Samakal:
2025-12-14@06:53:18 GMT

শীতেও চাই সানস্ক্রিন

Published: 14th, January 2025 GMT

শীতেও চাই সানস্ক্রিন

শীতকালে ত্বকের যত্নের ধরনেও পরিবর্তন আসে। অনেকে মনে করেন শীতকালে সানস্ক্রিন ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না। কারণ সূর্যের তাপ কম থাকে। এটি ভুল ধারণা। শীতেও সূর্যের ক্ষতিকর আলট্রাভায়োলেট রশ্মি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এ কারণে শীতে সানস্ক্রিন ব্যবহারের গুরুত্ব কম নয় বরং বছরের প্রতিটি সময়ের মতোই অপরিহার্য।
রাজিয়া’স মেকওভারের স্বত্বাধিকারী রাজিয়া সুলতানা জানান, শীতে ত্বক যেহেতু শুষ্ক থাকে, তাই সানবার্ন বেশি হয়। তাই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা খুবই জরুরি। কেউ যদি মনে করেন, ঘরে থাকলে সানস্ক্রিনের প্রয়োজন নেই, এটিও ভুল। কারণ ঘর হোক বা অফিস, আমাদের অতিমাত্রায় বৈদ্যুতিক বাতির সামনে থাকতে হয়। এ সময়েও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। 
রাতে ঘুমানোর আগে মুখে হেভি ময়েশ্চারাইজার বা নাইট ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। দিনের বেলায় সানস্ক্রিনের পাশাপাশি হালকা ময়েশ্চারাইজারও ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন এ রূপবিশেষজ্ঞ।  আপনার ত্বকের জন্য কোন ময়েশ্চারাইজার ভালো সেটি দেখে নেবেন। 
শীতে সানস্ক্রিন কেন জরুরি
শীতকালে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও সূর্যের ইউভি-এ এবং ইউভি-বি রশ্মি মেঘ ভেদ করে পৌঁছে যায়। ইউভি রশ্মি ত্বকের পিগমেন্টেশন, ব্রণের দাগ এবং বার্ধক্যের লক্ষণ বাড়াতে পারে। তাছাড়া দীর্ঘমেয়াদে এটি ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ায়। সানস্ক্রিন ব্যবহারের মাধ্যমে এইক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
বার্ধক্যের লক্ষণ প্রতিরোধে 
শীতের সময় শুষ্ক আবহাওয়া ত্বককে রুক্ষ এবং প্রাণহীন করে তোলে। এর সঙ্গে সূর্যের ইউভি রশ্মি যোগ হলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমে যায় এবং বলিরেখা বা ফাইন লাইনস দেখা দেয়। এ সময় সানস্ক্রিন ব্যবহারের পাশাপাশি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
ঠোঁটের সুরক্ষায়
শীতকালে ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায় এবং সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ঠোঁটের সূক্ষ্ম ত্বকে ক্ষতি করতে পারে। ঠোঁটের কালচে ভাব ও শুষ্কতা রোধে লিপ বাম বা সানস্ক্রিনযুক্ত লিপ কেয়ার ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। এসপিএফ যুক্ত লিপবাম ব্যবহার করুন। বাইরে যাওয়ার আগে ঠোঁটকে আর্দ্র রাখুন।
অসমতা দূর 
ইউভি রশ্মি ত্বকের মেলানিন উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে ত্বকে দাগ, ফাটা চামড়া এবং রঙের অসমতা দেখা দেয়। শীতকালেও সানস্ক্রিন নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের রঙের স্বাভাবিক ভারসাম্য বজায় থাকে। শীতে অনেকে ভ্রমণ বা পাহাড়ে বেড়াতে যান। সমুদ্র-পাহাড়-সমতল যেখানেই যান না কেন, সঙ্গে সানস্ক্রিন রাখুন। নয়তো ত্বকে অসম দাগ পড়তে পারে।  
মেকআপের সঙ্গে সানস্ক্রিন 
যারা মেকআপ করেন, তারা সানস্ক্রিন বেস হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এটি মেকআপকে দীর্ঘস্থায়ী করে এবং ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। অনেকেই মনে করেন, শীতকালে ময়েশ্চারাইজার বা ফাউন্ডেশনে এসপিএফ থাকলেই সানস্ক্রিনের প্রয়োজন নেই। তবে এটি যথেষ্ট নয়। শুধু সানস্ক্রিনই ইউভি রশ্মি থেকে পুরোপুরি সুরক্ষা দিতে পারে।
সানস্ক্রিন ব্যবহারের সঠিক নিয়ম
বাইরে বের হওয়ার অন্তত ১৫-২০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন মাখুন। মুখের পাশাপাশি ঘাড়, কান, হাত, পা এবং অন্য যেসব অংশ সূর্যের সংস্পর্শে আসে সেসব স্থানে সানস্ক্রিন লাগান। পানি প্রতিরোধী সানস্ক্রিন বেছে নিন, বিশেষ করে যারা বাইরে কাজ করেন বা ঘাম ঝরান। সকালে একবার লাগানোর পর দিনের বাকি সময়ে প্রতি দুই ঘণ্টা পরপর আবার লাগানোর চেষ্টা করুন।
উপযুক্ত সানস্ক্রিন নির্বাচন
শীতকালে এমন সানস্ক্রিন বেছে নেওয়া উচিত, যা ত্বককে শুষ্ক না করে। ময়েশ্চারাইজিং গুণসম্পন্ন সানস্ক্রিন শীতের শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে। এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি যুক্ত সানস্ক্রিন নির্বাচন করুন। এও নিশ্চিত করুন যে এটি ইউভি-এ ও ইউভি-বি থেকে সুরক্ষা দেয়। v

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের মোট সম্পদের এক-চতুর্থাংশই ১% ধনীর হাতে

বাংলাদেশে ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে আয় এবং সম্পদের বণ্টনে অসমতা এক দশক ধরে একই রকম আছে। জাতীয় আয়ের বড় অংশই ধনী শ্রেণির মানুষের পকেটে চলে যাচ্ছে। স্বল্পসংখ্যক ধনীর হাতেই রয়েছে বেশি সম্পদ।

প্যারিস স্কুল অব ইকোনমিকসের বৈশ্বিক অসমতা প্রতিবেদন ২০২৬ সালে দেখা গেছে, দেশের মোট সম্পদের ৫৮ শতাংশের মালিকানা সবচেয়ে ধনী ১০ শতাংশ মানুষের হাতে। এর মধ্যে শীর্ষ ১ শতাংশ ধনীর কাছেই রয়েছে মোট সম্পদের প্রায় এক-চতুর্থাংশ। আর ৪ দশমিক ৭ শতাংশ সম্পদের মালিকানা ৫০ শতাংশের হাতে।

আয়ের ক্ষেত্রেও অসমতা প্রায় একই রকম। জাতীয় আয়ের প্রায় ৪১ শতাংশই চলে যায় শীর্ষ উপার্জনকারী ১০ শতাংশ মানুষের হাতে। অন্য দিকে নিম্ন আয়ের ৫০ শতাংশ মানুষের সম্মিলিত আয় মাত্র ১৯ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক দশকে দেশের সবচেয়ে ধনী ও সবচেয়ে দরিদ্র মানুষের আয়ের ব্যবধান সামান্যই কমেছে। ২০১৪ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এই ব্যবধান ২২ থেকে কমে ২১ হয়েছে।

বৈশ্বিক অসমতা প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের মানুষের বার্ষিক গড় মাথাপিছু আয় ৬ হাজার ১০০ ইউরো বা ৮ লাখ ৭৩ হাজার ১৫৪ টাকা (ক্রয়ক্ষমতা সমতার ভিত্তিতে)। আর গড় সম্পদ ৩০ হাজার ইউরো বা ৪২ লাখ ৯৪ হাজার ২০০ টাকা (ক্রয়ক্ষমতা সমতার ভিত্তিতে)।

অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ এখনো বেশ কম, মাত্র ২২ দশমিক ৩ শতাংশ। এটি অর্থনীতিতে দীর্ঘস্থায়ী লিঙ্গবৈষম্যের ইঙ্গিত হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে।

এতে আরও বলা হয়, সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশে বৈষম্যের চিত্রে বড় কোনো পরিবর্তন আসেনি। আয় ও সম্পদ বণ্টনে ভারসাম্য আনতে যে ধরনের অগ্রগতি দরকার, তা এখনো সীমিত।

১০ ডিসেম্বর প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বিশ্বে আয় ও সম্পদ বণ্টনে বৈষম্যের চিত্রটিও ফুটে উঠেছে। এতে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বে ব্যক্তিগত সম্পদের তিন–চতুর্থাংশই রয়েছে ১০ শতাংশ ধনীর হাতে। তার মধ্যে ৩৭ শতাংশ আবার ১ শতাংশ শীর্ষ ধনীর হাতে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশের মোট সম্পদের এক-চতুর্থাংশই ১% ধনীর হাতে