কুষ্টিয়ায় জামায়াতকর্মী নিহত: ৩ আসামি গ্রেপ্তার
Published: 14th, January 2025 GMT
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী খোকন মোল্লা নিহতের মামলায় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর থানা পুলিশ। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, উপজেলার আমলা ইউনিয়নের বুড়াপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম (৫০), আনিসুর রহমান (৪০) ও রাজা মিয়া (৫৩)।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, গত ১২ জানুয়ারি স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত খোকন মোল্লা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় হত্যা মামলায় তিন এজাহার নামীয় আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে
৪০তম ক্যাডেট এসআই ব্যাচ
সমাপনী কুচকাওয়াজের প্রস্তুতি ৪৮০ জনের, অনশনে ৩২১
এ ঘটনায় বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে মিরপুর থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি।
গত ১২ জানুয়ারি বিকেলে মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের বুরাপাড়া গ্রামে স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় জামায়াত ও বিএনপির অন্তত ৩৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের বেশিরভাগ জামায়াতে ইসলামীর অনুসারী। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল হতে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে বুরাপাড়া গ্রামের নওশের মোল্লার ছেলে খোকন মোল্লা মারা যায়।
ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।
উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।