‘ঘুষ গ্রহণের সময়’ দুদকের হাতে গ্রেপ্তার পাসপোর্ট কর্মকর্তা
Published: 14th, January 2025 GMT
‘ঘুষ গ্রহণের সময়’ ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের সহকারী হিসাবরক্ষক ফারুক আহমেদকে হাতেনাতে আটক করেছে দুদক। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের বাজারপাড়া এলাকার জেলখানা সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয় বলে জানান দুদক কার্যালয় ঠাকুরগাঁওয়ের উপ-পরিচালক তাহসিন মুনাবীল হক।
তিনি জানান, বুধবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
দুদক জানায়, ফারুক আহমেদ পাসপোর্টের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে মিরানা মাহজাবিন সরকারের কাছে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। পরে ভুক্তভোগী বিষয়টি দুদককে জানায়।
ভুক্তভোগীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে পাসপোর্ট সমস্যা সমাধান করে দিতে চান ফারুক আহমেদ। পরবর্তীতে মিরানা মাহজাবিন সরকারের মোবাইল ফোনে ফারুক আহমেদের সঙ্গে কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড সংগ্রহ করা হয়। যেখানে ঘুষ চাওয়ার বিষয়টি স্পষ্টভাবে উঠে আসে। পরে দুদকের একটি দল ওই এলাকায় অবস্থান নেয়, জানায় দুদক।
দুদক আরও জানায়, দুপুরে ঘুষের ৫০ হাজার টাকা নেওয়ার সময় ফারুক আহমেদকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
উপ-পরিচালক তাহসিন মুনাবীল হক বলেন, ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘুষ গ্রহণের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে দুদক।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়।
নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)।
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।
হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে।
একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।