সাংবাদিকতার সর্বোচ্চ মানদণ্ড বজায় রাখার প্রত্যয় জানিয়ে আজ মঙ্গলবার ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের কর্মী দিবস উদ্‌যাপিত হয়েছে। রাজধানীর কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারের ছাদে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে দিনটি উদ্‌যাপন করা হয়। উদ্‌যাপনের শুরু হয় ‘পিঠা উৎসব’ ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে।

কর্মীদের নিয়ে এই আনন্দ আয়োজনে দেওয়া বক্তব্যে ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহ্‌ফুজ আনাম বলেন, বিগত সময়ে ডেইলি স্টার সরকারের চাপের মুখে ছিল। আর এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। প্রায়ই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে ডেইলি স্টারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

মাহ্‌ফুজ আনাম বলেন, ডেইলি স্টার সাহসী, নৈতিকতাসম্পন্ন ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা অব্যাহত রাখবে। সব সময় ক্ষমতাকে জবাবদিহির মুখোমুখি করবে।

ডেইলি স্টারের মালিকানা প্রতিষ্ঠান মিডিয়াওয়ার্ল্ড লিমিটেডের অন্যতম পরিচালক সিমিন রহমান নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য সংবাদপত্রটির কর্মীদের অভিনন্দন জানান।

ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিমিন রহমান বলেন, ‘যাত্রা শুরুর পর থেকে পুরোটা সময় আমরা যেকোনো পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার সক্ষমতাসম্পন্ন, বলিষ্ঠ এবং আমাদের নীতি ও মূল্যবোধের প্রতি অঙ্গীকার বজায় রেখে চলেছি। আমি বিশ্বাস করি, বিরূপ পরিস্থিতির মুখেও আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠব।’

মিডিয়াওয়ার্ল্ড লিমিটেডের আরেক পরিচালক রোমো রউফ চৌধুরী বলেন, ‘সাংবাদিকতা ও সম্পাদকীয় নীতির ক্ষেত্রে ডেইলি স্টার অত্যন্ত ভালো করছে।’

প্রথম আলো সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান বলেন, এ বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই যে ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো বিগত বছরগুলোতে স্বাধীন সাংবাদিকতার চর্চা করে এসেছে। প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সংবাদের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শাসনের প্রতিবাদ এবং তার চেহারা মানুষের কাছে তুলে ধরেছে।

এই অনুষ্ঠানে ২০২৪ সালে অসামান্য কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ডেইলি স্টারের ৩৩ জন সাংবাদিক ও কর্মীকে পুরস্কৃত করা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।

শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।

তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।

তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ