Samakal:
2025-01-31@14:57:20 GMT

শীতেও চাই সানস্ক্রিন

Published: 14th, January 2025 GMT

শীতেও চাই সানস্ক্রিন

শীতকালে ত্বকের যত্নের ধরনেও পরিবর্তন আসে। অনেকে মনে করেন শীতকালে সানস্ক্রিন ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না। কারণ সূর্যের তাপ কম থাকে। এটি ভুল ধারণা। শীতেও সূর্যের ক্ষতিকর আলট্রাভায়োলেট রশ্মি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এ কারণে শীতে সানস্ক্রিন ব্যবহারের গুরুত্ব কম নয় বরং বছরের প্রতিটি সময়ের মতোই অপরিহার্য।
রাজিয়া’স মেকওভারের স্বত্বাধিকারী রাজিয়া সুলতানা জানান, শীতে ত্বক যেহেতু শুষ্ক থাকে, তাই সানবার্ন বেশি হয়। তাই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা খুবই জরুরি। কেউ যদি মনে করেন, ঘরে থাকলে সানস্ক্রিনের প্রয়োজন নেই, এটিও ভুল। কারণ ঘর হোক বা অফিস, আমাদের অতিমাত্রায় বৈদ্যুতিক বাতির সামনে থাকতে হয়। এ সময়েও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। 
রাতে ঘুমানোর আগে মুখে হেভি ময়েশ্চারাইজার বা নাইট ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। দিনের বেলায় সানস্ক্রিনের পাশাপাশি হালকা ময়েশ্চারাইজারও ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন এ রূপবিশেষজ্ঞ।  আপনার ত্বকের জন্য কোন ময়েশ্চারাইজার ভালো সেটি দেখে নেবেন। 
শীতে সানস্ক্রিন কেন জরুরি
শীতকালে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও সূর্যের ইউভি-এ এবং ইউভি-বি রশ্মি মেঘ ভেদ করে পৌঁছে যায়। ইউভি রশ্মি ত্বকের পিগমেন্টেশন, ব্রণের দাগ এবং বার্ধক্যের লক্ষণ বাড়াতে পারে। তাছাড়া দীর্ঘমেয়াদে এটি ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ায়। সানস্ক্রিন ব্যবহারের মাধ্যমে এইক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
বার্ধক্যের লক্ষণ প্রতিরোধে 
শীতের সময় শুষ্ক আবহাওয়া ত্বককে রুক্ষ এবং প্রাণহীন করে তোলে। এর সঙ্গে সূর্যের ইউভি রশ্মি যোগ হলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমে যায় এবং বলিরেখা বা ফাইন লাইনস দেখা দেয়। এ সময় সানস্ক্রিন ব্যবহারের পাশাপাশি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
ঠোঁটের সুরক্ষায়
শীতকালে ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায় এবং সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ঠোঁটের সূক্ষ্ম ত্বকে ক্ষতি করতে পারে। ঠোঁটের কালচে ভাব ও শুষ্কতা রোধে লিপ বাম বা সানস্ক্রিনযুক্ত লিপ কেয়ার ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। এসপিএফ যুক্ত লিপবাম ব্যবহার করুন। বাইরে যাওয়ার আগে ঠোঁটকে আর্দ্র রাখুন।
অসমতা দূর 
ইউভি রশ্মি ত্বকের মেলানিন উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে ত্বকে দাগ, ফাটা চামড়া এবং রঙের অসমতা দেখা দেয়। শীতকালেও সানস্ক্রিন নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের রঙের স্বাভাবিক ভারসাম্য বজায় থাকে। শীতে অনেকে ভ্রমণ বা পাহাড়ে বেড়াতে যান। সমুদ্র-পাহাড়-সমতল যেখানেই যান না কেন, সঙ্গে সানস্ক্রিন রাখুন। নয়তো ত্বকে অসম দাগ পড়তে পারে।  
মেকআপের সঙ্গে সানস্ক্রিন 
যারা মেকআপ করেন, তারা সানস্ক্রিন বেস হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এটি মেকআপকে দীর্ঘস্থায়ী করে এবং ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। অনেকেই মনে করেন, শীতকালে ময়েশ্চারাইজার বা ফাউন্ডেশনে এসপিএফ থাকলেই সানস্ক্রিনের প্রয়োজন নেই। তবে এটি যথেষ্ট নয়। শুধু সানস্ক্রিনই ইউভি রশ্মি থেকে পুরোপুরি সুরক্ষা দিতে পারে।
সানস্ক্রিন ব্যবহারের সঠিক নিয়ম
বাইরে বের হওয়ার অন্তত ১৫-২০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন মাখুন। মুখের পাশাপাশি ঘাড়, কান, হাত, পা এবং অন্য যেসব অংশ সূর্যের সংস্পর্শে আসে সেসব স্থানে সানস্ক্রিন লাগান। পানি প্রতিরোধী সানস্ক্রিন বেছে নিন, বিশেষ করে যারা বাইরে কাজ করেন বা ঘাম ঝরান। সকালে একবার লাগানোর পর দিনের বাকি সময়ে প্রতি দুই ঘণ্টা পরপর আবার লাগানোর চেষ্টা করুন।
উপযুক্ত সানস্ক্রিন নির্বাচন
শীতকালে এমন সানস্ক্রিন বেছে নেওয়া উচিত, যা ত্বককে শুষ্ক না করে। ময়েশ্চারাইজিং গুণসম্পন্ন সানস্ক্রিন শীতের শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে। এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি যুক্ত সানস্ক্রিন নির্বাচন করুন। এও নিশ্চিত করুন যে এটি ইউভি-এ ও ইউভি-বি থেকে সুরক্ষা দেয়। v

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়। 

নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)। 
 
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।

হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে। 

একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে  আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ