কুষ্টিয়ায় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের জায়গা দখল করে সুরম্য গেট ও বাউন্ডারি নির্মাণ করেছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজি রবিউল ইসলাম। একই সাথে লটারিতে পাওয়া জায়গা দখল করে সেখানে আইটি পার্ক, স্কুল ভবন, অডিটরিয়ামসহ অন্যান্য স্থাপনা তৈরি করেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের তত্বাবধানে বিপুল সংখ্যক আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যদের উপস্থিতিতে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এসব স্থাপনা। বেহাত হওয়া প্রায় ২০ একর জায়গায় নির্মাণ হওয়ায় স্থাপনার কাজ বন্ধ করার পাশাপাশি উচ্ছেদ করে দেওয়া হয়।

প্লট মালিকরা সরকারি কোষাগারে টাকা জমা দিয়েও প্লট বুঝে পাচ্ছিলেন না। তারা আওয়ামী লীগ আমলে রায় পেলেও প্রভাবশালী নেতারা জোর করে জায়গা দখল করে রেখেছিলেন উন্নয়নের নামে। উল্টো মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতিও দেখিয়ে আসছিলেন। এখন তারা ন্যায় বিচার পাবেন বলে আশা করছেন।

গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের মাহসুদুর রহমান এসডি বলেন, “আমাদের প্রায় ২০ একর জায়গা নিয়ে সমস্যা আছে। আমরা সেগুলো আজ দখলমুক্ত করছি। নতুন করে ডিজাইন করে ১৭৩ জন প্লট মালিকের মধ্যে তা বিভাজন করা হবে। মসজিদ ও অডিটরিয়াম বাদে আর কোনো স্থাপনা রাখা হবে না।”

ঢাকা/কাঞ্চন/এস

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

ধানমন্ডিতে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান ডিএসসিসির  

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় শুক্রবার মশক নিধন ও বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী এ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়ার উপস্থিতিতে বর্জ্য ব্যবস্থানা বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ ও ধানমন্ডি সোসাইটি এ অভিযানে অংশ নেয়। 

সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু হওয়া এ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৪৫০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী, স্বাস্থ্য বিভাগের ৫০ জন মশক কর্মী, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক, বিডি ক্লিনের ৫০ জন এবং ধানমন্ডি সোসাইটির ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক অংশগ্রহণ করেন। ধানমন্ডি আবাসিক এলাকাকে সাতটি অঞ্চলে ভাগ করে মূল রাস্তা, লেক, পার্ক, মসজিদ, ঈদগাহ সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার ও মশার ওষুধ  ছিটিয়ে নেওয়া হয়। 

অভিযানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, ঢাকাকে সুন্দর ও বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক সোসাইটিগুলো চেষ্টা করে যাচ্ছে। রাজউক, গণপূর্ত, বিআরটিএ, পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থার অংশগ্রহণে সরকার একটি সুপরিকল্পিত ও সমন্বিত মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করছে। এছাড়া পয়ঃনিষ্কাশনের জন্যেও মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন হচ্ছে।

দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক শাহজাহান মিয়া বলেন, বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি অঞ্চলে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করা হবে। ধানমন্ডি থেকে এ অভিযান শুরু হয়েছে।  

অভিযান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অতিথিরা জনসচেতনতামূলক একটি র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. জিল্লুর রহমান, সকল বিভাগীয় প্রধান এবং ধানমন্ডি সোসাইটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ