবং চারপাশের ছোট জিনিসগুলো খেয়াল করুন। v 
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

এক তপশিলে পাঁচটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন

জাতীয় সংসদের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। অবশ্য কমিশন মনে করে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন জরুরি। তবে নির্বাচনের আগের সংস্কার আরও জরুরি। সংস্কার না করে নির্বাচন আয়োজন করলে তা ফলপ্রসূ হবে না। পাশাপাশি স্থায়ী সংস্কার কমিশন বহাল রাখার ব্যাপারেও জোর দিয়েছে কমিশন। 

আজ রোববার স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমেদ প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে ৫১টি প্রধান সুপারিশ সংবলিত চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেশ করেন। প্রায় পাঁচশ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানান্তরের সময় কমিশনের সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিং করেন ড. তোফায়েল আহমেদ ও কমিশনের সদস্যরা।  

সুপারিশে আগের মতোই স্থানীয় সরকারের পাঁচটি প্রতিষ্ঠান বহাল থাকছে। এগুলো একই আইনে পরিচালিত হবে। তবে সব নির্বাচন একসঙ্গে হলে ব্যয় ও নানা ধরনের ক্ষয়ক্ষতি কমবে। দলীয় প্রতীকে এসব নির্বাচন হবে না। স্থানীয় পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। তবে তারা চেয়ারম্যান বা মেয়রের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে বসতে পারবেন না। চৌকিদার প্রথা বাদ দিয়ে স্থানীয় সরকারের জন্য আলাদা পুলিশ বাহিনী গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একজন অতিরিক্ত আইজিপি এই বাহিনীর কার্যক্রম তদারক করবেন। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো এই পুলিশ বাহিনীকে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করবে। সরকারের প্রাপ্ত মূল্য সংযোজন করের এক তৃতীয়াংশ স্থানীয় সরকারকে বরাদ্দ দিতে হবে। এ ধরনের আরও অনেক সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। 

জুলাই অভ্যুত্থানের পর গত ১৮ নভেম্বর স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদকে প্রধান করে আট সদস্যের স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কমিশনপ্রধান তাদের প্রতিবেদনের একটি সারসংক্ষেপ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করেছিলেন। 

সব স্থানীয় সরকারের জন্য এক আইন
বর্তমানে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো আলাদা আইনে চলে। এখন তা একটি আইনের মাধ্যমে পরিচালনার সুপারিশ করা হয়েছে। এ আইনের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। 

একসঙ্গে নির্বাচন
একই তপশিলে নির্বাচন হলে নির্বাচনী খরচ এক চতুর্থাংশে নেমে আসবে। ২২৫ দিনের বদলে ৪৫ দিনের মধ্যে স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন করলে ২৩০০ কোটির জায়গায় ৬০০ কোটি টাকায় করা সম্ভব হবে। এতে করে সব প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করতে পারবে বলে কমিশনপ্রধানের মত। 

ইউনিয়নের ওয়ার্ড বাড়তে পারে
এমনও ইউনিয়ন রয়েছে যেখানে পৌনে ৫ লাখ জনগোষ্ঠী। আবার ৫ হাজার জনগোষ্ঠীরও ইউনিয়ন রয়েছে। জনসংখ্যা ১২০০ থেকে ১৫০০ জন ধরে ওয়ার্ড সংখ্যা ৯ থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৩৯টি করা যেতে পারে। ইউনিয়ন পর্যায়ে একটি কমপ্লেক্স থাকবে, যেখানে ইউনিয়ন পরিষদ, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম একসঙ্গে চলবে।

উপজেলার ওয়ার্ড
উপজেলা ও জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচনের সুবিধার্থে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ উপজেলা পরিষদের তিনটি ওয়ার্ডে পরিগণিত হবে। ইউনিয়ন উপজেলা ও জেলায় এক তৃতীয়াংশ ওয়ার্ড নারীর জন্য থাকবে। ঘূর্ণয়মান পদ্ধতিতে এসব ওয়ার্ড নির্বাচন করা হবে। চারটি নির্বাচনের পর মূল্যায়ন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রকৃত বন্ধু কে?
  • লন্ডনে আ.লীগ নেতার ছেলের বিয়েতে একসঙ্গে সাবেক চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী
  • ‘জামিল এসে বলল, আপা চলেন প্রেম করি’
  • লন্ডনে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের বিয়েতে একসঙ্গে শেখ হাসিনার সাবেক চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী
  • এক তপশিলে পাঁচটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন