শীতে হাঁসের মাংসের স্বাদ বেড়ে যায় বৈকি। এ সময় হাঁস ঝাল ঝাল করে রান্না করে খেলেও যেমন অমৃত লাগে, তেমনি সবজি দিয়ে রান্না করলেও খেতে ভালো লাগে। হাঁসের মাংসের কয়েক পদের রেসিপি দিয়েছেন আফরোজা খানম মুক্তা
ভুনা খিচুড়ির সঙ্গে হাঁসের ঝাল
উপকরণ: দেশি হাঁস ২টি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, পেঁয়াজ বাটা ৪ টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা ৪ টেবিল চামচ, হলুদ, মরিচ, ধনে গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ, এলাচ, দারচিনি, তেজপাতা ২-৩ পিস, সয়াবিন তেল আধা কাপ, কাঁচামরিচ ৫-৬টি।
প্রস্তুত প্রণালি: হাঁস পরিষ্কার করে কেটে ধুয়ে নিন। এবার কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে সোনালি করে ভেজে নিন। পরে আদা ও রসুন বাটা, মরিচ, হলুদ, ধনে গুঁড়া, লবণ, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া দিয়ে কষিয়ে নিন। পরে হাঁসের মাংস দিয়ে ঢাকনাসহ কম তাপে রান্না করুন সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত। পরে পরিমাণমতো ঝোলের পানি দিন। ফুটে উঠলে এলাচ ও দারচিনি, জিরা গুঁড়া, গরম মসলা দিয়ে আরও কিছু সময় কম তাপে রান্না করুন। ঝোল ঘন হলে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। এবার ভুনা খিচুড়ি দিয়ে হাঁসের ঝাল পরিবেশন করুন।
হাঁসের ঝাল ভুনা
উপকরণ: হাঁস ১টি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদা ও রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, হলুদ, মরিচ, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ, জিরা ও গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, এলাচ ও দারচিনি ২ পিস, সয়াবিন তেল আধা কাপ।
প্রস্তুত প্রণালি: হাঁস ভালোভাবে পরিষ্কার করে ১২ পিস করে কেটে নিন। এবার ধুয়ে নিন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি সোনালি করে ভেজে অল্প পানি দিন। পরে আদা ও রসুন বাটা, হলুদ, মরিচ, ধনে গুঁড়া, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া, লবণ দিয়ে কষিয়ে নিন। কষানো মসলায় হাঁসের মাংস দিয়ে ঢাকনাসহ কম তাপে রান্না করুন। সেদ্ধ হলে আবারও সামান্য পানি দিন। ফুটে উঠলে এলাচ ও দারচিনি, জিরা গুঁড়া, গরম মসলা গুঁড়া, গোলমরিচ গুঁড়া দিয়ে আরও কিছুক্ষণ রান্না করুন। লালচে রং হলে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। চিতই পিঠা আর ধনেপাতা ভর্তা দিয়ে পরিবেশন করুন ঝাল ঝাল হাঁসের ভুনা।
শালগম হাঁসের রসা
উপকরণ: হাঁস ১টি, শালগম ৪টি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, হলুদ, মরিচ ও ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ করে, জিরা ও গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, এলাচ ও দারচিনি ২-৩ পিস, তেজপাতা ২-৩টি, সয়াবিন তেল আধা কাপ।
প্রস্তুত প্রণালি: হাঁস পরিষ্কার করে মাঝারি টুকরা করে ধুয়ে নিন। এবার কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে তেজপাতা, এলাচ, দারচিনি, ফোড়ন দিন। পেঁয়াজ সামান্য ভেজে নিন। এবার অল্প পানি দিয়ে পেঁয়াজ বাটা, আদা ও রসুন বাটা, হলুদ, মরিচ, ধনে গুঁড়া, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া, লবণ দিয়ে কষিয়ে হাঁসের মাংস দিন। পরে নেড়ে সব মসলা মিশিয়ে নিন। আবারও ঝোলের পানি দিয়ে ঢাকনাসহ কম তাপে রান্না করুন সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত। শালগম দিয়ে আবার রান্না করুন। নামানোর আগে জিরা ও গরম মসলা গুঁড়া দিয়ে নেড়ে দমে রাখুন আরও ৫ মিনিট।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
হঠাৎ অতিথি আপ্যায়নে
আগে থেকে না জানিয়ে হঠাৎ করে বাসায় অতিথি এলে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। কীভাবে তাদের আপ্যায়ন করা যায় সেটি চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এমন পরিস্থিতি এড়াতে ফ্রিজে কিছু ফ্রোজেন স্ন্যাকস রাখা যেতে পারে। রেসিপি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী জিনিয়া ইসলাম
হাফ মুন পাই
উপকরণ: চিকেন কিমা ১ কাপ, আদা ও রসুন বাটা ১ চা চামচ করে, লবণ পরিমাণমতো, তেল ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি হাফ কাপ, কাঁচামরিচ কুচি ২ চা চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া হাফ চা চামচ, গাজর কুচি হাফ কাপ, ময়দা দেড় টেবিল চামচ, দুধ ১ কাপ, ধনেপাতা ২ টেবিল চামচ। পাইয়ের ডো: পানি দেড় কাপ, চিনি দেড় চা চামচ, বাটার দেড় টেবিল চামচ, ময়দা দেড় কাপ। ডিপিংয়ের জন্য: ডিম ফেটানো ২টি, ব্রেড ক্রাম্বস, ভাজার জন্য তেল ১ কাপ।
প্রস্তুত প্রণালি: তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাজুন। নরম হলে আদা, রসুন বাটা, কাঁচামরিচ কুচি, লবণ, গোলমরিচ গুঁড়া দিন। পরে চিকেনের কিমা দিয়ে ভেজে নিন। গাজর দিন। এখন ময়দা চেলে ছিটিয়ে ভালো করে নাড়তে হবে, যেন ময়দা দলা হয়ে না যায়। দুধ ঢেলে নাড়তে থাকুন। চিকেন দুধে মিশে ঘন হলে ধনেপাতা দিয়ে নামান। প্যানে পানি নিন। গরম হলে তাতে বাটার-চিনি দিন। ময়দা চেলে ঢেলে দিন এবং নাড়ুন। ঢেকে
রাখুন ১০ মিনিট। ডোটা হাত দিয়ে ভালো করে মথে নরম করুন। এখন ডো নিয়ে পাতলা রুটি তৈরি করে লুচি সেপে কেটে নিন। তার মধ্যে চিকেনের ফিলিং দিয়ে হাফ মুন সেপে পাই তৈরি করুন। সব বানানো হলে ব্রেড ক্রাম্বসে গড়িয়ে হাফ মুন ফ্রিজে রেখে দিন। পরে তেল গরম করে তাতে ভেজে নিন।
বিফ পানতারাস
উপকরণ: বিফ কিমা সেদ্ধ ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি হাফ কাপ, কাঁচামরিচ কুচি ১ চামচ, টমেটো সস ৩ চা চামচ, তেল ২ টেবিল চামচ, লবণ ১চা চামচ, আদা বাটা হাফ চা চামচ, রসুন বাটা হাফ চা চামচ, জিরা গুঁড়া হাফ চা চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ। পান্তারাসের ব্যাটার: ময়দা ১ কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ২ চা চামচ, লবণ হাফ চা চামচ, ডিম ১টি, ধনেপাতা কুচি ১ চা চামচ, পানি দেড় কাপ। ডিপিংয়ের জন্য: ডিম ১টি, ব্রেড ক্রাম্ব ভাজার জন্য তেল হাফ কাপ।
প্রস্তুত প্রণালি: তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ ও মরিচ কুচি দিন। হালকা ভাজা হলে লবণ, আদা বাটা, রসুন বাটা, জিরা গুঁড়া দিন। নেড়ে কষিয়ে সেদ্ধ বিফ কিমা দিন। একটু ভেজে টমেটো সস দিন। সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে দিন। পানি শুকিয়ে গেলে কর্নফ্লাওয়ার পানিতে গুলে ঢেলে দিন। ঘন হলে নামিয়ে নিন। একটি বাটিতে ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার, লবণ, ধনেপাতা নিন। পানির সঙ্গে ডিম ভালো করে ফেটে নিন। এখন ময়দার মধ্যে পানি ঢালুন অল্প অল্প করে। খুব ঘন বা খুব পাতলা হবে না ব্যাটার। মাঝারি হবে। একটি প্যান চুলায় দিয়ে গরম করে তেল ব্রাশ করে নিন। এখন ময়দার ব্যাটার প্যানে সামান্য ঢেলে প্যান ঘুরিয়ে নিন; যাতে প্যানের চারপাশে ব্যাটার না লেগে যায়। ঢেকে দিন। এক-দুই মিনিট পর ঢাকনা খুলে পানতাসের সিট তুলে নিন। এখন কিমা ওই সিটের মাঝখানে দিন। চারপাশ থেকে মুড়িয়ে নিন। শেপ ইচ্ছামতো করতে পারেন। রোলের মতো বা চারকোনা করে বানিয়ে নিন সব পানতারাস। ফেটানো ডিমে ডিপ করে ব্রেড ক্রাম্ব দিয়ে গড়িয়ে নিন। এভাবে ডিপে সংরক্ষণ করতে পারেন।
বিফ চাপালি কাবাব
উপকরণ: বিফ কিমা ১ কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ৩ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, গোলমরিচ গুঁড়া হাফ চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি মাঝারি ১টা, কাঁচামরিচ কুচি ২-৩টি, বেরেস্তা ২ টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ, টমেটো কুচি ২ টেবিল চামচ, ডিম ১টি, পুদিনা পাতা কুচি ২ টেবিল চামচ। টমেটো স্লাইস ৬টি, তেল হাফ কাপ।
প্রস্তুত প্রণালি: বিফ ধুয়ে পানি ঝরিয়ে কিমা করুন। তেল ছাড়া সব উপকরণ মিশিয়ে মাখান। কাবাবের জন্য কিমা ১৫ থেকে ২০ মিনিট মথে নিতে হয়। ১০ মিনিট রেস্টে রেখে দিন ম্যারিনেশনের জন্য। এরপর কিমা হাতের তালুতে নিয়ে চেপে চেপে গোল চ্যাপটা করে কাবাব বানিয়ে নিন। এভাবে বানিয়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে ফ্রোজেন করে রাখতে পারেন।