ডেইলি স্টারের কর্মী দিবসে সাংবাদিকতার সর্বোচ্চ মান বজায় রাখার প্রত্যয়
Published: 14th, January 2025 GMT
সাংবাদিকতার সর্বোচ্চ মানদণ্ড বজায় রাখার প্রত্যয় জানিয়ে আজ মঙ্গলবার ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের কর্মী দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। রাজধানীর কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারের ছাদে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে দিনটি উদ্যাপন করা হয়। উদ্যাপনের শুরু হয় ‘পিঠা উৎসব’ ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে।
কর্মীদের নিয়ে এই আনন্দ আয়োজনে দেওয়া বক্তব্যে ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহ্ফুজ আনাম বলেন, বিগত সময়ে ডেইলি স্টার সরকারের চাপের মুখে ছিল। আর এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। প্রায়ই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে ডেইলি স্টারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মাহ্ফুজ আনাম বলেন, ডেইলি স্টার সাহসী, নৈতিকতাসম্পন্ন ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা অব্যাহত রাখবে। সব সময় ক্ষমতাকে জবাবদিহির মুখোমুখি করবে।
ডেইলি স্টারের মালিকানা প্রতিষ্ঠান মিডিয়াওয়ার্ল্ড লিমিটেডের অন্যতম পরিচালক সিমিন রহমান নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য সংবাদপত্রটির কর্মীদের অভিনন্দন জানান।
ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিমিন রহমান বলেন, ‘যাত্রা শুরুর পর থেকে পুরোটা সময় আমরা যেকোনো পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার সক্ষমতাসম্পন্ন, বলিষ্ঠ এবং আমাদের নীতি ও মূল্যবোধের প্রতি অঙ্গীকার বজায় রেখে চলেছি। আমি বিশ্বাস করি, বিরূপ পরিস্থিতির মুখেও আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠব।’
মিডিয়াওয়ার্ল্ড লিমিটেডের আরেক পরিচালক রোমো রউফ চৌধুরী বলেন, ‘সাংবাদিকতা ও সম্পাদকীয় নীতির ক্ষেত্রে ডেইলি স্টার অত্যন্ত ভালো করছে।’
প্রথম আলো সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান বলেন, এ বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই যে ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো বিগত বছরগুলোতে স্বাধীন সাংবাদিকতার চর্চা করে এসেছে। প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সংবাদের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শাসনের প্রতিবাদ এবং তার চেহারা মানুষের কাছে তুলে ধরেছে।
এই অনুষ্ঠানে ২০২৪ সালে অসামান্য কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ডেইলি স্টারের ৩৩ জন সাংবাদিক ও কর্মীকে পুরস্কৃত করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’