সবুজ রূপান্তর ও টেকসই উন্নয়নের জন্য সংস্কার এজেন্ডা ত্বরান্বিত করতে যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে ডেনমার্ক ও স্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। কার্যক্রমটিতে গবেষণা, সংলাপ ও নীতি সমর্থনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সংস্কার ও সবুজ রূপান্তর এজেন্ডায় জোর দেওয়া হবে।

ঢাকায় নিযুক্ত ডেনিশ রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার এবং সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন চার বছর মেয়াদি এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। এ নিয়ে আজ মঙ্গলবার ঢাকায় ধানমন্ডিতে সিপিডির কার্যালয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে। সিপিডি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

ডেনিশ রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক শক্তিশালীকরণসহ সুশাসন ও বাংলাদেশের সব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করে তোলার সময় এসেছে। আমরা বিশ্বাস করি, এই কার্যক্রম নীতিনির্ধারকদের জন্য অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন এবং মধ্যম আয়ের ফাঁদের চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে ওঠার সম্ভাব্য উপায় নিয়ে সঠিক দিকনির্দেশনা দেবে। আমরা উচ্চ উৎপাদনশীলতা, আয় বহুমুখীকরণ, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে (এফটিএ) প্রবেশ এবং ব্যবসা করার সহজতাসহ বৈশ্বিক মূল্য শৃঙ্খলে বাংলাদেশের শক্তিশালী উপস্থিতি চাই।’

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘এটি একটি সময়োপযোগী কার্যক্রম। কারণ, আমরা একটি রূপান্তরের সময় পার করছি এবং দেশের জন্য কাঠামোগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তনের আশা করছি। আমরা মনে করি, আমাদের এই কার্যক্রম চলমান সংস্কারপ্রক্রিয়ার জন্য সহায়ক হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আচরণবিধি ভঙ্গে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ সাকিব

বিপিএলে আগ্রাসী আচরণের জন্য দ্বিতীয়বারের মতো শাস্তি পেয়েছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের পেসার তানজিম হাসান সাকিব। আগের বার জরিমানা হলেও এবার দুই ম্যাচে নিষিদ্ধ; সাথে পেয়েছেন ৪টি ডিমেরিট পয়েন্ট। 

কারণ ২৪ মাসের মধ্যে কোনো ক্রিকেটার ৪ ডিমেরিট পেলে তাকে নির্দিষ্ট সংখ্যক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করার কথা। তবে সাকিব নিজের আচরণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) চিটাগং কিংসের বিপক্ষে তার দল সিলেট স্ট্রাইকার্সের শেষ ম্যাচে নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন তিনি।

ম্যাচের তৃতীয় ওভারে চিটাগংয়ে খেলা গ্রাহাম ক্লার্ককে আউট করে ব্যাটারের উদ্দেশে কিছু একটা বলেন সাকিব। ঘটনাটি নজর এড়ায়নি দুই অনফিল্ড আম্পায়ার গাজী সোহেল ও মোর্শেদ আলী খানের।

ম্যাচ শেষে দুই আম্পায়ার ম্যাচ রেফারির কাছে অভিযোগ জানান। পরে ম্যাচ রেফারি এহসানুল হক সেজান শাস্তি হিসেবে সাকিবকে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেন। এর ফলে ৪ ডিমেরিট পয়েন্ট পাওয়া এই ক্রিকেটারকে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ