নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন
Published: 14th, January 2025 GMT
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি দীর্ঘ দেড় বছর পর অনুমোদন করা হয়েছে।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন এ কমিটি অনুমোদন করেন। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নূরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ২৯ আগস্ট মনিরুল ইসলাম সজলকে আহ্বায়ক, সাগর প্রধানকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাহেদ আহমেদকে সদস্য সচিব করে ৩ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন তাৎকালীন কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না ।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল জানান, মহানগর যুবদলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়নের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তিনি আরও বলেন, বিগত সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে যারা রাজপথে নিজেদের জীবনের মায়া ত্যাগ করে দলীয় কর্মসূচি পালন করেছে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তাদের রাখার চেষ্টা করেছি। আর রাজপথের ত্যাগী ও পরীক্ষিতরাই তাদের যোগ্য সম্মান পেয়েছেন। যারা পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি আসতে পারেনি তাদেরকে থানা ও ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখবা হবে।
৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক রাখা হয়েছে ১১জনকে। তারা হলেন, নুরে এলাহী সোহাগ, রুহুল আমিন, সাজ্জাদ হোসেন কমল, শেখ মোহাম্মদ অপু, আব্দুর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ার, শাকিল মিয়া, আহসান খলিল শ্যামল, সাইফুল আলম সজিব, জাকির হোসেন সেন্টু, আক্তারুজ্জামান মৃধা।
এদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে রাজপথের ত্যাগী ও নির্যাতিতরাই স্থান পাওয়ায় নেতা-কর্মীদের মাঝে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে।
উৎস: Narayanganj Times
এছাড়াও পড়ুন:
এখন কিছু বলতে গেলেই আন্দোলনে চলে যায়: না.গঞ্জ এসপি
দেশে ৫ আগস্টের পর সবাই আন্দোলনমুখী হয়েছে এবং পুলিশ কিছু বলতে গেলে আন্দোলনে চলে যায় বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুশ কুমার মজুমদার।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘৫ আগস্টের পর আমাদের একটা ধারা দিয়েছে, সেটা হলো সবাই আন্দোলনমুখী হয়ে গেছে। আমরা এখন কিছু বলতে গেলেই সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলনে চলে যায়।’’
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যানজট নিরসন বিষয়ে সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
যশোরে এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
দিনাজপুরে পিস্তলসহ যুবক গ্রেপ্তার
পুলিশ সুপার প্রত্যুশ কুমার মজুমদার বলেন, ‘‘সব কিছুতে¬— ভালো হলেও পুলিশকে গালি দিবে, খারাপ হলেও গালি দিবে। আমি যখন নারায়ণগঞ্জ এসেছিলাম, তখন নারায়ণগঞ্জে যানজট ছিল একটা মূখ্য বিষয়। আমি এটা নিয়ে কথা বলেছি।’’
তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ নিয়ে খারাপ দুটি অভিযোগ হলো— পুলিশ খারাপ ব্যবহার করছে এবং পুলিশ চাঁদাবাজি করছে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বললাম, আমাদের পুলিশের কাউকে যদি হাতেনাতে চাঁদা নিতে দেখাতে পারেন, আমি যদি তাকে সাসপেন্ড করে বাড়ি না পাঠাতে পারি, তাহলে আমি এসপি গিরি ছেড়ে দিবো।’’
এসপি প্রত্যুশ কুমার মজুমদার বলেন, ‘‘কেউ কেউ বলে, পুলিশ চাইলেই ফুটপাত উচ্ছেদ করে দিতে পারে। এ নারায়ণগঞ্জে এক-দেড় কোটি মানুষের জন্য মাত্র ১৮শ’ পুলিশ। অথচ ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে ৩৫শ’ পুলিশ। ১৮শ’ পুলিশ দিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। আমি নারায়ণগঞ্জে আসার পর ৫৫ জন ট্রাফিকে এড করেছি। অনেক কিছুই বলা যায় কিন্তু বাস্তবে করা আসলে কঠিন। আমাদের যে পুলিশ আছে, তা দিয়ে আমরা আপনাদের সর্বোচ্চ সেবা দিবো।’’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘পুলিশ যদি বৈধ কাজ করে, অন্যায়ের কাজে জরিমানা করে; তাহলে আপনারা দয়া করে বাধা দিবেন না, এই কথা আপনাদের দিতে হবে। নারায়ণগঞ্জে রাস্তাগুলো ভালো না, সেটা নিয়ে আপনারা কথা বলেন না কিন্তু আপনারা পুলিশকে দোষারোপ করেন।’’
ঢাকা/অনিক/বকুল