Samakal:
2025-12-14@06:55:10 GMT

মিউজিক ইকো রিসোর্ট

Published: 14th, January 2025 GMT

মিউজিক ইকো রিসোর্ট

‘মিউজিক ইকো রিসোর্ট’ সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম কর্নারে ছেঁড়াদ্বীপ-সংলগ্ন শেষ রিসোর্ট। পরিবেশবান্ধব এ রিসোর্ট সেন্টমার্টিনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে অক্ষত রেখেছে। একেবারেই নিরিবিলি। অবারিত ঢেউ আর উত্তাল সমুদ্রে যাদের ভয় নেই, যাদের স্মার্টফোন আর গেজেটে আসক্তি নেই, যারা অবারিত উন্মুক্ত স্থানে বসবাস করতে আগ্রহী এবং যারা অ্যাডভেঞ্চারাস তাদের জন্য এ রিসোর্টটি উপযুক্ত। মোট কথা, এ রিসোর্টে প্রকৃতির আসল রূপ দেখার অফুরন্ত সুযোগ পাওয়া যায়। অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা পেতে জীবনে একবার হলেও যেতে পারেন মিউজিক ইকো রিসোর্টে। ততটা আধুনিক সুযোগ-সুবিধা না থাকা সত্ত্বেও প্রকৃতি উপভোগ করার জন্য সত্যিকারের প্রকৃতিপ্রেমীরাই সেখানে যান। 
ছেঁড়াদ্বীপ-সংলগ্ন এ রিসোর্টের দু’দিকেই সমুদ্র। চারদিকে রয়েছে ম্যানগ্রোভ আর কেয়া গাছের বাউন্ডারি। রিসোর্টের ভেতরে আছে অসংখ্য বৃক্ষরাজি। মনে হবে একটা অরণ্যে ঢুকেছেন। রিসোর্টের মূল ফটক থেকে বেরিয়েই স্যান্ডি বিচ। এর পূর্বদিকে রয়েছে নয়নাভিরাম ম্যানগ্রোভ। স্থানীয়রা তাই এ কর্নারকে ‘সুন্দরবন’ বলে ডাকেন। 
জোয়ার-ভাটায় এর দৃশ্যপট একেবারেই আলাদা। পশ্চিমে অর্থাৎ পেছনের ফটক দিয়ে বের হলে মনকাড়া রক বিচ। যেন সিক্রেট বিচ; যেখানে বসে সান্ধ্যকালীন চা-নাশতা খেতে খেতে সূর্যাস্ত উপভোগ করা যায় অনায়াসে।
এখান থেকে ১০ মিনিটে হেঁটে ছেঁড়াদ্বীপ যাওয়া যায়। পরিবেশবান্ধব কনটেইনার হাউস ও তাঁবু ঘরে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। মেনু দেখে খাবার অর্ডার করা ছাড়াও রয়েছে দৈনন্দিন খাবারের প্যাকেজ। অভিজ্ঞ রাঁধুনির কাঠের চুলায় সামুদ্রিক মাছের স্বাস্থ্যকর রেসিপি এবং সুস্বাদু বারবিকিউয়ের আসল স্বাদ পাওয়া যাবে এখানে। নারিকেলবীথির তলায় বসে খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। মনে হবে যেন প্রকৃতির সবুজ ছাতার নিচে বসে খাচ্ছেন, নিজের বাড়িতেই আড্ডা দিচ্ছেন।
এখানে ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন খেলা ছাড়াও লোকাল বোটে চড়ে অর্থের বিনিময়ে মাছ শিকারের ব্যবস্থা রয়েছে। চাইলে ছেঁড়াদ্বীপে ঘুরতে আসা পর্যটক আগে থেকে অর্ডার করে সকাল, দুপুর বা রাতের খাবারও খেতে পারবেন। 
এ পয়েন্ট থেকেই সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত দুটোই দেখা যায়। এখানে সমুদ্রের শো শো গর্জন, কেয়া আর নারিকেল পাতার মর্মর ধ্বনি, পাখির ঐকতান সৃষ্টি করে মায়াবী সুর। সুরের অবাধ সাগরে কাটান দিন-রাত। 
খুব বেশি মানুষের আনাগোনা নেই এখানে। যারা নিরিবিলি ও নির্জন পরিবেশে সময় কাটাতে চান, এ রিসোর্ট তাদের জন্য আদর্শ। চাইলে (সম্পূর্ণ প্রাইভেসি নিয়ে) ছোট-বড় গ্রুপ, যে কোনো ফ্যামিলি, করপোরেট পার্টির ক্ষেত্রে পুরো রিসোর্ট ভাড়া নেওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে অগ্রিম বুকিং কনফার্ম করে যেতে হবে। রুম ভাড়া (২ জনের জন্য) ৪ হাজার টাকা এবং তাঁবু ঘর ভাড়া ৩ হাজার টাকা। 
লোকেশনটি খুঁজে পাওয়াও খুব সহজ। সেন্টমার্টিন দ্বীপে জাহাজ ঘাটে নেমে যে কাউকে বললেই হবে ‘সুন্দরবন যাব’। তাহলে আর কোনো লোকেশন জানার দরকার নেই। স্থানীয় বাহনে আধা ঘণ্টার যাত্রায় দ্বীপের অনেকটাই সৌন্দর্য দেখতে দেখতে আপনি পৌঁছে যাবেন দ্বীপের শেষ রিসোর্ট দক্ষিণ-পশ্চিম কর্নার ‘মিউজিক ইকো রিসোর্টে’। v

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

অনুচ্ছেদে বিরামচিহ্ন বসাও

বাংলা: অনুচ্ছেদে বিরামচিহ্ন প্রয়োগ

বাংলা বিষয়ের ১১ নম্বর প্রশ্নটি থাকবে ‘বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি পুনরায় লেখো’। পাঠ্যবইয়ের নির্বাচিত বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি লেখে দেওয়া হলো।

১.

প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রকৃতি জনজীবন তাই ভারি বৈচিত্র্যময় এই দেশকে তাই ঘুরে ঘুরে দেখা দরকার কোথায় পাহাড় কোথায় নদী কোথায় বা এর সমুদ্রের বেলাভূমি

উত্তর: বাংলাদেশের প্রকৃতি ও জনজীবন তাই ভারি বৈচিত্র্যময়। এই দেশকে তাই ঘুরে ঘুরে দেখা দরকার। কোথায় পাহাড়, কোথায় নদী, কোথায়–বা এর সমুদ্রের বেলাভূমি।

২.

প্রশ্ন: ভাবো তো কৃষকের কথা তারা কাজ না করলে আমাদের খাদ্য জোগাত কে সবাইকে তাই আমাদের শ্রদ্ধা করতে হবে ভালোবাসতে হবে সবাই আমাদের আপনজন

উত্তর: ভাবো তো কৃষকের কথা। তারা কাজ না করলে আমাদের খাদ্য জোগাত কে? সবাইকে তাই আমাদের শ্রদ্ধা করতে হবে, ভালোবাসতে হবে। সবাই আমাদের আপনজন।

৩.

প্রশ্ন: একই দেশ অথচ কত বৈচিত্র্য এটাই বাংলাদেশের গৌরব সবাই সবার বন্ধু আপনজন এ দেশে রয়েছে নানা ধর্মের লোক

উত্তর: একই দেশ, অথচ কত বৈচিত্র্য। এটাই বাংলাদেশের গৌরব। সবাই সবার বন্ধু, আপনজন। এ দেশে রয়েছে নানা ধর্মের লোক।

৪.

প্রশ্ন: বাংলাদেশের নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার বা রাজকীয় বাঘের নাম এই বাঘ থাকে সুন্দরবনে এ বাঘ দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি আবার ভয়ংকর এর চালচলনও রাজার মতো

উত্তর: বাংলাদেশের নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার বা রাজকীয় বাঘের নাম। এই বাঘ থাকে সুন্দরবনে। এ বাঘ দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি আবার ভয়ংকর। এর চালচলনও রাজার মতো।

৫.

প্রশ্ন: একসময় সুন্দরবনে ছিল চিতা বাঘ ও ওল বাঘ কিন্তু এখন আর এসব বাঘ দেখা যায় না সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার বাংলাদেশের অমূল্য সম্পদ এ বাঘকে বিলুপ্তির হাত থেকে আমাদের বাঁচাতে হবে সুন্দরবনে বাঘ ছাড়াও আছে নানা রকমের হরিণ

উত্তর: একসময় সুন্দরবনে ছিল চিতা বাঘ ও ওল বাঘ। কিন্তু এখন আর এসব বাঘ দেখা যায় না। সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার বাংলাদেশের অমূল্য সম্পদ। এ বাঘকে বিলুপ্তির হাত থেকে আমাদের বাঁচাতে হবে।

বৃক্ষলতা সবকিছুই প্রকৃতির দান। তাকে ধ্বংস করতে নেই। ধ্বংস করলে নেমে আসে নানা বিপর্যয়—বন্যা, খরা, ঝড় ইত্যাদি।

৬.

প্রশ্ন: হাতি ভাবল পুঁচকে শিয়াল যদি নদী পার হতে পারে আমি পারব না কেন সেও নদীতে নেমে পড়ল কিন্তু মস্ত বড় তার শরীর আর কী ভারী

উত্তর: হাতি ভাবল, পুঁচকে শিয়াল যদি নদী পার হতে পারে, আমি পারব না কেন? সে–ও নদীতে নেমে পড়ল। কিন্তু মস্ত বড় তার শরীর আর কী ভারী!

৭.

প্রশ্ন: হাতিটি নদীর পানিতে পা দিল অমনি তার ভারী শরীর একটু একটু করে তলিয়ে যেতে থাকল তলিয়ে যেতে যেতে হাতি বলল শিয়াল ভায়া আমাকে বাঁচাও

উত্তর: হাতিটি নদীর পানিতে পা দিল। অমনি তার ভারী শরীর একটু একটু করে তলিয়ে যেতে থাকল। তলিয়ে যেতে যেতে হাতি বলল, শিয়াল ভায়া, আমাকে বাঁচাও।

৮.

প্রশ্ন: মামা বললেন এটা শখের হাঁড়ি শখ করে পছন্দের জিনিস এই সুন্দর হাঁড়িতে রাখা হয় তাই এর নাম শখের হাঁড়ি তা ছাড়া শখের যেকোনো জিনিসই তো সুন্দর

উত্তর: মামা বললেন, এটা শখের হাঁড়ি। শখ করে পছন্দের জিনিস এই সুন্দর হাঁড়িতে রাখা হয়। তাই এর নাম শখের হাঁড়ি। তা ছাড়া শখের যেকোনো জিনিসই তো সুন্দর।

৯.

প্রশ্ন: মাটির তৈরি শিল্পকর্মকে আমরা বলি মাটির শিল্প বা মৃৎশিল্প এ শিল্পের প্রধান উপকরণ হলো মাটি তবে সব মাটি দিয়ে এ কাজ হয় না দরকার পরিষ্কার এঁটেল মাটি এ ধরনের মাটি বেশ আঠালো

উত্তর: মাটির তৈরি শিল্পকর্মকে আমরা বলি মাটির শিল্প বা মৃৎশিল্প। এ শিল্পের প্রধান উপকরণ হলো মাটি। তবে সব মাটি দিয়ে এ কাজ হয় না। দরকার পরিষ্কার এঁটেল মাটি। এ ধরনের মাটি বেশ আঠালো।

১০.

প্রশ্ন: মামা বললেন হাঁড়ি কলসি ছাড়াও আমাদের দেশে একসময় সুন্দর পোড়ামাটির ফলকের কাজ হতো এর অন্য নাম

টেরাকোটা বাংলার অনেক পুরোনো শিল্প এই টেরাকোটা নকশা করা মাটির ফলক ইটের মতো পুড়িয়ে তৈরি করা হতো এই টেরাকোটা

উত্তর: মামা বললেন, হাঁড়ি–কলসি ছাড়াও আমাদের দেশে একসময় সুন্দর পোড়ামাটির ফলকের কাজ হতো। এর অন্য নাম টেরাকোটা। বাংলার অনেক পুরোনো শিল্প এই টেরাকোটা। নকশা করা মাটির ফলক ইটের মতো পুড়িয়ে তৈরি করা হতো এই টেরাকোটা।

১১.

প্রশ্ন: আমরা দুটি শখের হাঁড়ি কিনলাম অবাক হলাম পুতুলের পাশেই ঘোলা চোখে চেয়ে আছে এক চকচকে রুপালি ইলিশ পদ্মার তাজা ইলিশের মতোই তেমনি সাদা আঁশ লাল ঠোঁট

উত্তর: আমরা দুটি শখের হাঁড়ি কিনলাম। অবাক হলাম, পুতুলের পাশেই ঘোলা চোখে চেয়ে আছে এক চকচকে রুপালি ইলিশ। পদ্মার তাজা ইলিশের মতোই। তেমনি সাদা আঁশ, লাল ঠোঁট।

১২.

প্রশ্ন: আজকাল কি পোড়ামাটির এই শিল্পচর্চা হয় না মামার কাছে জানতে চাইলাম আমরা মামা বললেন আজকাল ও রকম টেরাকোটা হচ্ছে না বটে তবে পোড়ামাটির নকশার কদর বেড়েছে

উত্তর: আজকাল কি পোড়ামাটির এই শিল্পচর্চা হয় না? মামার কাছে জানতে চাইলাম আমরা। মামা বললেন, আজকাল ও রকম টেরাকোটা হচ্ছে না বটে, তবে পোড়ামাটির নকশার কদর বেড়েছে।

১৩.

প্রশ্ন: উয়ারী বটেশ্বর পাশাপাশি দুটি গ্রাম এই দুই গ্রামে প্রায়ই বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান পাওয়া যেত ১৯৩৩ সালে উয়ারী গ্রামে শ্রমিকেরা মাটি খনন করার সময় একটা পাত্রে জমানো কিছু মুদ্রা পান স্থানীয় স্কুলশিক্ষক মোহাম্মদ হানিফ পাঠান সেখান থেকে ২০-৩০টি মুদ্রা সংগ্রহ করেন এগুলো ছিল বঙ্গদেশের এবং ভারতের প্রাচীনতম রৌপ্যমুদ্রা

উত্তর: উয়ারী ও বটেশ্বর পাশাপাশি দুটি গ্রাম। এই দুই গ্রামে প্রায়ই বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান পাওয়া যেত। ১৯৩৩ সালে উয়ারী গ্রামে শ্রমিকেরা মাটি খনন করার সময় একটা পাত্রে জমানো কিছু মুদ্রা পান। স্থানীয় স্কুলশিক্ষক মোহাম্মদ হানিফ পাঠান সেখান থেকে ২০-৩০টি মুদ্রা সংগ্রহ করেন। এগুলো ছিল বঙ্গদেশের এবং ভারতের প্রাচীনতম রৌপ্যমুদ্রা।

১৪.

প্রশ্ন: বিশ্ব ভূমণ্ডল বড়ই বিচিত্র কত অসম্ভব ব্যাপারই যে ঘটে পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ জলপ্রপাত বলা হয় নায়াগ্রাকে এই জলপ্রপাত পাহাড় থেকে নামেনি সমতলের ওপর দিয়ে একটি খরস্রোতা নদী বইছে

উত্তর: বিশ্ব-ভূমণ্ডল বড়ই বিচিত্র! কত অসম্ভব ব্যাপারই যে ঘটে! পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ জলপ্রপাত বলা হয় নায়াগ্রাকে। এই জলপ্রপাত পাহাড় থেকে নামেনি। সমতলের ওপর দিয়ে একটি খরস্রোতা নদী বইছে।

১৫.

প্রশ্ন: নায়াগ্রা হলো জলপ্রপাত জলপ্রপাত তো কখনো দেখিনি শুধু জেনে এসেছি ঝরনার মতো পাহাড়ের ওপর থেকে পানি নিচে সমতল ভূমিতে গড়িয়ে পড়ে তবে আকারে অনেক বিশাল

উত্তর: নায়াগ্রা হলো জলপ্রপাত। জলপ্রপাত তো কখনো দেখিনি। শুধু জেনে এসেছি, ঝরনার মতো পাহাড়ের ওপর থেকে পানি নিচে সমতল ভূমিতে গড়িয়ে পড়ে, তবে আকারে অনেক বিশাল।

১৬.

প্রশ্ন: মা ওঠো শোনো কেউ এসেছে রাহেলা বানু দরজায় টুকটুক শব্দ শোনে দরজার কাছে গেলে আবার শুনতে পায় সে ডাক মা দরজা খোলো

উত্তর: মা ওঠো। শোনো, কেউ এসেছে। রাহেলা বানু দরজায় টুকটুক শব্দ শোনে। দরজার কাছে গেলে আবার শুনতে পায় সে ডাক, মা দরজা খোলো।

খন্দকার আতিক, িশক্ষক
উইল্‌স লিট্‌ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অনুচ্ছেদে বিরামচিহ্ন বসাও