লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে গত মৌসুমটা দারুণভাবে শেষ করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিলিয়ান এমবাপ্পের আগমনের কারণে চলতি মৌসুমেও অন্যতম ফেবারিট ভাবা হচ্ছিল রিয়ালকে। কিন্তু গত মৌসুমের তুলনায় এ মৌসুমে রিয়ালের পারফরম্যান্স বেশ সাদামাটাই। এমবাপ্পের সংযুক্তিও দলের পারফরম্যান্সে বিশেষ কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি।

উল্টো গত মৌসুমে দারুণ নৈপুণ্য দেখানো ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও জুড বেলিংহামও বেশ নিষ্প্রভ হয়ে পড়েছেন। এরই মধ্যে বার্সেলোনার কাছে ৫-২ গোলে হেরে স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপাও হাতছাড়া হয়েছে রিয়ালের। সব মিলিয়ে এই মৌসুমে রিয়ালের পারফরম্যান্স মোটেই সন্তোষজনক নয়। বরং তুলনামূলক সম শক্তির দলগুলোর বিপক্ষে রিয়ালের পারফরম্যান্সকে বেশ শোচনীয়ই বলতে হয়।

শুরুতে বার্সেলোনার বিপক্ষে পারফরম্যান্সের কথাই ধরা যাক। লা লিগায় ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতেই রিয়াল বিধ্বস্ত হয়েছিল ৪-০ গোলে। সেই ম্যাচে হাইলাইন ডিফেন্সিভ কৌশলে রিয়ালকে আটকে দেওয়ার পাশাপাশি আক্রমণেও বার্সা ছিল দুর্দান্ত। এরপর স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালেও রিয়ালের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছে বার্সা। জেদ্দায় দারুণ নৈপুণ্যে রিয়ালকে তারা উড়িয়ে দিয়েছে ৫-২ গোলে। অর্থাৎ শুধু বার্সার কাছেই রিয়াল দুই ম্যাচে হজম করেছে ৯ গোল।

আরও পড়ুনএল ক্লাসিকোতে রিয়ালের ঘুমপাড়ানি ফুটবল ও ফ্লিকের আরেকটি মাস্টারক্লাস ১৩ জানুয়ারি ২০২৫

লা লিগায় এখন শীর্ষে থাকা আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষেও জিততে পারেনি রিয়াল। প্রথম লেগের ম্যাচটিতে কোনোরকমে ড্র করেছিল কার্লো আনচেলত্তির দল। বার্সেলোনা বা আতলেতিকোর মতো বড় না হলেও চলতি মৌসুমে দারুণ নৈপুণ্য দেখাচ্ছে অ্যাথলেটিক বিলবাও। এই মুহূর্তে ১৯ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার ৪ নম্বরে আছে বিলবাও। সেই বিলবাওয়ের মাঠ থেকেও কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে ফিরতে পারেনি মাদ্রিদের ক্লাবটি।

বার্সার কাছে হেরে বিধ্বস্ত রিয়ালের দুই তারকা ফুটবলার জুড বেলিংহাম ও কিলিয়ান এমবাপ্পে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিপিএল প্লে-অফে রংপুর-বরিশালের সঙ্গী হচ্ছে কারা

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম পর্ব শেষের পথে, প্লে-অফের লড়াই জমে উঠেছে। রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশাল ইতোমধ্যে শেষ চার নিশ্চিত করলেও, বাকি দুটি দল এখনো নির্ধারিত হয়নি। দুর্বার রাজশাহী শেষ মুহূর্তে দারুণ ফর্ম দেখিয়ে সমীকরণ জটিল করে তুলেছে, বিপাকে পড়েছে খুলনা টাইগার্স ও চিটাগং কিংস।

প্রথম পর্বের বাকি ছয় ম্যাচের পারফরম্যান্সই ঠিক করবে প্লে-অফে কারা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সিলেট স্ট্রাইকার্স ছিটকে গেলেও, বাকি চার দল এখনো দৌড়ে টিকে আছে। 

প্লে-অফ নিশ্চিত হলেও শীর্ষ দুইয়ে থাকতে চাইবে রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশাল। কারণ কোয়ালিফায়ার খেলতে পারলে আরও একটি সুযোগ পাবে তারা। এক্ষেত্রে চিটাগং কিংস অন্তত একটি ম্যাচ হারলেই শীর্ষ দুই নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের।

দুর্বার রাজশাহীর সব ম্যাচ শেষ। খুলনা টাইগার্স দুটি ম্যাচের একটি হারলে রাজশাহী নিশ্চিতভাবেই প্লে-অফে যাবে। যদি খুলনা দুটি ম্যাচ জিতে, তাহলে নেট রান রেটের হিসাব চলে আসবে। এছাড়া চিটাগং কিংস তাদের তিন ম্যাচ হারলে প্লে-অফ নিশ্চিত হবে রাজশাহীর। তবে যদি চিটাগং একটি ও খুলনা দুটি ম্যাচ জেতে, তাহলে তিন দলের মধ্যে নেট রান রেটের হিসাব আসবে।  

চিটাগং কিংসের বাকি খেলাগুলো হবে রংপুর রাইডার্স, সিলেট স্ট্রাইকার্স, ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে। তিন ম্যাচের সবকটি জিতলে সরাসরি প্লে-অফ নিশ্চিত হবে। দুই ম্যাচ জিতলে তৃতীয় হয়ে শেষ চারে যাবে। একটি জয় পেলেও প্লে-অফে যাওয়ার সুযোগ থাকতে পারে, তবে রাজশাহী ও খুলনার সঙ্গে নেট রান রেটের লড়াইয়ে পড়তে হবে। তিন ম্যাচ হারলেও খুলনা টাইগার্সের পারফরম্যান্সের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।

রংপুর রাইডার্স, ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচ খেলবে খুলনা টাইগার্স। দুই ম্যাচের একটিতে জয় পেলেও প্লে-অফের সম্ভাবনা থাকবে, তবে চিটাগং কিংসের ফলাফলের ওপর নির্ভর করতে হবে। চিটাগং তিন ম্যাচ হারলে এক জয়েও খুলনা প্লে-অফে যেতে পারে, তবে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকতে হবে। দুই ম্যাচ জিতলেও রাজশাহীর সঙ্গে নেট রান রেটের সমীকরণে যেতে হবে।

প্লে-অফে খেলতে সবচেয়ে কঠিন সমীকরণ মেলাতে হবে ঢাকা ক্যাপিটালসকে। তারা এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচ খেলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে। তাদের শেষ দুই ম্যাচের প্রতিপক্ষ ফরচুন বরিশাল ও খুলনা টাইগার্স। এই দুই ম্যাচ জিতলেও তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যদের দিকে। চিটাগং আর একটি কিংবা খুলনা দুটি ম্যাচ জিতলেই বাদ ঢাকা।

শেষ মুহূর্তের লড়াইয়ে কোন দুই দল জায়গা পাবে প্লে-অফে, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে শেষ ছয় ম্যাচের ফলাফলের জন্য।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তবুও আফসোস নেই শরিফুলের
  • বাটলারে অনড়, প্ল্যান-বি বাফুফের
  • বিপিএল প্লে-অফে রংপুর-বরিশালের সঙ্গী হচ্ছে কারা