Samakal:
2025-01-31@15:01:28 GMT

ছেলেদের ডেনিম

Published: 14th, January 2025 GMT

ছেলেদের ডেনিম

ঢাকার বাইরে কোথাও কোথাও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলমান। আবহাওয়া বার্তা অনুযায়ী ঢাকায় বাড়তে পারে শীতের দাপট। এখন শহরে হালকা শীত বিদ্যমান। এ সময়টায় আরামের জন্য বেছে নিতে পারেন ডেনিমের জ্যাকেট, শার্ট ইত্যাদি। ডেনিম শুধু আরামদায়ক ও টেকসই নয়, বরং এটি ফ্যাশনপ্রেমীর জন্য আদর্শও বটে। শীতের দিনে উষ্ণতা ও স্টাইল ধরে রাখতে ডেনিম হতে পারে আপনার প্রথম পছন্দ।
শীতে ডেনিম কেন বেছে নেবেন?
ডেনিম কাপড়ের মূল বৈশিষ্ট্য হলো এর ঘন এবং মজবুত বুনন, যা শীতকালে শরীরকে সুরক্ষিত রাখে। এটি শীতল হাওয়া প্রতিরোধ করে এবং লেয়ারিংয়ের জন্যও বেশ ভালো। একদিকে ডেনিমের ক্ল্যাসিক লুক, অন্যদিকে আরামের নিশ্চয়তা– এ দুই গুণের সমন্বয়েই এটি সবার কাছে জনপ্রিয়। ডেনিমের আরেকটি সুবিধা হলো এটি প্রায় সব ধরনের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে। 
শীতকালে আমরা এমন পোশাক খুঁজি, যা একাধারে টেকসই, আরামদায়ক ও স্টাইলিশ। ডেনিম এ তিনটি বৈশিষ্ট্যই পূরণ করে। বিভিন্ন ধরনের ফ্যাশনেবল পোশাক তৈরিতে ডেনিম কাপড় ব্যবহার করা হয়, যা ছেলেদের স্টাইল স্টেটমেন্টে নতুন মাত্রা যোগ করে।
প্রতিদিনের সঙ্গী ডেনিম জ্যাকেট
শীতে ছেলেদের পোশাকের তালিকায় ডেনিম জ্যাকেট প্রথম সারিতে থাকে। এটি স্টাইলিশ ও বহুমুখী, যা বিভিন্ন পোশাকের সঙ্গে সহজেই মানিয়ে যায়। ফ্ল্যানেল শার্ট বা টার্টলনেকের ওপর ডেনিম জ্যাকেট পরলে স্টাইলের পাশাপাশি উষ্ণতাও বজায় থাকে।
ডেনিম জ্যাকেটের আরেকটি ভালো দিক হলো, এটি কখনও ফ্যাশন থেকে পুরোনো হয় না। ক্ল্যাসিক ব্লু, ব্ল্যাক বা গ্রে রঙের জ্যাকেট সব সময়ই আভিজাত্যের ছাপ রাখে।  জ্যাকেটের ভেতরে ফার বা উলের আস্তর থাকলে এটি শীতের ঠান্ডা মোকাবিলায় আরও উপকারী হয়।
ডেনিম জিন্স
ডেনিম জিন্স এমন একটি পোশাক, যা সারাবছর ব্যবহার করা যায়, তবে শীতকালে এটি বেশি কার্যকর। মজবুত এবং আরামদায়ক হওয়ায় এটি লম্বা সময় ধরে পরার জন্য উপযুক্ত। ডার্ক ব্লু বা ব্ল্যাক ডেনিম জিন্স শীতের ফ্যাশনে একটি স্মার্ট এবং পরিপাটি লুক নিয়ে আসে। শীতের সকালে বা সন্ধ্যায় হালকা কোট বা সোয়েটারের সঙ্গে ডেনিম জিন্স বেশ মানানসই। এটি শুধু আরামই দেয় না, বরং আধুনিকতার পরিচায়কও। শীতের ছুটিতে বা ভ্রমণে ডেনিম জিন্স সবসময় সঙ্গী হতে পারে।
লেয়ারিংয়ে ডেনিম
শীতকালে লেয়ারিং একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি। ডেনিম শার্ট বা জ্যাকেট ব্যবহার করে আপনি সহজেই একটি স্টাইলিশ লেয়ারিং লুক তৈরি করতে পারেন। একটি সাদা টি-শার্টের ওপর একটি ডেনিম জ্যাকেট– এই কম্বিনেশন আপনাকে দারুণ লুক এনে দেবে। আরেকটি হচ্ছে, একটি সাদা টি-শার্টের ওপর ডেনিম শার্ট এবং তার সঙ্গে একটি ওভারকোট– এই কম্বিনেশনটি আপনাকে উষ্ণতার পাশাপাশি আধুনিক লুক দেবে। ডেনিম শার্ট একা পরেও খুব সুন্দর লাগে। হালকা শীতের দিনের জন্য ডেনিম শার্ট একটি আদর্শ পছন্দ। 
আনুষঙ্গিক ডেনিম
ডেনিম শুধু জ্যাকেট বা জিন্সেই সীমাবদ্ধ নয়। শীতের ফ্যাশনে ডেনিমের ক্যাপ, স্নিকার, বা ব্যাগও বিশেষ ভূমিকা রাখে। এগুলো আপনার পুরো লুককে আরও স্টাইলিশ করে তুলতে পারে। ডেনিমের ক্যাপ বা হুডি আপনার মাথাকে ঠান্ডা থেকে সুরক্ষিত রাখবে এবং একই সঙ্গে আপনার স্টাইলকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
ডেনিমের সঠিক ব্যবহার
ডেনিম একটি টেকসই এবং বহুমুখী কাপড় হলেও, এর সঠিক ব্যবহার এবং যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
• শীতকালে ঘন ঘন ধোয়ার প্রয়োজন নেই। এতে কাপড়ের গুণাগুণ অক্ষুণ্ন থাকবে।
 • ডেনিম ধোয়ার সময় ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন এবং সূর্যের সরাসরি আলো থেকে দূরে শুকাতে দিন।
• ডেনিম জ্যাকেট বা জিন্স ব্যবহারের পরে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখুন।
• ডেনিমের স্থায়িত্ব বাড়াতে বিশেষ ধরনের ডিটারজেন্ট ব্যবহার করুন। v

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়। 

নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)। 
 
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।

হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে। 

একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে  আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ