ইবিতে ঐক্যমঞ্চের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
Published: 14th, January 2025 GMT
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর জোট ‘ঐক্যমঞ্চ’এর নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এতে আহ্বায়ক হিসেবে বুননের সভাপতি নাহিদুর রহমান ও সদস্য সচিব হিসেবে সাহিত্য সংসদের সভাপতি পলাশ হোসেন মনোনীত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে ঐক্যমঞ্চের কক্ষে নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়।
দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটি সাবেক আহ্বায়ক ইয়াশিরুল কবির সৌরভ। এ সময় ঐক্যমঞ্চের অধিভুক্ত ১২টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সদস্য সচিব পলাশ হোসেন বলেন, “প্রতিটি সংগঠনের কার্যক্রম সঠিকভাবে করতে ও পিছিয়ে পড়া সংগঠনগুলোর কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ঐক্যমঞ্চ ও ঐক্যমঞ্চের অন্তর্ভুক্ত সংগঠনগুলোকে আরো বেশি একে অপরের প্রতি আন্তরিক হতে হবে।”
আহ্বায়ক হিসেবে নাহিদুর রহমান ঐক্যমঞ্চের পরবর্তী কার্যক্রমে এর অধিভুক্ত সংগঠন গুলোকে স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
বিদায়ী আহ্বায়ক ইয়াশিরুল কবির সৌরভ বলেন, “সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক অধিকার আদায়ে ঐক্যমঞ্চ কাজ করবে। এসব কাজে সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করার আশা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক সংগঠনের যেকোন যৌক্তিক কাজে সামর্থ্যনুযায়ী সবসময় পাশে থাকব।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শাবিপ্রবির সাংগঠনিক সপ্তাহে নবীনদের উচ্ছ্বাস
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) চলছে সাংগঠনিক সপ্তাহ। সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর টেন্টে জমেছে নবীনদের ভিড়। নিজেদের প্রতিভা বিকাশ ও অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত নবীন শিক্ষার্থীরা।
গত ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ সাংগঠনিক সপ্তাহের মূল কার্যক্রম শুরু হয় ২৬ জানুয়ারি থেকে। এবারের আয়োজনের বিশেষত্ব হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যান্ডবল গ্রাউন্ডে ৩৭টি সংগঠন একসঙ্গে অংশগ্রহণ করছে, যেখানে আগে অর্জুন তলায় দুই সপ্তাহে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে এ কার্যক্রম পরিচালিত হতো।
এ আয়োজনকে ঘিরে ক্যাম্পাস জুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বিভিন্ন সংগঠনের টেন্ট ঘুরে শিক্ষার্থীরা নিজেদের আগ্রহ অনুযায়ী সদস্য হতে ফর্ম সংগ্রহ করছেন। কেউ সংগীত, কেউবা বিতর্ক বা ফটোগ্রাফি নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী।
বাংলা বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী তানভীর বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বুঝলাম, পড়াশোনার বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে। আমি ফটোগ্রাফি ও বিতর্ক নিয়ে কাজ করতে চাই। তাই এ দুই সংগঠনে সদস্যপদ নিতে ফর্ম নিয়েছি।”
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া জাহান বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকেই সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলাম। এখানে এসে দেখলাম, অনেক সংগঠন সাংস্কৃতিক চর্চা করে। গানের প্রতি ভালোবাসা থেকেই একটি সংগঠনে সদস্য হয়েছি। পাশাপাশি, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনেও যোগ দিয়েছি, যাতে মানুষের জন্য কিছু করতে পারি।”
সরেজমিনে দেখা যায়, সংগঠনগুলোর সদস্যরাও ব্যস্ত সময় পার করছে। কেউ নতুনদের ক্যাম্পাস ও সংগঠনের নিয়ম জানাচ্ছে, কেউ সাংগঠনিক কার্যক্রমের বিবরণ দিচ্ছে। বিভিন্ন সংগঠন ব্লাড গ্রুপিং, ফটোগ্রাফি ওয়ার্কশপসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যারা জানিয়েছেন, সাংগঠনিক সপ্তাহ শুধু সদস্য সংগ্রহের অনুষ্ঠান নয়, এটি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশেরও বড় সুযোগ। নতুনদের উচ্ছ্বাস ও অংশগ্রহণই প্রমাণ করে, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠনগুলোর অংশ হতে কতটা আগ্রহী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, “আগের বছরগুলোর মতো আলাদা ধাপে সাংগঠনিক সপ্তাহ না করে এবার একসঙ্গে আয়োজন করা হয়েছে। যাতে সব সংগঠন সমানভাবে সদস্য সংগ্রহের সুযোগ পায় এবং নবীন শিক্ষার্থীরাও একসঙ্গে সব ক্লাবের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে।”
ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী