‘প্রিয়তমা’ ছবিতে শাকিব খানের সঙ্গে প্রধান খল চরিত্রে অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম। পরে ক্যামিও বা পার্শ্ব নেতিবাচক চরিত্রে ফিরলেও প্রধান খল চরিত্রে তাঁকে আর দেখা যায়নি। এবার আগের চেয়েও ভয়ংকর রূপে দেখা দেবেন এই অভিনেতা। ‘দাগি’ সিনেমায় আফরান নিশোর মুখোমুখি হবেন সেলিম।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে শুরু হয়েছে ‘দাগি’র শুটিং। এটি পরিচালনা করছেন শিহাব শাহীন। সেই শুটিং নিয়েই ব্যস্ত সেলিম জানালেন, বর্তমানে সৈয়দপুর জেলায় শীতের মধ্যে শুটিং করছেন। সেলিম বলেন, ‘প্রিয়তমা সিনেমার পর দর্শকদের কাছে ভালো সাড়া পেয়েছিলাম। নতুন করে ফেরার অপেক্ষায় ছিলাম। সেই সুযোগ হলো। বাংলা সিনেমায় দর্শক নতুনভাবে আমাকে খুঁজে পাবে। একজন অভিনেতা চরিত্রের বৈচিত্র্যের জন্য অপেক্ষা করে। সেটাই আমি এবারও পেয়েছি। আমাকে এই চরিত্রে ভাবার জন্য পরিচালক ও প্রযোজকের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। নিজেই আমি চরিত্রটি উপভোগ করছি।’
‘দাগি’ সিনেমাটি প্রযোজনা করছে এসভিএফ আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল তরুণ আইনজীবীর
প্রায় আট মাস আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মৌলভীবাজার জেলা জজ আদালতের আইনজীবী সুজন মিয়া (৩২)। পরিকল্পনা ছিল, বড় ভাইয়ের বিয়ের পর তিনি ধুমধাম আয়োজন করে স্ত্রীকে ঘরে তুলবেন। তার আগেই দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল তরুণ এই আইনজীবীর। গত রোববার জেলা শহরের পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুজন পৌর শহরের পূর্ব হিলালপুর গ্রামের জহিরুল ইসলামের ছেলে। হত্যার প্রতিবাদ ও জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে গতকাল বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে জেলা আইনজীবী সমিতি। আদালত বর্জন করে সুজনের সহকর্মীরা এসব কর্মসূচি পালন করেন। এ ছাড়া জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে আইনজীবী সমিতি।
জানা গেছে, রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আইনজীবী সুজন ও তাঁর কয়েক বন্ধু পৌর কার্যালয়ের পাশে চটপটির দোকানে ফুচকা খাচ্ছিলেন। এ সময় পাঁচ-ছয় কিশোর হঠাৎ সুজনের ওপর ছুরি নিয়ে হামলা করে। তাঁর বুকে একাধিক ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় তারা। সুজনকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সুজনের বড় ভাই সুমন মিয়া বলেন, ‘গত বছরের আগস্টে তাঁর বিয়ে হয়। আমার বিয়ের পর অনুষ্ঠান করে সুজনের স্ত্রীকে ঘরে তোলার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তা আর হলো না। এ ঘটনায় হত্যা মামলা করব।’
মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি গাজী মাহবুবুর রহমান জানান, হত্যাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।