কুষ্টিয়ায় আ.লীগ নেতার দখলে থাকা ২০ একর জমি উদ্ধার
Published: 14th, January 2025 GMT
কুষ্টিয়ায় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের জায়গা দখল করে সুরম্য গেট ও বাউন্ডারি নির্মাণ করেছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজি রবিউল ইসলাম। একই সাথে লটারিতে পাওয়া জায়গা দখল করে সেখানে আইটি পার্ক, স্কুল ভবন, অডিটরিয়ামসহ অন্যান্য স্থাপনা তৈরি করেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের তত্বাবধানে বিপুল সংখ্যক আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যদের উপস্থিতিতে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এসব স্থাপনা। বেহাত হওয়া প্রায় ২০ একর জায়গায় নির্মাণ হওয়ায় স্থাপনার কাজ বন্ধ করার পাশাপাশি উচ্ছেদ করে দেওয়া হয়।
প্লট মালিকরা সরকারি কোষাগারে টাকা জমা দিয়েও প্লট বুঝে পাচ্ছিলেন না। তারা আওয়ামী লীগ আমলে রায় পেলেও প্রভাবশালী নেতারা জোর করে জায়গা দখল করে রেখেছিলেন উন্নয়নের নামে। উল্টো মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতিও দেখিয়ে আসছিলেন। এখন তারা ন্যায় বিচার পাবেন বলে আশা করছেন।
গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের মাহসুদুর রহমান এসডি বলেন, “আমাদের প্রায় ২০ একর জায়গা নিয়ে সমস্যা আছে। আমরা সেগুলো আজ দখলমুক্ত করছি। নতুন করে ডিজাইন করে ১৭৩ জন প্লট মালিকের মধ্যে তা বিভাজন করা হবে। মসজিদ ও অডিটরিয়াম বাদে আর কোনো স্থাপনা রাখা হবে না।”
ঢাকা/কাঞ্চন/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’