জাতীয় স্মৃতিসৌধে এবি পার্টির নবনির্বাচিত নেতাদের শ্রদ্ধা নিবেদন
Published: 14th, January 2025 GMT
সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এবি পার্টির নতুন নির্বাচিত নেতারা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে দলের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান (মঞ্জু) ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদের নেতৃত্বে দলটির জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নেতা-কর্মীদের দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই-২৪–এর গণ-অভ্যুত্থানের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর শপথ করান মজিবুর রহমান।
মজিবুর রহমান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা জীবন দিয়েছেন, যাঁদের রক্তের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি; তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছি। আর শপথ নিয়েছি, মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্রের আলোকে ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে বাংলাদেশকে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্রে পরিণত করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘আমরা সেবা ও সমস্যা সমাধানের রাজনীতি নিয়ে দেশবাসীর কাছে যাচ্ছি। আশা করি দেশের মানুষ প্রচলিত ধারার রাজনৈতিক ধারণার বাইরে গিয়ে রাষ্ট্র মেরামতের এই নতুন রাজনীতির পাশে দাঁড়াবেন।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের গণকবর জিয়ারত করতে রাজধানীর রায়েরবাজারে যান এবি পার্টির নেতারা। রায়েরবাজার বধ্যভূমি, ঢাকা, ১৪ জানুয়ারি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’