Prothomalo:
2025-04-29@04:36:29 GMT

মুখোমুখি সেলিম–নিশো

Published: 14th, January 2025 GMT

‘প্রিয়তমা’ ছবিতে শাকিব খানের সঙ্গে প্রধান খল চরিত্রে অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম। পরে ক্যামিও বা পার্শ্ব নেতিবাচক চরিত্রে ফিরলেও প্রধান খল চরিত্রে তাঁকে আর দেখা যায়নি। এবার আগের চেয়েও ভয়ংকর রূপে দেখা দেবেন এই অভিনেতা। ‘দাগি’ সিনেমায় আফরান নিশোর মুখোমুখি হবেন সেলিম।

২০২৪ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে শুরু হয়েছে ‘দাগি’র শুটিং। এটি পরিচালনা করছেন শিহাব শাহীন। সেই শুটিং নিয়েই ব্যস্ত সেলিম জানালেন, বর্তমানে সৈয়দপুর জেলায় শীতের মধ্যে শুটিং করছেন। সেলিম বলেন, ‘প্রিয়তমা সিনেমার পর দর্শকদের কাছে ভালো সাড়া পেয়েছিলাম। নতুন করে ফেরার অপেক্ষায় ছিলাম। সেই সুযোগ হলো। বাংলা সিনেমায় দর্শক নতুনভাবে আমাকে খুঁজে পাবে। একজন অভিনেতা চরিত্রের বৈচিত্র্যের জন্য অপেক্ষা করে। সেটাই আমি এবারও পেয়েছি। আমাকে এই চরিত্রে ভাবার জন্য পরিচালক ও প্রযোজকের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। নিজেই আমি চরিত্রটি উপভোগ করছি।’

‘দাগি’ সিনেমাটি প্রযোজনা করছে এসভিএফ আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চিকিৎসক মাত্র ৩ জন, অন্তঃসত্ত্বাদের সেবায় নার্স, দাঁতের চিকিৎসায় টেকনোলজিস্ট

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার দিঘিরপাড় গ্রামের কিশোরী ইয়াসমিন আখতার (১৫) পেটে ব্যথা নিয়ে রোববার দুপুরে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। জরুরি বিভাগের স্বাস্থ্য সহকারীরা রোগীর শয্যায় তাঁকে শুইয়ে রাখেন। কিছু সময় পর জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এভাবে প্রতিদিন তিনজন চিকিৎসক, চার থেকে পাঁচজন স্বাস্থ্য সহকারী ও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট দিয়ে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৫০ থেকে ৩০০ মানুষের চিকিৎসা চালাতে হচ্ছে। এ উপজেলায় প্রায় আড়াই লাখ মানুষের বসবাস।

হাসপাতালে গিয়ে পাওয়া গেল চিকিৎসক আলমগীর হোসেনকে। তিনি হাসপাতালের ১০ নম্বর কক্ষে বসেন। এ কক্ষের সামনে রোগীদের ভিড় দেখা গেল বেশি। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসক সংকটের কারণে রোগীর চাপ একটু বেশি। এত সব রোগী সামলাতে বেশ হিমশিম খেতে হয়। এ ছাড়া বাহুবল দাঙ্গাপ্রবণ এলাকা। হঠাৎ ঝগড়া করে একসঙ্গে ঝাঁকে ঝাঁকে লোকজন চলে আসেন। যতটুকু সম্ভব এর মধ্যেই রোগীদের ভালো সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি।’ তিনি জানান, জরুরি বিভাগের দায়িত্ব, বহির্বিভাগের দায়িত্ব, আবাসিক বিভাগের দায়িত্বসহ মোট ৫টি পদে তাঁকে একাই কাজ করতে হচ্ছে। হবিগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রেষণে তাঁকে এখানে পাঠানো হয়েছে।

শুক্র-শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় রোববার অন্যান্য দিনের তুলনায় বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর চাপ অনেক বেশি ছিল। সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারে রোগীদের দীর্ঘ সারি। কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতা রোগের ধরন অনুযায়ী রোগীদের বিভিন্ন কক্ষে চিকিৎসকদের কাছে পাঠাচ্ছেন।
জরুরি বিভাগ সামলাচ্ছেন একজন চিকিৎসক এবং দুই থেকে তিনজন স্বাস্থ্য সহকারী। তাঁরা রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপত্র দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ বলছে, চিকিৎসকের সংকটের কারণে কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা দিয়ে জরুরি বিভাগের কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। চিকিৎসকদের ১৭টি পদের মধ্যে ১৪টিই শূন্য। শিশুদের জন্য জুনিয়র কনসালট্যান্ট আছেন মাত্র একজন। গাইনি বিভাগের কোনো চিকিৎসক না থাকায় একজন জ্যেষ্ঠ নার্স দিয়ে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।

বেশ কয়েকজন রোগীর সঙ্গে চিকিৎসা নিয়ে কথা হলে তাঁদের অধিকাংশই বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাসেবায় সন্তুষ্টির কথা জানালেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ